পণ্য কিনে প্রতারিত হলে মামলা করবেন যেভাবে



মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আইটি ইনচার্জ হিসেবে চাকরি করেন মামুন রহমান। সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি তাকে অফিসে ব্যস্ত থাকতে হয়। ছোটখাট কিছু কিনতে হলে মার্কেটে যাওয়া তার পক্ষে কষ্টকর। এই গরমে গত ৩ মে তিনি নামকরা অনলাইন শপ থেকে একটি মিনি এয়ার কুলার কিনলেন।

মামুন জানান, অনলাইনে পণ্যটির দাম দেওয়া হয়েছে দুই হাজার ৪৯০ টাকা, ডেলিভারি চার্জ ৬০ টাকা। সব মিলিয়ে তিনি দুই হাজার ৫৫০ টাকা পরিশোধ করেন। পণ্যটি তিনি বাসায় নিয়ে দেখেন এটি নষ্ট। কোনো কাজ করে না। তাছাড়া যে পণ্যটির দুই হাজার ৪৯০ টাকা দাম ধরা হয়েছে, মূলত তা সর্বোচ্চ ৫শ’ টাকার একটি পণ্য।

তিনি বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট অনলাইন শপের নম্বরে যোগাযোগ করেছেন। তার পণ্যটি ফেরত নিয়ে আরেকটি পণ্য দেওয়া হয়। কিন্তু এটি দিয়ে কোনো ঠাণ্ডা বাতাস বের হয় না। ফ্যানের সুইচ অন করলে হালকা একটু বাতাস বের হয়। তিনি ভোক্তা অধিকার আইনে মামলা করতে চান। কিন্তু কোথায় করবেন তা জানেন না।

এমন অনেকেই অনলাইন কিংবা অফলাইনে পণ্য কিনে প্রতারিত হন। তারা ভোক্তা অধিকার আইনে মামলা করতে চাইলে কোথায় করবেন, কীভাবে করবেন তা জানেন না।

জেনে নিন, ভোক্তা হিসেবে পণ্য বা সেবা কিনে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত বা প্রতারিত হলে কোথায় কীভাবে এবং কতদিনের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করবেন।

১. যেখানে অভিযোগ দায়ের করবেন-

ক) মহাপরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, ১ কারওয়ান বাজার (টিসিবি ভবন-৮ম তলা) ঢাকা, ফ্যাক্স: +৮৮০২ ৮১৮৯৪২৬

খ) জাতীয় ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্র, টিসিবি ভবন- ৯ম তলা, ১ কারওয়ান বাজার ঢাকা, ই-মেইল: [email protected]

গ) উপ পরিচালক, রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, শ্রীরামপুর, রাজশাহী, ফ্যাক্স: +৮৮০৭ ২১৭৭২৭৭৪

ঘ) উপ পরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, টিসিবি ভবন, বন্দরটিলা, চট্টগ্রাম, ফ্যাক্স: +৮৮০৩ ১২৮৬৮৯৮৯

ঙ) উপ পরিচালক, বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, মহিলা ক্লাব ভবন, বরিশাল, ফ্যাক্স: +৮৮০৪ ৩১৬২০৪২

চ) উপ পরিচালক, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, টিসিবি ভবন, শিববাড়ী মোড়, খুলনা, ফ্যাক্স: +৮৮০ ৪১৭২৪৬৮২

ছ) উপ পরিচালক, সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, সিলেট, ফ্যাক্স: +৮৮০৮ ২১৭২৮৬৯৫

জ) উপ পরিচালক, রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, নিউ ইঞ্জিনিয়ারিং পাড়া, রংপুর, ফ্যাক্স: +৮৮০৫ ২১৫৫৬৯১৯২

এছাড়াও প্রত্যেক জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা যাবে।

২. কতদিনের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করতে হবে-

অভিযোগের কারণ উদ্ভব হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। অর্থাৎ আপনি পণ্য কেনার ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ করতে হবে। ৩০ দিন অতিবাহিত হলে আপনার অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না।

৩. যেভাবে অভিযোগ দায়ের করবেন-

ক) অভিযোগ অবশ্যই লিখিত হতে হবে। কম্পিউটার কম্পোজ করে দিলে ভালো হয়।

খ) ফ্যাক্স, ই-মেইল, সরাসরি কিংবা অন্য কোনো উপায়ে।

গ) অভিযোগপত্রে অভিযোগকারীর পূর্ণাঙ্গ নাম, বাবা ও মায়ের নাম, ঠিকানা, ফোন, ফ্যাক্স ও ই-মেইল নম্বর (যদি থাকে) এবং পেশা উল্লেখ করতে হবে।

ঘ) অভিযোগের সঙ্গে প্রমাণ হিসেবে ভাউচার/ক্রয় রশিদ এবং ক্ষেত্র বিশেষে ক্রয়কৃত পণ্যের নমুনা দিতে হবে।

ভোক্তা নিজে পণ্য কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হলে অভিযোগ দায়ের করা যাবে। বাজারের কোনো পণ্য বা সেবা সম্পর্কে তথ্য দিলে তা অভিযোগ হিসেবে গণ্য হবে না।

অভিযোগ ফরম পাওয়া যাবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ওয়েবসাইটে (https://dncrp.portal.gov.bd/). তাদের ই-মেইল: [email protected].

   

সুপ্রিম কোর্টে শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পড়তে হবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে মামলা শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পরিধানের বাধ্যবাধকতা শিথিলের কার্যকারিতা রহিত করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে আইনজীবীবৃন্দের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করে গত ২০ এপ্রিল জারি করা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা রহিত করা হলো।

আরও বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রুলসে উল্লেখিত পরিধেয় পোশাক বিষয় থাকা সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী অনুসরণ করে আইনজীবীবৃন্দ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে অংশগ্রহণ করবেন। ১৯ মে থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।

;

হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ২১ বছর আগের হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন- আনোয়ার হোসেন, মো. বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম ও আব্দুল হক ওরফে আব্দুল্লাহ।

আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের অতিরিক্ত বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। যা অনাদায়ে প্রত্যেক আসামিকে ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আনোয়ার হোসেন ও বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। আসামি আব্দুল হক আব্দুল্লাহ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

২০০৩ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানাধীন খিলবাড়ির টেক ছিকুর প্রজেক্টের দক্ষিণপাশের পুকুরে কচুরি পানার মধ্যে পাটের বস্তা থেকে হাবিলদার সুরুজ আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু বকর মাতুবর বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের নামে এ মামলা করেন।

২০০৬ সালের ৩১ অক্টোবর মামলাটি তদন্তের পর সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল বাতেন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

;

সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিল আবারও পিছিয়েছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। ১০৮ বারের মতো পিছিয়ে আগামী ৩০ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের জিআর শাখার কর্মকর্তা মাসুদ এ তথ্য জানান।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আট জনকে আসামি করা হয়। অপর আসামিরা হলেন, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।

;

ব্লগার নাজিম হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানি ২৪ জুন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।

এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল৷ রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শুরু করেন। অভিযোগ গঠন শুনানির এক পর্যায়ে আসামিরা তাদের আইনজীবী নেই বলে আদালতকে জানান। এসময় আসামিরা মৌখিকভাবে আইনজীবী নিয়োগের কথা জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন।

আদালত শেষবারের মত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৪ জুন পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক, মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের, রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ।

আসামিদের মধ্যে প্রথম পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। শেষের চারজন কারাগারে আছেন। শেষ চারজনকে কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করেছেন কারাকর্তৃপক্ষ।

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

;