রিফাত হত্যা: হাইকোর্টে মিন্নির জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। জামিনে থাকা অবস্থায় মিন্নি তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের জিম্মায় থাকবে। তবে এ সময়ে মিন্নি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবে না। গণমাধ্যমের সামনে কথা বললে তার জামিন বাতিল হবে।

মামলার তদন্ত পর্যায়ে গণমাধ্যমে কতটুকু প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে সে বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ স্থায়ী জামিনের এ রায় দেন। রায়ের সময় মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালতে মিন্নির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন। বিশেষজ্ঞ হিসেবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী মিন্নির শুনানিতে অংশ নেন। মিন্নির আইনজীবীকে সহায়তা করেন আইনজীবী জেসমিন সুলতানা ও জামিউল হক ফয়সাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসাইন বাপ্পী।

রায়ে আদালত জামিন অংশে বলেছেন, এজাহারে আসামির নাম উল্লেখ না থাকা, গ্রেফতার পূর্ব অব্দি দীর্ঘ সময়ে স্থানীয় পুলিশ লাইনসে আটক এবং গ্রেফতারের প্রক্রিয়া, আদালতে হাজির করে রিমান্ড শুনানির সময়ে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ না পাওয়া, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক লিপিবদ্ধ করার পূর্বেই আসামির দোষ স্বীকার সম্পর্কিত জেলা পুলিশ সুপারের বক্তব্য, তদন্তকারী কর্মকর্তার মতে মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। সুতরাং আসামিকে কর্তৃক তদন্ত প্রভাবিত করার কোনো সুযোগ না থাকায় সর্বোপরি ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৯৭ ধারার ব্যতিক্রম অর্থাৎ আসামি একজন মহিলা। এ বিষয়গুলো বিবেচনা করে আমরা তাকে জামিন দেওয়া ন্যায়সঙ্গত মনে করছি।  জারি করা রুলটি আমরা যথাযথ ঘোষণা করলাম রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন,  আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি রিমান্ডে থাকা অবস্থায় বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার  মারুফ হোসেন গণমাধ্যমের মুখোমুখী হন। মিন্নি দোষ স্বীকার করেছেন মর্মে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা শুধু অযাচিত অনাকাঙ্খিত নয় বরং ন্যায় নীতি সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের পরিপন্থী।

আদালত বলেন, পরিস্থিতি ও বাস্তবতা যাই হোক না কেন কোন পুলিশ সুপারের মত দায়িত্বশীল পদে থেকে এ ধরনের বক্তব্য জনমনে নানান প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে। একদিকে যেমন জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছেন তেমনি তিনি তার দায়ীত্বশালতা ও পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন, তা দুঃখজনক এবং হতাশাজনক। উচ্চ পর্যায়ের একজন পুলিশ কর্মকর্তার নিকট হতে এ ধরনের কাজ প্রত্যাশিত এবং কাম্য নয়। ভবিষ্যতে দায়িত্ব পালনে আরও সতর্কতা ও পেশাদারিত্বের পরিচায় দেবেন আদালতের এটাই কাম্য।

মামলাটি তদন্ত কাজ যেহেতু এখনও চলমান সে কারণে এই মুহূর্তে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে আদালত বিরত থাকছে। তবে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক সময়মত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ করা সঙ্গত হবে যে, ইদানিং প্রায়শ লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সংগঠিত আলোচিত ঘটনার তদন্তকালীন সময়ে পুলিশ, র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তদের বিষয়ে এবং তদন্ত সম্পর্কে প্রেস ব্রিফিং করা হয়ে থাকে। গ্রেফারকৃত সন্দেহভাজন বা অভিযুক্তদের কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই গণমাধ্যমে সামনে হাজির করা হয়, যা অনেক প্রশ্নের উদ্রেক করে। যদিও বা এ বিষয়ে অত্র আদালত একটি রায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

পর্যবেক্ষণে আরো বলা হয়, অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে তদন্ত বিষয়ে অতি উৎসাহ নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিতে দেখা যায়। একথা আমাদের সকলেকেই মনে রাখতে হবে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে অভিযোগ প্রমাণিত না হচ্ছে, ততক্ষণ বলা যাবে না সে অপরাধী বা অপরাধ করেছে। তদন্ত বা বিচার পর্যায়ে এমনভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করা উচিত নয় যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধী। সে কারণে মামলার তদন্ত পর্যায়ে তদন্তের অগ্রগতি বা গ্রেফতারকৃতদের বিষয়ে গণমাধ্যমে কতটুকু বিষয় প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে সে বিষয়ে একটি নীতিমালা করা বাঞ্ছনীয়। এই নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রচারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ প্রদান করা হলো।

বুধবার (২৮ আগস্ট) মিন্নিকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানি হয় হাইকোর্টে। শুনানিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর মামলার নথি নিয়ে হাজির হন। শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছিল।

এর আগে ২০ আগস্ট মিন্নিকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ২৮ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে সিডি (কেস ডকেট) নিয়ে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়। এছাড়া মিন্নির দোষ স্বীকার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে পুলিশ সুপারকে (এসপি) লিখিত ব্যাখ্যা দিতেও বলা হয়।

গত ৮ আগস্ট বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চ মিন্নির জামিন না দিয়ে রুল জারি করতে চাইলে আইনজীবীরা আবেদন ফেরত নেন। এরপর গত ১৮ আগস্ট হাইকোর্টের রায় প্রদানকারী বেঞ্চে এটি দাখিল করা হয়।

২৬ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে রিফাত শরীফকে কোপাতে থাকে সন্ত্রাসীরা। স্ত্রী মিন্নি রিফাতকে রক্ষার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ২ জুলাই ভোরে প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

১৬ জুলাই সকালে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরগুনার পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রিফাত হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ওই দিন রাত ৯টার দিকে মিন্নিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

   

সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রার সম্পাদকসহ দু’জনের অর্থদণ্ড



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রার সম্পাদক এসএম মোরশেদ ও সিনিয়র রিপোর্টার এজাজ রহমানকে অর্থদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রোববার (২৬ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএম জুলফিকার হায়াতের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে এসএম মোরশেদকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও এজাজ রহমানকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার আগে তারা জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। অর্থদণ্ড পরিশোধ করবেন জানিয়ে তারা এক মাস সময় আবেদন করেন। আদালত তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন।

২০২০ সালের অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানকে নিয়ে সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রায় নারী লোভী, অর্থ আত্মসাৎকারী, নারী ও মাদকাসক্ত, নারী পাচারকারী, দুর্নীতিবাজ, ক্ষমতার অপব্যবহারী মর্মে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এসএম মোরশেদ ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর তার ফেসবুক আইডি থেকে সংবাদের স্ক্রিনশট আকারে বিভিন্ন মানুষের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন।

এমন অভিযোগ এনে ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন মনিরুজ্জামান। আদালত ঘটনার বিষয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

২০২২ সালের ৩০ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশন এর উপপরিদর্শক মো. শাহজালাল আদালতে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

;

বেনজীর ও তার পোষ্যদের আরও ১১৯টি সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও তিন সন্তানের আরও ১১৯টি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার (২৬ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসসামছ জগলুল হোসেন এ নির্দেশ দেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও তিন সন্তানের নামে থাকা আরও ১১৩টি দলিলের সম্পদ ও গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ক্রোক এবং অনেকগুলো কোম্পানিতে তাদের নামে থাকা শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পদ জব্দের এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে তার স্ত্রী ও মেয়ের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবগুলোও অবরুদ্ধ করতে আদালত আদেশ দেন।

তার আগে, গত মাসের ২২ এপ্রিল বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টে রিট দায়ের করা করেন।

প্রসঙ্গত, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক জাতীয় দৈনিকের দাবি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে এক ভিডিও বার্তায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেনজীর আহমেদ বলেন, মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।

বেনজীর আহমেদের দাবি, কিছু তথ্য ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।

;

তীব্র তাপদাহে এজলাসেই আইনজীবীর হিটস্ট্রোক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
তীব্র তাপদাহে এজলাসেই আইনজীবীর হিটস্ট্রোক

তীব্র তাপদাহে এজলাসেই আইনজীবীর হিটস্ট্রোক

  • Font increase
  • Font Decrease

এজলাস কক্ষে মামলা শুনানির সময় তাপদাহে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আলতাফ হোসেন নামে এক আইনজীবী অসুস্থ হয়েছেন। দ্রুত তাকে পার্শ্ববর্তী ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

রোববার (২৬ মে) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা পরিচালনার সময় সকাল সোয়া ১১টার দিকে হঠাৎ করে এ আইনজীবী অসুস্থ হয়ে পড়েন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবীর বাবুল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলা পরিচালনার সময় কোর্ট এজলাস কক্ষে আমাদের এক আইনজীবী হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সর্বশেষ খবর পর্যন্ত তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, গত ১৯ মে নিম্ন আদালতে কোট-গাউন পরিধানের আদেশ বহালের পর থেকে এ পর্যন্ত অনেক আইনজীবী অসুস্থ হয়েছেন। তাই মাননীয় প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন, প্রচণ্ড গরম থাকা পর্যন্ত আমাদের কোট-গাউন পরিধানের বিষয়টি তিনি শিথিল করেন।

গত বৃহস্পতিবার ৩ মাস সাদা শার্ট, সাদা শাড়ি/সালোয়ার কামিজ ও সাদা নেক ব্যান্ড/কালো টাই পরিধান করে মামলা পরিচালনার অনুমতি চেয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতি। ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ার শাহাদাত (শাওন) স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক সৈয়দা ফরিদা ইয়াসমিন জেসি এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চিঠিটি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে পৌঁছানো হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়, ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আইনজীবী সমিতি এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম আইনজীবী সমিতি। বর্তমানে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য সংখ্যা ৩১ হাজার ১০৪ জন। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও অতিমাত্রায় উষ্ণতার কারণে বর্তমানে বাংলাদেশের তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজ্ঞ আইনজীবীরা গরমে সীমাহীন কষ্ট ভোগ করছেন। বিশেষ করে মামলা শুনানিসহ মামলার অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার সময় এবং চারটি এজলাস কক্ষ ব্যতীত অন্যান্য সব এজলাস কক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত না হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে গরম অনুভূত হওয়ায় মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করতে খুবই অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে।

প্রচণ্ড গরমে গত বছর কোর্ট অঙ্গনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হিটস্ট্রোক করে অ্যাডভোকেট শফিউল আলম (৪২) মারা গিয়েছিলেন। তাছাড়া তীব্র দাবদাহের কারণে প্রতিনিয়ত আইনজীবীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এবং আইনজীবীদের মধ্যে হিটস্ট্রোকের ভীতি অনুভূত হচ্ছে। এছাড়া আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে তীব্র তাপপ্রবাহ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। পোশাক সংক্রান্ত গত ১৯ মের আদেশ প্রত্যাহারপূর্বক গত ৪ এপ্রিলের বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা আরও ৩ মাস বৃদ্ধি করে আগামী ১৯ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানানো হয়।

;

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ার উল হক মারা গেছেন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ার উল হক মারা গেছেন

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ার উল হক মারা গেছেন

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ার উল হক আর নেই।

রোববার (২৬ মে) রাত ২টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন।

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছেন।

রোববার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে মরহুমদর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

;