এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতি

রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৩ জনের জামিন আদেশ মঙ্গলবার



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, পুরনো ছবি

এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, পুরনো ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান কে এ এম হারুন সহ তিন কর্মকর্তার আগাম জামিন আবেদনের শুনানি শেষে হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এ বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত।

সোমবার (১৫ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ আদেশের এ দিন ধার্য করেন।

জামিন আবেদনকারী অপর দুই কর্মকর্তা হলেন- সাবেক ইমারত পরিদর্শক মো. আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী এবং সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. নজরুল ইসলাম।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে এফআর টাওয়ার ১৬ থেকে ২৩ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগে গত ২৬ জুন ভবনের মালিক, রাজউকের সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।

একটি মামলার আসামি হলেন- এফআর টাওয়ারের মালিক এসএমএইচআই ফারুক, কাসেম ড্রাইসেলের ব্যবস্থপনা পরিচালক (এমডি) তাসভীর-উল-ইসলাম, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান কে এ এম হারুন, সাবেক সদস্য মো. রেজাউল করিম তরফদার, ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়ন গ্রুপের কর্ণধার লিয়াকত আলী খান মুকুল, রাজউকের সাবেক পরিচালক মো. শামসুল আলম, তত্ত্বাবধায়ক মো. মোফাজ্জল হোসেন, সহকারী পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলম, সাবেক প্রধান ইমারত পরিদর্শক মো. মাহবুব হোসেন সরকার, সাবেক ইমারত পরিদর্শক মো. আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী, সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক জাহানারা বেগম, সহকারী পরিচালক মেহেদউজ্জামান, নিম্নমান সহকারী মুহাম্মদ মজিবুর রহমান মোল্লা, অফিস সহকারী মো. এনামুল হক ও বিসিএসআইআরের সদস্য (অর্থ) মুহাম্মদ শওকত আলী, সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবদুল্লাহ আল বাকি, গণপূর্ত অধিদফতরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সৈয়দ নাজমুল হুদা এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামছুর রহমান। 

এ মামলায় ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারের ১৯ তলা থেকে ২৩ তলা নির্মাণ, বন্ধক প্রদান ও বিক্রি করার অভিযোগে দণ্ডবিধির সাতটি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ওই ঘটনায় ২৭ জন মারা যান, আহত হন ৭৩ জন।

   

হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ২১ বছর আগের হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন- আনোয়ার হোসেন, মো. বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম ও আব্দুল হক ওরফে আব্দুল্লাহ।

আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের অতিরিক্ত বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। যা অনাদায়ে প্রত্যেক আসামিকে ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আনোয়ার হোসেন ও বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। আসামি আব্দুল হক আব্দুল্লাহ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

২০০৩ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানাধীন খিলবাড়ির টেক ছিকুর প্রজেক্টের দক্ষিণপাশের পুকুরে কচুরি পানার মধ্যে পাটের বস্তা থেকে হাবিলদার সুরুজ আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু বকর মাতুবর বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের নামে এ মামলা করেন।

২০০৬ সালের ৩১ অক্টোবর মামলাটি তদন্তের পর সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল বাতেন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

;

সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিল আবারও পিছিয়েছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। ১০৮ বারের মতো পিছিয়ে আগামী ৩০ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের জিআর শাখার কর্মকর্তা মাসুদ এ তথ্য জানান।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আট জনকে আসামি করা হয়। অপর আসামিরা হলেন, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।

;

ব্লগার নাজিম হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানি ২৪ জুন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।

এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল৷ রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শুরু করেন। অভিযোগ গঠন শুনানির এক পর্যায়ে আসামিরা তাদের আইনজীবী নেই বলে আদালতকে জানান। এসময় আসামিরা মৌখিকভাবে আইনজীবী নিয়োগের কথা জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন।

আদালত শেষবারের মত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৪ জুন পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক, মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের, রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ।

আসামিদের মধ্যে প্রথম পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। শেষের চারজন কারাগারে আছেন। শেষ চারজনকে কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করেছেন কারাকর্তৃপক্ষ।

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

;

কারাবন্দি বিএনপি নেতা আসলাম ও তার স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কারাবন্দি বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলার আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ মে) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ ড. আবদুল আজিজ ভূঁইয়া এই আদেশ দেন।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর আদালতে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৫ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা এবং তার স্ত্রীর ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৭২৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। গত ৫ মে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আসলাম চৌধুরীকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ৭ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলার আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেন।

দুদকের পিপি কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর আদালতে আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়। গত ৭ মে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক, প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আলোচ্য মামলায় চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলার আয়কর নথি জব্দের অনুমতি প্রার্থনা করেন।

আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গতকাল (মঙ্গলবার) শুনানি শেষে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুই আসামির আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

;