যার আইনি সহায়তায় বদলেছে অনেকের ভাগ্য



নাজমুল আহসান রাজু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া আইন পেশায় এসেছেন বেশি দিন হয়নি। এরইমধ্যে চাকরি সংক্রান্ত (সার্ভিস ম্যাটার) মামলায় দেশজুড়ে তার সুনাম। শিক্ষক ও অসংখ্য চাকরিজীবীর ভাগ্য বদলেছে তার দেওয়া আইনি সহায়তায়। অনেকের চাকরি জাতীয়করণ হয়েছে, কেউ পেয়েছেন পদোন্নতি, কারো গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্ত করার নির্দেশনা এসবই এসেছে তার আইনি সহায়তায়। মূলত শ্রম, কর্মনিষ্ঠা ও সততার গুণে এসব সাফল্য এসেছে বলে মনে করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া মিয়া।

গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমটোয়েন্টিফোর.কম-কে আইনজীবী হয়ে ওঠার গল্প শুনিয়েছেন অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া। সাক্ষাৎকারের চম্বুক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

 

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: আপনার প্রথম মামলা সম্পর্কে বলুন।

ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া: ভোলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অফিস সহকারি পদে লিখিত ও ভাইবায় উত্তীর্ণ হলেও নিয়োগ দেওয়া হয়নি বনি আমিন নামের এক ছেলেকে। পরে তাকে আইনগত সহায়তা দেই। পরে উচ্চ আদালত তার নিয়োগের পক্ষে রায় দেন এবং ছেলেটি চাকরিতে যোগদান করে।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: চাকরি সংক্রান্ত আইনজীবী হিসেবে সফলতার কারণ কী?

সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া: চাকরির মামলার ক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম, সততা ও নিষ্টার কারণে আমি এ সাফল্য পেয়েছি। ২০১০ সালের ৬ মে ১৬শ’ স্কুল এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ওই বছর চারশ স্কুলকে বাদ দেওয়া হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পঞ্চগড়, ভোলা, টাঙ্গাইলসহ কয়েকটি জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে হাইকোর্টে রিট করি। আদালত তাদের পক্ষে রায় দেন এবং এমপিওভুক্ত করার নির্দেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টেও এ রায় বহাল থাকে।

এরপর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্যানেলভুক্ত সহকারী শিক্ষকদের পক্ষে মামলা করি। যা আমার আইন পেশায় অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলার একটি। প্রায় ৪২ হাজার প্যানেল শিক্ষকের মধ্যে দশ হাজার জনকে নিয়োগ দেওয়া হলেও বাকিদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এতে বঞ্চিত প্রার্থীরা হাইকোর্টে মামলা করেন। সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে কাজ করে পক্ষে রায় পাই। আদালতের রায়ের আলোকে প্রায় ৩২ হাজার প্যানেল শিক্ষক নিয়োগ পান।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: কোন দিকে নজর দিলে শিক্ষকদের দুর্ভোগের অবসান হবে?

ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া: আমরা ব্যক্তি হিসেবে শিক্ষকদের মর্যাদা দিলেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের মর্যাদা নিশ্চিতের বিষয়ে বেশ উদাসীনতা। তাই শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানে সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। সচিব পদমর্যাদার একজনকে প্রধান করে সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে তাদের সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে এবং সেগুলো সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে।

তবে শিক্ষকদের মধ্যেও বিভক্তি থাকায় তারা দাবি আদায় করতে পারেন না। সব সংগঠন ঐক্যবদ্ধ থাকলে সফলতা আসবেই। বিশেষ করে সমালোচনা ও লজ্জার ভয়ে শিক্ষকরা আন্দোলন করতে চান না। অথচ গার্মেন্টস শ্রমিক ও অন্য পেশাজীবীরা আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করেন।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: আপনার করা চাকরি সংক্রান্ত মামলার রায় সম্পর্কে বলুন।

ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া: সরকারের ‘আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পে যারা চাকরি করেন তাদের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও বাইরে থেকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে রিট করা হলে রুল নিষ্পত্তি করে ১২৯ জনকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে সিনিয়র কর্মকর্ত পদে নিয়োগের রায় দেন হাইকোর্ট। আমি তাদের আইনি সহায়তা দিয়েছি।

এছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ৫২ জন প্রোগ্রামারের চাকরিতে যোগদান, ৩৫তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ১৭ জনের চাকরিতে যোগদান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ জন সহকারী শিক্ষককে জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেড প্রদান, সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৪তম গ্রেডে নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সারাদেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আইসিটির ১৩৮ জন সহকারী শিক্ষকের পদ সংরক্ষণ, গত ২২ মে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য এনটিআরসিএ সনদধারী পঁয়ত্রিশোর্ধ বয়সের প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ ও মেধাতালিকা অনুসারে নিয়োগের নির্দেশ, গত ১ আগস্ট পিটিআই (প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) সংলগ্ন পরিক্ষণ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চান হাইকোর্ট।

আর সদ্য জাতীয়করণ করা দ্বিতীয় ধাপে সহকারী শিক্ষক হিসেবে গেজেটভুক্তদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদানের জন্য রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: আইনজীবী হওয়ার পেছনের গল্প বলুন।

ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া: বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন স্যার আমার বাবা ও নানার পরিচিত। পারিবারিকভাবে তার কাছে আসা যাওয়ার কারণে আইন পেশায় আসার অনুপ্রেরণা পাই।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: আইন পেশায় আপনার খ্যাতি ও সুনামের কারণ কী?

ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া: সুপ্রিম কোর্ট অনেক বড় জায়গা। আমি সবে শুরু করেছি। এখনো শিখছি। সিনিয়র আইনজীবীরা আমাকে ভালবাসেন, পছন্দ করেন। তাদের প্রশংসা ও পছন্দই এক পর্যায়ে সুনামে পরিণত হয়েছে। আইন পেশায় ধৈর্য্য, শ্রম ও প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়। বিশেষ করে চাকরি সংক্রান্ত মামলায় অত্যন্ত পরিশ্রম, অধ্যাবসায় এবং ধৈর্য্য নিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। আমি এসব অনুসরণ করার চেষ্টা করি।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: আইন পেশায় সফল হতে আপনার পরামর্শ কী?

ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া: এ পেশায় সফল হতে হলে পরিশ্রমী এবং আদালতমুখী হতে হবে। এছাড়া প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে। নিজের লাইব্রেরি থাকলে ভালো। আদালতে গেলে সিনিয়র ও দক্ষ আইনজীবীদের যুক্তি উপস্থাপন মনোযোগসহকারে শুনতে হবে। আর বিচার প্রার্থীদের সেবা দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে, পেশাগত সততা ও স্বচ্ছতাও রক্ষা করতে হবে।

   

কারাবন্দি বিএনপি নেতা আসলাম ও তার স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কারাবন্দি বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলার আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ মে) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ ড. আবদুল আজিজ ভূঁইয়া এই আদেশ দেন।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর আদালতে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৫ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা এবং তার স্ত্রীর ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৭২৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। গত ৫ মে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আসলাম চৌধুরীকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ৭ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলার আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেন।

দুদকের পিপি কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর আদালতে আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়। গত ৭ মে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক, প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আলোচ্য মামলায় চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলার আয়কর নথি জব্দের অনুমতি প্রার্থনা করেন।

আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গতকাল (মঙ্গলবার) শুনানি শেষে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুই আসামির আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

;

বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

  • Font increase
  • Font Decrease

মিশর থেকে বোয়িংয়ের দু’টি উড়োজাহাজ লিজ গ্রহণ ও রি-ডেলিভারি পর্যন্ত বিমানের ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমতি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৪ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে। আদালতে দুদক শাখা জানায়, চার্জশিট অনুমোদন হয়েছে। শীঘ্রই তা আদালতে উপস্থাপন করা হবে। দুদকের উপপরিচালক আনোয়ারুল হক মামলাটি তদন্ত করছেন।

চার্জশিটভুক্তরা হলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেভিন জন স্টিল, সাবেক পরিচালক ফ্লাইট অপারেশনস ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদ, সাবেক ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল আলম সিদ্দিক, সার্ভিসেস অ্যান্ড অডিটের সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ হানিফ, সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার দেবেশ চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের প্রকৌশলী কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া, প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার (স্ট্রাকচার) শরীফ রুহুল কুদ্দুস, সাবেক উপপ্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, সাবেক ইঞ্জিনিয়ার মো. জাহিদ হোসেন, প্রকৌশলী কর্মকর্তা হীরালাল চক্রবর্তী, লুৎফর রহমান ও প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার অশোক কুমার সর্দার।

এ ছাড়াও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (এওসি-এয়ারওয়ার্দিনেস) মোহাম্মদ সফিউল আজম, সহকারী পরিচালক (এরোস্পেস/এভিয়নিক্স) দেওয়ান রাশেদ উদ্দিন, উপপরিচালক আব্দুল কাদির ও এয়ারওয়ার্থনেস কনসালটেন্ট গোলাম সারওয়ারকেও আসামি করা হয়েছে।

অব্যাহতি সুপারিশকৃত ১৪ জন হলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান প্রকৌশলী এ আর এম কায়সার জামান, মহাব্যবস্থাপক আবদুর রহমান ফারুকী, ডিজিএম কামাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ক্যাপ্টেন মো. নজরুল ইসলাম শামিম, উপমহাব্যবস্থাপক জিয়া আহমেদ, সাবেক চিফ পার্সার কাজী মোসাদ্দেক আলী, ফ্লাইট পার্সার শহিদুল্লাহ কায়সার ডিউক, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আজাদ রহমান, সাবেক ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল কাদির, সহকারী ব্যবস্থাপক মো. ফজলুল হক বসুনিয়া, ব্যবস্থাপক মো. আতাউর রহমান, চিফ পার্সার মোহাম্মদ সাজ্জাদ উল হক (শাহিন), ফ্লাইট পার্সার শাহনাজ বেগম ঝর্ণা ও সাবেক চিফ ইঞ্জিনিয়ার গাজী মাহমুদ ইকবাল।

২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দুদকের উপপরিচালক জেসমিন আক্তার। এদের মধ্যে থেকে ১৪ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্তে নাম আসায় নতুন করে ৭ জনকে আসামি করা হয়। 

;

কাচ্চি ভাই’র মালিক সোহেল সিরাজের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় মালিক সোহেল সিরাজকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক এ জামিন মঞ্জুর করেন। সিরাজের পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী নজিবুল্লাহ হিরু, মোখলেছুর রহমান বাদলসহ প্রমুখ আইনজীবী।

শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, সোহেল সিরাজ ঘটনার সময় বিদেশে ছিলেন। এ ঘটনায় তার কোনো অবহেলা নেই। এ মামলায় আগে গ্রেফতার চারজন জামিনে আছেন। তিনি একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। আয়কর দাতা। জামিনে মুক্তি দিলে তিনি পালাবেন না। শুনানি শেষে আদালত ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ৭ মে রাতে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলে ইমেগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির কাছে হস্তান্তর করে।

৮ মে সিআইডি তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই রিমান্ড শেষে গত ১০ মে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ৪৬ জন মারা যায়। জীবিত উদ্ধার করা হয় ৭৫ জনকে। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু। ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছিল বিরিয়ানির দোকান কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মামলা করে। ঘটনার পরপরই সোহেল সিরাজ দেশ থেকে মালয়েশিয়া চলে যান। সিরাজকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এ মামলায় মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।

;

কনডেমড সেল নিয়ে হাইকোর্টের রায় চেম্বার আদালতে স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফাঁসির চূড়ান্ত রায়ের আগে কনডেমড সেলে নেওয়া যাবে না মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বুধবার (১৫ মে) চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত করেন। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে।

এর আগে, চূড়ান্ত রায়ের আগে কোনো ফাঁসির আসামিকে কনডেম সেলে নেওয়া যাবে না বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। মঙ্গলবার (১৪ মে) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ আপিল করেন।

তার আগে, সোমবার (১৩ মে) মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেমড সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী রায় ঘোষণা করা হয়।

রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা যাবে না। বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে রায়ে। তবে, বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেমড সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিন কয়েদি। ওই রিট শুনানি করে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এরপর গত বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেমড সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

রিট আবেদনকারী হলেন চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেমড সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম।

;