রাজস্ব ফাঁকির ৭ হাজার মামলা উচ্চ আদালতে

আবুল খায়ের গ্রুপের ২০০ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি



নাজমুল আহসান রাজু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
আবুল খায়ের গ্রুপের লোগো

আবুল খায়ের গ্রুপের লোগো

  • Font increase
  • Font Decrease

নামীদামি প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব ফাঁকির ৭ হাজার ১৫২ মামলা বিচারাধীন রয়েছে উচ্চ আদালতে। এরমধ্যে রয়েছে শুল্ক (কাস্টমস) ফাঁকির ২৫২৮ টি আপিল এবং মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকির ৭৬০টি আপিল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট রয়েছে ৩ হাজার ৮৬৪টি।

উচ্চ আদালতে এসব মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে ধীরগতিতে। গত জুন মাসে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র ১৩টি মামলা। চলতি বছরের মে মাসে ৮টি কাস্টমস ও একটি ভ্যাট মামলা এবং জুন মাসে তিনটি কাস্টমস এবং একটি ভ্যাট মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে।

তবে মামলাগুলোর বিপরীতে সঠিক আর্থিক পরিমাণের তথ্য পাওয়া না গেলেও আনুমানিক ৪ হাজার কোটি টাকা আর্থিক বিষয় জড়িত বলে জানা গেছে।

এক আবুল খায়ের গ্রুপের ৫৪ আপিলের বিপরীতেই ২০০ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির বিরুদ্ধে আপিল করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৫৪ টি আপিলের বিপরীতে ২০০ কোটি শুল্ক ফাঁকির আপিল করেছে চট্টগ্রামের কাস্টমস কমিশনার।

জানা গেছে, আবুল খায়ের গ্রুপ, হোলসিম সিমেন্ট (বাংলাদেশ) লিমিটেড, বাটারফ্লাই মাকেটিং লিমিটেড, মংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেড, এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেড, হোটেল কস্তুরি প্রাইভেট লিমিটেডসহ দেশের নামী কোম্পানিগুলোর আপিল ও রিট বিচারাধীন রয়েছে।

বিচারাধীন মামলার মধ্যে ২০১১ থেকে ২০১৫ ও ২০১৬ সালের আপিলের সংখ্যা বেশি। মাঝে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের প্রায় মামলা হয়েছে। চলতি বছর দায়ের করা মামলা এখনো শুনানির জন্য কার্য তালিকায় আসেনি।

রাষ্ট্রপক্ষে শুল্ক ও ভ্যাট আপিল এবং রিট মামলাকে আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রের আর্থিক সম্পক জড়িত থাকায় অ্যাটর্নি  জেনারেল অফিস সব সময় শুল্ক ও ভ্যাটের মামলায় গুরুত্ব দিচ্ছে। একারণে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের আপিল ও রিট শুনানির অপেক্ষায় নেই বললেই চলে। এরআগের মামলাগুলোর পর্যায়ক্রমে শুনানির জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিনি জানান, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বা আপিলকারী পক্ষ যোগাযোগ করলে আমরা তড়িৎ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

বর্তমানে হাইকোর্টের দুটি দ্বৈত বেঞ্চে এবং দুটি একক বেঞ্চে কাস্টমস আপিল ও রিটে আবেদনের শুনানি হচ্ছে। চলতি বছরে মে মাসে ২৫২৫ টি কাস্টমস আপিল এবং ৭৫৩টি ভ্যাট আপিল বিচারাধীন ছিল। মে ও জুনের এক মাসের তুলনামূলক পরিসংখ্যানে দেখা যায় ৩টি কাস্টমস আপিল এবং ৭টি ভ্যাট আপিল যোগ হয়েছে পরবর্তী মাসে।

আপিল আবেদন থেকে দেখা যায়, চীন থেকে ‘কেলন’ ব্যান্ডের রেফ্রিজারেটর আমদানির বিষয়ে ২০১৫ সালে আপিল করেন বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার আগে ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল রাজধানীর কাস্টমস, এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল বাটার ফ্লাই মার্কেটিংয়ের করা আপিল খারিজ করে দেয়।

বাটারফ্লাই মার্কেটিং ‘কেলন’ ব্র্যান্ডের ৩১২ ইউনিট রেফ্রিজারেটর আমদানি করে ২০১০ সালে। সঙ্গে খুচরা যন্ত্রাংশও ছিল। মূল্য ১৫ হাজার ৬০০ ডলার। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিক সম্পন্ন করে এগুলো আমদানি পর কমলাপুর আইসিডি থেকে এসব পণ্য খালাস করতে ২০১১ সালের ২১ মাচ বিল জমা দেয় কোম্পানিটি। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য সরেজমিন পরিদর্শন করে মান, পরিমাণ ও পণ্যের কোড যাচাই করে।

আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ৫ লাখ ৯৩ হাজার ১০৮ টাকার শুল্ক আরোপ করে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে বেসিক ব্যাংকের গ্যারান্টি দেখিয়ে পণ্য খালাস করে বাটারফ্লাই। পণ্য খালাসের পর তারা কাস্টমস (আপিল) কমিশনারের কাছে আবেদন করে। আবেদনে কোম্পানিটি দাবি করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বেআইনিভাবে পণ্যেও মূল্য নির্ধারণ করেছে। কোন যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি ছাড়া এবং আইন বর্হিভূতভাবে এ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। চালানের ভিত্তিতে মূল্য পুননির্ধারণের জন্য বাটারফ্লাই আবেদন করে। ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর কাস্টমস কমিশনার তাদের আবেদন খারিজ করে দেয়। এর বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল কাস্টমস, এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালেও তা বহাল থাকে।

হোলসিম সিমেন্ট (বাংলাদেশ) লিমিটেড তাদের ৫০ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে। ঢাকার কাস্টমস, এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি দেওয়া রায়ে ওই জরিমানা বহাল থাকলে তারা এ চ্যালেঞ্জ করে।

সিমেন্ট উৎপাদন আরো বাড়াতে আরেকটি কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক মতিঝিল শাখার মাধ্যমে ভারত থেকে যন্ত্রপাতি আমদানি করে হোলসিম। আমদানিকৃত যন্ত্রপাতির মূল্য এক কোটি ৫৩ লাখ ৫ হাজার ৬৭৯ ডলার।

এলসি খোলার পর ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি হোলসিম আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি আমদানিতে রেয়াত পেতে আবেদন করে এনবিআরে। ১৭ জানুয়ারি রেয়াতের আবেদনে সাড়া দিয়ে একটি চিঠি ইস্যু করে এনবিআর। যন্ত্রপাতি আসার পর নারায়নগঞ্জ বন্দরে তা খালাসের জন্য বিল জমা দেওয়া হলে এইচএস কোডের ভিত্তিতে পণ্য খালাসের অনুমতি দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

খালাসের পর ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ১ কোটি ৯৬ লাখ ৫২ হাজার ১৩৩ টাকা শুল্ক দাবি করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় হোলসিমকে। কেন আপিলকারীর বিরুদ্ধে শাস্তি আরোপ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয় নোটিশে। পরে আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আপিল করলে সেখানেও তা বহাল থাকে।

আবুল খায়ের স্টিল প্রোডাক্টস লিমিটেড জাপান থেকে প্রাইম কোয়ালিটির ইলেকট্রোলাইট টিন প্লেট আমদানি করে ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। পণ্য খালাসের জন্য বিল জমা দেওয়ার পর প্রতি টন ২৭০ ডলার মূল্যের পরিবর্তে ৩০০ ডলার মূল্য নির্ধারণ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এরপর পণ্য খালাস করে কাস্টমসের রিভিউ কমিটির কাছে আবেদন করে আবুল খায়ের স্টিল। ২০১৬ সালের ৩ আগস্ট রিভিউ কমিটি অতিরিক্ত নেওয়া অর্থ আবুল খায়ের স্টিলকে ফেরত দিতে কাস্টমসকে নির্দেশ দেয়। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালেও তা বহাল থাকে ট্রাইব্যুনালের এ রায়ের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল করেন কাস্টমস কমিশনার (আমদানি)।

রাজধানীর পুরানা পল্টনের হোটেল কস্তুরি প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আহমেদের ভ্যাট ফাঁকির একটি আপিল বিচারাধীন রয়েছে হাইকোর্টে। ৯ লাখ ২৬ হাজার ৫৩৭ টাকার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে শুল্ক গোয়েন্দা ইউনিটের কর ধার্যের বিরুদ্ধে তিনি আবেদন করলে ২০১৮ সালের ৪ জুন কাস্টমস কমিশনার তা খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে তিনি আপিল করলে চলতি বছর ২৫ মে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে কাস্টমস কমিশনারের আদেশ বহাল থাকে। ট্রাইব্যুনালের এ রায়ের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২৪ জুলাই হোটেল কস্তুরির মালিক কাওসার আহমেদ এ আপিল দায়ের করেন।

সেনা কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠান মংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেডের ক্লিংকার আমদানির বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল করা হয়েছে হাইকোর্টে। ক্লিংকার আমদানিতে ১ শতাংশের পরিবর্তে কাস্টমস ২ শতাংশ শুল্ক মূল্য নির্ধারণ করলে তাতে অসন্তুষ্ট মংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি আইনি লড়াইয়ে নামে।

   

হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ২১ বছর আগের হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন- আনোয়ার হোসেন, মো. বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম ও আব্দুল হক ওরফে আব্দুল্লাহ।

আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের অতিরিক্ত বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। যা অনাদায়ে প্রত্যেক আসামিকে ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আনোয়ার হোসেন ও বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। আসামি আব্দুল হক আব্দুল্লাহ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

২০০৩ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানাধীন খিলবাড়ির টেক ছিকুর প্রজেক্টের দক্ষিণপাশের পুকুরে কচুরি পানার মধ্যে পাটের বস্তা থেকে হাবিলদার সুরুজ আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু বকর মাতুবর বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের নামে এ মামলা করেন।

২০০৬ সালের ৩১ অক্টোবর মামলাটি তদন্তের পর সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল বাতেন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

;

সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিল আবারও পিছিয়েছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। ১০৮ বারের মতো পিছিয়ে আগামী ৩০ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের জিআর শাখার কর্মকর্তা মাসুদ এ তথ্য জানান।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আট জনকে আসামি করা হয়। অপর আসামিরা হলেন, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।

;

ব্লগার নাজিম হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানি ২৪ জুন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।

এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল৷ রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শুরু করেন। অভিযোগ গঠন শুনানির এক পর্যায়ে আসামিরা তাদের আইনজীবী নেই বলে আদালতকে জানান। এসময় আসামিরা মৌখিকভাবে আইনজীবী নিয়োগের কথা জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন।

আদালত শেষবারের মত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৪ জুন পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক, মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের, রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ।

আসামিদের মধ্যে প্রথম পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। শেষের চারজন কারাগারে আছেন। শেষ চারজনকে কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করেছেন কারাকর্তৃপক্ষ।

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

;

কারাবন্দি বিএনপি নেতা আসলাম ও তার স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কারাবন্দি বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলার আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ মে) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ ড. আবদুল আজিজ ভূঁইয়া এই আদেশ দেন।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর আদালতে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৫ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা এবং তার স্ত্রীর ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৭২৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। গত ৫ মে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আসলাম চৌধুরীকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ৭ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলার আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেন।

দুদকের পিপি কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর আদালতে আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়। গত ৭ মে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক, প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আলোচ্য মামলায় চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলার আয়কর নথি জব্দের অনুমতি প্রার্থনা করেন।

আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গতকাল (মঙ্গলবার) শুনানি শেষে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুই আসামির আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

;