জাহালম: দুদকের ১১ ও ব্যাংকের ১০ কর্মকর্তার তালিকা জমা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
জাহালমের কারাভোগের ঘটনায় দুদক, ব্র্যাক ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে/ ছবি: সংগৃহীত

জাহালমের কারাভোগের ঘটনায় দুদক, ব্র্যাক ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাটকল শ্রমিক জাহালমের বিনা অপরাধে কারাভোগের জন্য দায়ী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১১ কর্মকর্তার তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ব্র্যাক ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা ও সোনালী ব্যাংকের আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

১১ কর্মকর্তা হলেন-দুদকের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আব্দুল্লাহ-আল-জাহিদ, রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শেখ মেজবাহ উদ্দিন, উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান, বরিশাল জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (সাবেক সহকারী পরিচালক) দেবব্রত ম-ল, উপ-পরিচালক সেলিনা আক্তার মনি, ঢাকা-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমিত্রা সেন, সহকারী পরিচালক সিলভিয়া ফেরদৌস, সহকারী পরিচালক মেফতাহুল জান্নাত, সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ও কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (সাবেক উপসহকারী পরিচালক) রাফী মো. নাজমুস সাদাত।

বুধবার (২৮ আগস্ট) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে এ তালিকা দাখিল করা হয়।

আদালতে তালিকা উপস্থাপন করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান। সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ মো. জাকির হোসেন।

এদিকে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরা হলেন-শ্যামলী শাখার ব্যবস্থাপক সাবিনা শারমীন ও আসাদগেট শাখার ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. ফয়সাল কায়েস।

সোনালী ব্যাংক পৃথক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে আট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরা হলেন-সোনালী ব্যাংকের মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক আজিজুল হক, একই শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক আখলাফুন নাহার, একই শাখার সাবেক সিনিয়র অফিসার নিজাম উদ্দিন, একই শাখার সাপোর্টিং সাব স্টাফ মো. মাইনুল হক, ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সাপোর্টিং সাব স্টাফ মো. মিজানুর রহমান, স্থানীয় কার্যালয়ের সাপোর্টিং সাব স্টাফ আজিজুল হক, স্থানীয় কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান এবং স্থানীয় কার্যালয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহতাব উদ্দিন।

গত ২১ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগীয় মামলা দায়ের করা ১১ কর্মকর্তার তালিকা জমা দিতে বলেন। এ নির্দেশ অনুযাীয় তালিকা দাখিল করেন দুদকের আইনজীবী।

শুনানিতে আদালত দুদকের আইনজীবীকে বলেন, ‘আপনারা প্রতিবেদন দিয়ে স্বীকার করেছেন যে আপনাদের ভুলের শিকার জাহালম। এখন জাহালমকে ক্ষতিপূরণ দিন।’

দুদক আইনজীবী বলেন, ‘স্বীকার করেছি ঠিক। এজন্য বিভাগীয় মামলাও হয়েছে। শুধুই দুদক একা নয়, ব্যাংকেরও দায় ছিল।’ 

আদালত বলেন, ‘ক্ষতিপূরণ নিয়ে যে রুল আছে তার ওপর শুনানি হোক।’

তখন দুদকের আইনজীবী বলেন, ‘এখনই রুলের শুনানি করা ঠিক হবে না। দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। তার তদন্ত হবে। এরপর কার দায় কতটুকু তা নির্ধারিত হবে।’

এ সময় আদালত বলেন, ‘বিভাগীয় ব্যবস্থা কবে শেষ হবে। তার সে পর্যন্ত জাহালম কি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবে?’ 

পরে আদালত আগামী ২৪ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

   

সুপ্রিম কোর্টে শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পড়তে হবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে মামলা শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পরিধানের বাধ্যবাধকতা শিথিলের কার্যকারিতা রহিত করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে আইনজীবীবৃন্দের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করে গত ২০ এপ্রিল জারি করা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা রহিত করা হলো।

আরও বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রুলসে উল্লেখিত পরিধেয় পোশাক বিষয় থাকা সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী অনুসরণ করে আইনজীবীবৃন্দ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে অংশগ্রহণ করবেন। ১৯ মে থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।

;

হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ২১ বছর আগের হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন- আনোয়ার হোসেন, মো. বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম ও আব্দুল হক ওরফে আব্দুল্লাহ।

আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের অতিরিক্ত বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। যা অনাদায়ে প্রত্যেক আসামিকে ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আনোয়ার হোসেন ও বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। আসামি আব্দুল হক আব্দুল্লাহ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

২০০৩ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানাধীন খিলবাড়ির টেক ছিকুর প্রজেক্টের দক্ষিণপাশের পুকুরে কচুরি পানার মধ্যে পাটের বস্তা থেকে হাবিলদার সুরুজ আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু বকর মাতুবর বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের নামে এ মামলা করেন।

২০০৬ সালের ৩১ অক্টোবর মামলাটি তদন্তের পর সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল বাতেন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

;

সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিল আবারও পিছিয়েছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। ১০৮ বারের মতো পিছিয়ে আগামী ৩০ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের জিআর শাখার কর্মকর্তা মাসুদ এ তথ্য জানান।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আট জনকে আসামি করা হয়। অপর আসামিরা হলেন, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।

;

ব্লগার নাজিম হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানি ২৪ জুন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।

এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল৷ রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শুরু করেন। অভিযোগ গঠন শুনানির এক পর্যায়ে আসামিরা তাদের আইনজীবী নেই বলে আদালতকে জানান। এসময় আসামিরা মৌখিকভাবে আইনজীবী নিয়োগের কথা জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন।

আদালত শেষবারের মত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৪ জুন পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক, মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের, রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ।

আসামিদের মধ্যে প্রথম পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। শেষের চারজন কারাগারে আছেন। শেষ চারজনকে কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করেছেন কারাকর্তৃপক্ষ।

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

;