ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখে যেসব খাবার

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বয়স হলে চেহারায় তার ছাপ পড়ে। অথচ কে না চায় তারুণ্য ধরে রাখতে! চাইলেই কি হয়? উত্তর হ্যাঁ অবশ্যই হয়। তবে তার জন্য জীবনযাত্রার পরিবর্তের সাথে খাদ্যভাস ও অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ। কিছু খাবার বয়সকে ধরে রাখতে তথা বয়সের ছাপকে প্রতিহত করতে কাজ করে। জানুন এমন কয়েকটি খাদ্য উপাদান সম্পর্কে।

গাজর

বিজ্ঞাপন

গাজর থেকে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণ বেটা ক্যারোটিন, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও ত্বকে বয়সের ছাপ রোধ করতে কাজ করে। ক্যালিফর্নিয়ার ডার্মাটোলজিস্ট সিনথিয়া বেইলি জানান, বেটা ক্যারোটিন হল এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা অ্যান্টি এইজিং উপাদান হিসেবে কাজ করে।

চা

বিজ্ঞাপন

লাল চা কিংবা গ্রিন টি এক্ষেত্রে উপকারী পানীয় হিসেবে কাজ করবে। গবেষকেরা তাদের পরীক্ষা থেকে দেখেছেন, চায়ে উপস্থিত ফ্ল্যাভনয়েড সমূহ অস্টিওপরোসিস (হাড়জনিত সমস্যা) দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে আনে।

barta24

আঙ্গুর

মিষ্টি এই ফলটি থেকে পাওয়া যায় প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল। যা মস্তিক, কোলন, চোখ ও হৃদস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। বয়স বৃদ্ধির সাথে এ সকল অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সুস্থতার দিকে বাড়তি নজর দিতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে ৫-৬টি আঙ্গুর রাখা আবশ্যক।

barta24

আখরোট

আখরোট হচ্ছে অ্যান্টি এইজিং পুষ্টিতে ভরপুর একটি খাবার, যা সহজলভ্য ও সবখানে নিজের সাথে রাখা যায়। মূলত এই বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও আলফা-লাইনোলেনিক অ্যাসিড হৃদযন্ত্র, মস্তিষ্ক ও ত্বকের জন্য উপকারী। পাশপাশি পরিমিত পরিমাণ বায়োটিন ত্বক ও নখের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।

barta24

চিয়া সিডস

চিয়া সিডস একদিকে যেমন ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করবে,অন্যদিকে বয়সকেও বাড়তে বাধা দান করবে। দানাদার এই খাবারে থাকা উদ্ভিজ ওমেগা-৩, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে, হার্টবিট ঠিক রাখতে, মন ভালো রাখতে ও ত্বকের স্বাভাবিক টেক্সচার বজার রাখতে কাজ করবে।

barta24

ডিম

ডিমকে যদি এই তালিকায় রাখা না হয়, তবে পুরো তালিকা তৈরিই ব্যর্থ হয়ে যাবে। ডায়েটেশিয়ান জেসিকা ক্র্যানডেল জানান, যাদের বয়স ৪০ ও তার বেশি হয়ে গেছে, প্রতিদিন একটি মুরগীর ডিম অবশ্যই খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। কারণ এ বয়স থেকেই পেশীর ভাঙ্গন শুরু হয়। ফলে এ সময়ে প্রোটিন খুবই প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান হিসেবে কাজ করে।