রাবি ভিসির নিয়োগের বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান, ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের দ্বিতীয় দফায় নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে উপাচার্যের পদ থেকে অপসারণ করে তা জানাতে বলা হয়েছে। বুধবার (১৫মে) এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ীর কানাইডাঙ্গা গ্রামের সালমান ফিরোজ ফয়সালের পক্ষে আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, শিক্ষা সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের নিজ বিভাগের (ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক্স বিভাগ) সভাপতির কাছে এই নোটিশ নোটিশ পাঠিয়েছেন।

নোটিশে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ২০১৭ সালের মে মাসের ৭ তারিখে দ্বিতীয় মেয়াদে ৪ (চার) বছরের জন্য উপাচার্য হিসেবে আব্দুস সোবহানকে নিয়োগ প্রদান করেন। সেদিনই তিনি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরে উপাচার্য থেকে নিজস্ব বিভাগ ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে জুন মাসের ২১ তারিখে দুপুরে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন।

একইদিনে বিকালে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। এতে করে উপাচার্য পদে সাময়িক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল। সেখানে রাষ্ট্রপতির বিনা অনুমতিতে একদিনের জন্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আখতার ফারুককে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও নীতিবিরোধী।

নোটিশে আরও বলা হয়, আবার পুনরায় একই তারিখ বিকালে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন আব্দুস সোবহান। জুলাই মাসের ২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটর অসাধারণ (এক্সটা অর্ডিনারী) সভায় জুন মাসের ২১ তারিখের স্বেচ্ছায় অবসর অনুমোদিত হয়। সিন্ডিকেটের উক্ত সভায় বেআইনিভাবে নিজে সভাপতিত্ব করেন।

এরপর ২৯ তারিখে অবসর গ্রহণ করবেন মর্মে ২০১৭ জুন মাসের ২৪ তারিখে এক পত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছের আবেদন করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি সেটা গ্রহণ করেন এবং অবসর পরবর্তী উপাচার্যের দায়িত্ব পালনের অনুমতি প্রদান করেন। এর আগেই একই মাসের ২১ তারিখে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

কিন্তু তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে তথ্য গোপন রেখে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন। ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখে সিন্ডিকেটের ৪৭৩ তম সভায় উপাচার্য নিজেই সভাপতিত্ব করে তার ভবিষ্যৎ তহবিলের জমাকৃত অর্থ সুদসহ উত্তোলন করার সিদ্ধন্ত গ্রহণ করেন। উপাচার্য তার পেনশন ভাতার আশি লাখ সাতাশি হাজার আটশত উনসত্তর টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে উত্তোলন করেন।

দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য নিয়োগ পাওয়ার পরে হঠাৎ করে নিজ বিভাগ থেকে পদত্যাগের কারণ ছিল, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের ৯ তারিখে জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন পাশ কাটিয়ে তার প্রাপ্য পেনশনের শতভাগ টাকা উত্তোলন করা। উক্ত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ১ জুলাই ২০১৭ তারিখ হতে পেনশনারগণ তাদের প্রাপ্য পেনশনের শতকরা ৫০ ভাগ বাধ্যতামূলক সমর্পণ করে অবশিষ্ট ৫০ ভাগের নির্ধারিত হারে মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ ‘লঙ্ঘন করে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অসত্য তথ্য প্রদান করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা হারিয়েছেন। উপাচার্য এই আইনি নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে পদত্যাগ করার কথা বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম নাহিদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি। এ ব্যাপারে এখনো কোনো আইনি নোটিশ পাইনি।’

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও  তাকে পাওয়া যায়নি। 

   

সুপ্রিম কোর্টে শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পড়তে হবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে মামলা শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পরিধানের বাধ্যবাধকতা শিথিলের কার্যকারিতা রহিত করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে আইনজীবীবৃন্দের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করে গত ২০ এপ্রিল জারি করা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা রহিত করা হলো।

আরও বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রুলসে উল্লেখিত পরিধেয় পোশাক বিষয় থাকা সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী অনুসরণ করে আইনজীবীবৃন্দ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে অংশগ্রহণ করবেন। ১৯ মে থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।

;

হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ২১ বছর আগের হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন- আনোয়ার হোসেন, মো. বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম ও আব্দুল হক ওরফে আব্দুল্লাহ।

আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের অতিরিক্ত বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। যা অনাদায়ে প্রত্যেক আসামিকে ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আনোয়ার হোসেন ও বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। আসামি আব্দুল হক আব্দুল্লাহ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

২০০৩ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানাধীন খিলবাড়ির টেক ছিকুর প্রজেক্টের দক্ষিণপাশের পুকুরে কচুরি পানার মধ্যে পাটের বস্তা থেকে হাবিলদার সুরুজ আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু বকর মাতুবর বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের নামে এ মামলা করেন।

২০০৬ সালের ৩১ অক্টোবর মামলাটি তদন্তের পর সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল বাতেন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

;

সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিল আবারও পিছিয়েছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। ১০৮ বারের মতো পিছিয়ে আগামী ৩০ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের জিআর শাখার কর্মকর্তা মাসুদ এ তথ্য জানান।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আট জনকে আসামি করা হয়। অপর আসামিরা হলেন, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।

;

ব্লগার নাজিম হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানি ২৪ জুন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।

এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল৷ রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শুরু করেন। অভিযোগ গঠন শুনানির এক পর্যায়ে আসামিরা তাদের আইনজীবী নেই বলে আদালতকে জানান। এসময় আসামিরা মৌখিকভাবে আইনজীবী নিয়োগের কথা জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন।

আদালত শেষবারের মত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৪ জুন পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক, মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের, রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ।

আসামিদের মধ্যে প্রথম পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। শেষের চারজন কারাগারে আছেন। শেষ চারজনকে কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করেছেন কারাকর্তৃপক্ষ।

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

;