ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী নূর উদ্দিনের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নেত্রকোনা, বার্তা২৪.কম:
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত নূর উদ্দিন ওরফে রদ্দীন (৭০) নামের এক পলাতক আসামি মারা গেছেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকায় তিনি মারা যান।

তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলার জারিয়া ইউনিয়নের পূর্ব মৌদাম গ্রামে। পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানায়, মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় নূর উদ্দিন ওরফে রদ্দীন পলাতক থাকা অবস্থায় প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হন। চলতি বছরের ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার পলাতক পাঁচ রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার খারছাইল গ্রামের আবদুল খালেক তালুকদার (৬৭), উপজেলা সদরের মো. কবির খান (৭০), পূর্বমৌদাম গ্রামের শেখ আবদুল মজিদ ওরফে মজিদ মাওলানা (৬৬), একই গ্রামের আবদুস সালাম বেগ (৬৮) ও মো. নূরউদ্দিন ওরফে রদ্দীন (৭০)।

এই মামলায় প্রথমে সাতজন আসামি ছিলেন। সাত আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল তদন্ত সংস্থা। প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট সব আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ওইদিনই আসামি আবদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ট্রাইব্যুনালে এই মামলার যুক্তিতর্কের সময় গ্রেফতারকৃত আবদুর রহমান (৭০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।এর আগে আসামি আহমদ আলী (৭৮) অভিযোগ (চার্জ) গঠনের আগেই ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর মারা যান।

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বাড়হা গ্রামের আবদুল খালেককে হত্যার ঘটনায় খালেকের ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদির ২০১৩ সালে এ মামলাটি করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ২১ আগস্ট আবদুল খালেককে গুলি করে হত্যার পর কংস নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়। পরে মামলাটি ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহান কবির ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে পরের বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত মামলাটি তদন্ত করেন। এরপর তিনি ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ প্রসিকিউশনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। প্রসিকিউশন বিভাগ ২০১৬ সালের ২২ মে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক চার্জ দাখিল করে। একই বছর ১২ জুন অভিযোগ আমলে নেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে ডা. হেম সুন্দর বাগচী হত্যা, নির্যাতন, লুন্ঠণসহ একাধিক মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের বাড়িতে নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায় বলে প্রসিকিউশনে অভিযোগ রয়েছে।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান বলেন, স্বজনরা তার লাশ বাড়িতে আনার জন্য গাজীপুরের জয়দেবপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। লাশ বাড়িতে এলে পুলিশ প্রশাসন যাবে ও পরে তার মৃত্যুর বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হবে।

 

   

হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ২১ বছর আগের হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন- আনোয়ার হোসেন, মো. বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম ও আব্দুল হক ওরফে আব্দুল্লাহ।

আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের অতিরিক্ত বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। যা অনাদায়ে প্রত্যেক আসামিকে ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আনোয়ার হোসেন ও বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। আসামি আব্দুল হক আব্দুল্লাহ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

২০০৩ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানাধীন খিলবাড়ির টেক ছিকুর প্রজেক্টের দক্ষিণপাশের পুকুরে কচুরি পানার মধ্যে পাটের বস্তা থেকে হাবিলদার সুরুজ আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু বকর মাতুবর বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের নামে এ মামলা করেন।

২০০৬ সালের ৩১ অক্টোবর মামলাটি তদন্তের পর সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল বাতেন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

;

সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিল আবারও পিছিয়েছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। ১০৮ বারের মতো পিছিয়ে আগামী ৩০ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের জিআর শাখার কর্মকর্তা মাসুদ এ তথ্য জানান।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আট জনকে আসামি করা হয়। অপর আসামিরা হলেন, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।

;

ব্লগার নাজিম হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানি ২৪ জুন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।

এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল৷ রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শুরু করেন। অভিযোগ গঠন শুনানির এক পর্যায়ে আসামিরা তাদের আইনজীবী নেই বলে আদালতকে জানান। এসময় আসামিরা মৌখিকভাবে আইনজীবী নিয়োগের কথা জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন।

আদালত শেষবারের মত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৪ জুন পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক, মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের, রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ।

আসামিদের মধ্যে প্রথম পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। শেষের চারজন কারাগারে আছেন। শেষ চারজনকে কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করেছেন কারাকর্তৃপক্ষ।

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

;

কারাবন্দি বিএনপি নেতা আসলাম ও তার স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কারাবন্দি বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলার আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ মে) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ ড. আবদুল আজিজ ভূঁইয়া এই আদেশ দেন।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর আদালতে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৫ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা এবং তার স্ত্রীর ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৭২৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। গত ৫ মে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আসলাম চৌধুরীকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ৭ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলার আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেন।

দুদকের পিপি কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর আদালতে আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়। গত ৭ মে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক, প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আলোচ্য মামলায় চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলার আয়কর নথি জব্দের অনুমতি প্রার্থনা করেন।

আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গতকাল (মঙ্গলবার) শুনানি শেষে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুই আসামির আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

;