মাইগ্রেনের সাধারণ উপসর্গ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাইগ্রেনের ব্যথা

মাইগ্রেনের ব্যথা

  • Font increase
  • Font Decrease

মাইগ্রেনের ব্যথা আমাদের মধ্যে সাধারণ সমস্যাগুলোর একটি। মূলত মাইগ্রেনের সমস্যার কারণে তীব্র মাথা ব্যথা হয়। মাথায় নির্দিষ্ট স্থানে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় এবং টন টন করে। এছাড়া চোখে আলো পড়লে বা তীব্র বাতাসে সংবেদনশীলতার কারণে অস্বস্তি, মাথাব্যথার তীব্রতা বেড়ে ওঠা বা বমি বমি ভাব হওয়াও মাইগ্রেনের উপসর্গ। এই যন্ত্রণা কয়েক ঘণ্টা থেকে একাধিক দিন অবধিও স্থায়ী হতে পারে।

খুব সূক্ষ্ম মাত্রায় ঔষধ সেবনের মাধ্যমে যন্ত্রণা কমানো যেতে পারে। সঠিক চিকিৎসা এবং ভালো ওষুধের মাধ্যমে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে এটি নিরাময় করার স্থায়ী সমাধান হতে পারে না।

মাইগ্রেনের সমস্যা যেকোনো বয়সের মানুষেরই হতে পারে। একেকজনের ক্ষেত্রে সমস্যা একেকরকম হয়। তবে সকলের ক্ষেত্রেই কয়েকটি সাধারণ ধাপে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। এগুলো হলো- প্রোড্রোম, অওরা, অ্যাটাক, পোস্টড্রোম।

প্রোড্রোম: মূলত মাথাব্যথার তীব্রতা বাড়ার আগের ২৪ ঘণ্টার মুহূর্ত এটি। এই ধাপের উপসর্গ হতে পারে মেজাজ পরিবর্তন, কোষ্ঠ্কাঠিন্য, খাবার খাওয়ার ইচ্ছা, ঘন ঘন প্রসাব, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, বেশি হাই ওঠা সহ আরও অনেক কিছুই হতে পারে।  

অওরা: এই পর্যায়ে মাথা ব্যাথা হওয়ার আগ মুহূর্তে বা মাথাব্যথার সময়ে নানারকম অসুবিধা দেখা দিতে পারে। কয়েক মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই সময়ে মুখ, বাকযন্ত্র, মাথার সংবেদনশীল অংশে উপসর্গ দেখা দিতে পারে।     

অ্যাটাক বা আক্রমণ: এই পর্যায়ে মাথা ব্যথা তীব্রতার পর্যায়ে চলে যায়। একটানা ৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা অবধিও ব্যথা স্থায়ী হতে পারে। চিকিৎসা করা না হলে এই সময়কাল আরও দীর্ঘ হতে পারে।

পোস্টড্রোম: এই পর্যায়ে মাথা সমস্যা ১ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। উপসর্গগুলো অনেকটা অ্যালকোহল সেবনের পরে হ্যাংওভারের উপসর্গের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।  এজন্য এক মাইগ্রেন হ্যাংওভারও বলা হয়।

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮

   

যেসব অভ্যাসে বার্ধক্যজনিক লক্ষণ প্রকট হয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বয়স বেড়ে যাওয়া / ছবি: সংগৃহীত

বয়স বেড়ে যাওয়া / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বয়স আটকাতে কে না চায়! নারী হোক বা পুরুষ; চেহারায় বয়সের ভাজ পড়বে, এ যেন এক দুঃস্বপ্নের চেয়ে কম কিছু নয়! সিনেমা, মডেলিং বা ফ্যাশন সম্পৃক্তরা এই ব্যাপারে বেশ অনেকটা সতর্ক। তাছাড়া যাদের অনেক টাকা আছে, তারা অনেক অ্যান্টিএজিং চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু সেসব কি আর সাধারণ ঘরের মানুষের দ্বারা সম্ভব? তাই বলে তো, কম বয়সেই মুখে কুঁচকানো চামড়া নিয়ে ঘোরা যায় না!

তবে, বুড়িয়ে যাওয়া কোনো দু-এক দিনের ঘটনা নয়। বেশ লম্বা সময়ের ব্যাপার। তাই এই প্রক্রিয়াকে বাধা দিতে চাইলে পদক্ষেপও বেশ আগে থেকেই নিতে হবে। শুধু বয়সের ছাপ পড়াই নয়, জীবনে সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন কিছু অভ্যাস উল্লেখ করা হলো-

১. অসম্পূর্ণ ঘুম: শরীরের ঘাটতি এবং ক্লান্তি দূর করার স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হলো ঘুম। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে মানসিক চাপজনিত হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায়। এতে ত্বকের টান টান ভাব কমে যেতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, চেহারার পেশির টক্সিনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। চামড়া ঝুলে যাওয়া, চোখের নিচে কালি পড়া, বলিরেখা সহ নানারকম সমস্যার সূত্রপাত হয়। দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরিকল্পনা রাখতে হবে।

২. নেশাদ্রব্য: অতিমাত্রায় নেশাজাত দ্রব্য, বিশেষ করে ধূমপান এবং অ্যালকোহলসমৃদ্ধ পানীয় সেবন ত্বকের ঝুলে পড়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে। কারণ, অ্যালকোহল সেবনে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যেতে শুরু করে এবং কোলাজেন উৎপাদন হ্রাস করে। এছাড়া ধূমপানের কারণে ইলাস্টিন প্রোটিনের ক্ষতি হয়। এই কারণে ত্বকে বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখা এবং ত্বকে নিস্তেজ বর্ণ সৃষ্টি হয়।   

৩. পানিশূন্যতা: পর্যাপ্ত মাত্রায় পানি পান করা ত্বক সুন্দর রাখার পূর্বশর্ত। পানিশূন্যতা কেবল ত্বকের নয় অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্যেরও বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী, যা অনেক রোগের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

৪. ব্যায়ামের ঘাটতি: প্রতিদিন ব্যায়াম করলে শরীরে রক্ত চলাচল বেশ ভালোভাবে হয়। এতে ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। ব্যায়ামের ঘাটতি দিন দিন ত্বকে বয়সের ছাপ ফেলে। এছাড়া ব্যায়ামের মাধ্যমে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ওজনবৃদ্ধির মতো অনেক রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।

৫. সূর্যরশ্মি: অতিবেগুনি রশ্মি অর্থাৎ ইউভি রশ্মি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ধ্বংস করার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। প্রতিদিন দীর্ঘক্ষণ সূর্যের আলোতে থাকলে ত্বক জলদি বুড়িয়ে যায়। তাই প্রতিদিন বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

৬. মানসিক চাপ: অনেকে হয়তো জানেন না, বার্ধ্যেকের ক্ষেত্রে মানসিক চাপ একটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মানসিক অশান্তির কারণে ত্বকের কোষগুলো অকালে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং জীবনীশক্তি বজায় রাখতে ধ্যান, যোগ ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার ব্যাপারে মনোযোগী হন।

৭. অস্বাস্থ্যকর খাদ্য: আজেবাজে খাদ্যাভাস শুধু শরীরে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতিই ঘটায় না, বরং শরীরে একগাদা বাজে জিনিসে পূর্ণ করে। যেমন অতিরিক্ত তেলজাতীয় খাবারে মুখে ব্রণ ও পিম্পল হয়। আবার চিনি এবং প্যাকেটজাত খাবারের কারণে শরীরে প্রদাহ হতে পারে। এসব কারণে কম বয়সেই বার্ধক্যজনিত লক্ষণ ফুটে ওঠে। তাই সুষম এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার রুটিন তৈরি এবং অনুসরণ করতে হবে।

এইসব অভ্য়াসের কারণে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। অনেক বেশি অনিয়ম হলে খুব কম বয়সেই এইব লক্ষণ দেখা যেতে পারে। তাই সময় থাকতেই এইসব বদঅভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে হবে। নিজেকে সুন্দর রাখুন, সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮

 

;

কাশির রোগীর ক্ষেত্রে ভাতের প্রভাব



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কাশির ক্ষেত্রে ভাত / ছবি: সংগৃহীত

কাশির ক্ষেত্রে ভাত / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এই রোদ, এই বৃষ্টি! স্যাঁতস্যাতে ঠান্ডা আবহাওয়া, কিংবা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ মেঘের গর্জন তুলে ঝুম বৃষ্টি। সাথে কাদা জমাট আর বদ্ধ হয়ে যাওয়া পানি। বর্ষামানেই এ যেন নিত্যদৃশ্য। এমন বৈরি আবহাওয়ায় জ্বর, ঠান্ডা বা কাশি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এছাড়াও, বর্ষার সময় রোগ-জীবাণু অণেক প্রভাবশালীও হয়ে ওঠে।

বর্ষার এই মৌসুমে তাই ঠান্ডাজাতীয় খাবার খাওয়া খুবই বিপজ্জনক। যেমন- দই, আইসক্রিম বা ঠান্ডাপানি ইত্যাদি কাশি বাড়ার জন্য দায়ী হতে পারে। চিকিৎসকরা কাশির রোগীর জন্য ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেন। ভারতীয় চিকিৎসক নীতি শর্মা বলেন, কাশির হলে নরম করে রান্না করা গরম ভাত খাওয়া উচিত। কারণ, ভাত এমনিই উপকারী খাবার, যা শরীরে তৃপ্তি এবং শক্তিলাভে সহায়তা করে। তাছাড়া গরম ভাত গলায় আরামভাব আনে।   

ভাত, শ্বেতসার জাতীয় এই খাবার ছাড়া বাঙালি জীবন অসম্পূর্ণ। প্রবাদেই আছে, ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’। প্রতিটি বাঙালির ঘরে অন্তত দু’বেলা করে ভাত খাওয়া হয়। অনেকে তো, ভাত না খেলে তৃপ্তিই পান না। অনেকের অবশ্য গম খেলে অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়, ভাতের ক্ষেত্রে এরকম সমস্যার বালাই নেই। নিঃসন্দেহে ভাত বেশ শক্তি উৎপন্নকারী একটি খাদ্য উপাদান। তবে, আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, আমরা প্রতিদিন খাই অথচ সেই ভাতও নাকি কিছুক্ষেত্রে কাশির বাড়ার কারণে পরিণত হতে পারে। 

ভারতীয় চিকিৎসক শ্বেতা বানসাল বলেন, ‘এটা অনেকেই জানেন না যে, কাশি হওয়ার এবং বাড়ার ক্ষেত্রে ভাত ভূমিকা রাখতে পারে। ভাত সরাসরি কাশি হওয়ার কারণ হয় না। তবে, ভুলভাবে রান্না করা হলে ভাত দূষিত হয়ে কাশি এবং গলা ব্যথা হওয়ার কারণ পারে। ভাত রান্নার সময় ছোট ছোট অংশ উৎপন্ন হলে তা খাওয়ার সময় নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় গলায় বা শ্বাসনালীতে আটকে তৎক্ষণাৎ কাশি শুরু হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খুব দ্রুত ভাত খাওয়ার সময়ও দেখা যায় ভাত গলায় আটকে গিয়ে কাশি শুরু হয়। যদিও এগুলো খুবই অনিশ্চিত দুর্ঘটনা। ভাত এমনিতে সর্বাধিক মানুষের জন্য পুষ্টিকর হিসেবেই বিবেচিত হয়।’

এই প্রসঙ্গে ডা. শর্মা বলেন,‘ঠান্ডা-কাশি হওয়ার সঙ্গে ভাতের সম্পৃক্ততা নেই। তবে আপনার যদি এমনিতেই কাশি থাকে, তাহলে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করুন।’     

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস  

;

নিত্যদিনের চোখ সাজাতে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চোখের সাজ

চোখের সাজ

  • Font increase
  • Font Decrease

অধিকাংশ নারীর সাজগোজের প্রতি বিশেষ ঝোঁক থাকে। বিয়ে হোক বা কোনো পার্টি, অথবা দৈনন্দিন কাজে বাইরে যাওয়ার সময়ও মেয়েরা সাজতে পছন্দ করে।  সাজগোজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো চোখ, অর্থাৎ আইমেকআপ। দৈনন্দিন চোখের মেকআপকে আকর্ষণীয় করার কিছু টিপস প্রকাশ করেছেন ভারতীয় মেকআপ আর্টিস্ট ময়ূর শর্মা-

আইভ্রু: ভ্রু চোখের সাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভ্রু সুন্দর করে গোছানো না থাকলে পুরো সাজটাই এলোমেলো দেখায়। তাই ভ্রুকে সুন্দর করে সাইজ করে নিতে হবে। প্রথমমতো ভ্রুকে একটা সুন্দর আকার দিন। এজন্য বেশ অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। সাজের সময় বিচ্ছিন্ন জায়গাগুলো ভরাট করুন। এইজন্য উন্নতমানে আইব্রো পেন্সিল, পাউডার বা জেল ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।

মাশকারা: এমন কোনো নারী নেই যে, লম্বা ও ঘন চোখের পাপড়ি অর্থাৎ, ল্যাশ পছন্দ করেন না। এখনকার সাজগোজে নকল ল্যাশ পরারও বেশ প্রচলন রয়েছে। তবে প্রতিদিন তো আর সেসব ব্যবহার করা সুবিধাজনক হয় না। কলেজে, অফিসে বা প্রতিদিন বাইরে যাওয়ার সময়ে সাজের ক্ষেত্রে ল্যাশের সাজও সাধারণ হয়। সেইক্ষেত্রে একটি ভালো মানের মাশকারা ব্যবহার করতে পারেন। শুকনো চোকের পাপড়ি তে এক কোট করে মাশকারার লেয়ার এপ্লাই করুন। অবশ্যই নিচ থেকে উপরের দিকে টানতে হবে। উপর থেকে নিচের দিকে মাশকারা এপ্লাই করলে ল্যাশগুলো ঝুঁকে থাকে।

ল্যাশকার্লার: চোখে ল্যাশ গোছানো থাকলে আইলুক পরিপূর্ণভাবে ফুটে ওঠে। অনেক সময় মাশকারা লাগানোর পর চোখের পাপড়িগুলো একটি অন্যটির সাথে লেগে থাকে। একটি নরম ব্রাশের ওয়ান্ড দিয়ে ল্যাশ আঁচড়ে নিন, যেন জোড়গুলো খুলে যেতে পারে। এরপর কার্লার ব্যবহার করে ল্যাশগুলোকে একটা সুন্দর আকার দিন। এতে দীর্ঘসময় পর্যন্ত ল্যাশগুলো টান-টান এবং গোছানো থাকে আর ঝুঁকে যায় না।

চোখের সাজ 

কাজল: কাজলচোখের নারী সবসময়ই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। নানান গল্প, গান, কবিতায় মায়াবী কাজল নয়নার প্রশংসা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কাজল তাই নারী সাজ-সজ্জার শীর্ষেই থাকে। এখন শুধু কালো নয়; নীল ,সবুজ, বেগুনি, বাদামী সহ নানান রঙের কাজল ব্যবহার করেন। চোখে যখন কাজল পড়বেন, আইলাইনে সুন্দর করে কাজল এপ্লাই করুন। তারপর এটি চিকন আইশ্যাডো ব্রাশ দিয়ে ব্লেন্ড করে দিন। এতে কাজল কিছুটা পরিচ্ছন্নভাবে লেপ্টে থাকে। এতে মেকআপ লুকটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

পাউডার: প্রতিদিন খুব সাধারণ চোখের সাজের অন্তর্ভুক্ত হলো আইলাইনার এবং কাজল। এপ্লাই করার পর আইলাইন করার পর কিছুটা লুজ পাউডার ব্যবহার করুন। এতে কাজল ওয়াটারপ্রুফ হবে আর সহজে নষ্টও হবেনা। অবশ্যই নরম তুলির ব্রাশ ব্যবহার করুন। লুজ পাউডার না থাকরে , কমপ্যাক্ট পাউডারও ব্যবহার করা যেতে পারে।  

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

 

;

বর্ষার মৌসুমে এড়িয়ে চলুন এই খাবারগুলো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বর্ষার খাবার

বর্ষার খাবার

  • Font increase
  • Font Decrease

‘নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে।

ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।’

কবিগুরুর কলমে সৃষ্টি কবিতা ‘আষাঢ়’- এর লাইনে বর্ষার অঝর ধারার বর্ণনা ফুটে ওঠে। অনবরত মেঘগলা আকাশের নেমে আসা ধারা সিক্ত করে মাটিতে থাকা সবকিছু। বর্ষার সময়টা অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশ অনেকটা আলাদা। এই সময় রোদ-বৃষ্টিরপাল্লা চলে। ক্ষণে মেঘ, ক্ষণে বৃষ্টি! এইজন্য কখনো ভ্যাপসা গরম, কখনো বা স্যাঁতস্যাতে ভাব। আর বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা বাতাসে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই বর্ষার সময় সুস্থ থাকতে একটু সাবধান থাকতেই হয়।

আমাদের সুস্থতার অনেকাংশই নির্ভর করে খাদ্যতালিকার উপর। আমাদের গ্রহণ করা খাবারের দ্বারা উৎপন্ন শক্তিতেই দেহ চলে। তাই বর্ষার সময় খাবারের ব্যাপারেও সতর্ক হওয়া উচিত। অপ্রত্যাশিত রোগ বালাই এড়াতে বর্ষার মৌসুমে যেসব খাবার এড়িয়ে যেতে হবে তার উপদেশ দিয়েছেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ গরিমাদেব বর্মণ-

১. শাকজাতীয় সবজি: পালং শাক, বাঁধাকপি, লেটুস ইত্যাদি শাক-সবজি বর্ষাকালে পুষ্টিমান হারিয়ে ফেলে। পরিবেশে আর্দ্রতার মাত্রা বৃদ্ধির কারণে দূষণের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাছাড়া এসবের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবী আশ্রয় নিতে পারে। তাই এসব খাবার খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

২. রাস্তার খাবার: বর্ষার মৌসুমে রাস্তার খাবার ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। প্রায় সব দোকানেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এইসব খাবার বানানো হয়। বর্ষার কাদামাটির কারণে রাস্তা এবং আশেপাশের এলাকা আরও অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়।  এমনকি বাইরের দোকান থেকে কাটা ফলও খাওয়া উচিত নয়।

৩. সামুদ্রিক খাবার: এ মৌসুমে পানিবাহিত রোগ বাড়ে। তাই বর্ষায় সামুদ্রিক খাবার সহজেই দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। পুড পয়জনিং প্রতিরোধে সাগরের মাছ, চিংড়ি এবং অন্যান্য সামুদ্রিক খাবার এড়িয়ে চলুন।

৪. দুগ্ধজাত পণ্য: দুগ্ধজাত খাদ্য-পণ্য, যেমন-দুধ, দই এবং পনির আর্দ্র। আবহাওয়ায় দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।  তাই দুধের তৈরি বাসি খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন। নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান বা ঘরে তৈরি হলে ব্যবহার করতে পারেন।

৫. তেলে ভাজা খাবার: ডুবো তেলে ভাজা খাবার পেটে ভারী ভাব সৃষ্টি হয়। এই খাবারগুলো হজম করা কঠিন হতে পারে। তাই নাস্তা ভাজা খাবার এড়িয়ে  সেদ্ধ বা গ্রির করে খাবার তৈরিকে প্রাধান্য দিন।

৬. আমিষ: স্যাঁতস্যাতে পরিবেশে মাছ এবং বিশেষ করে মাংস দ্রুত পচে যেতে পারে। তাই আমিষজাতীয় খাবার খেলে অবশ্যই সদ্য রান্না করা খাবার খাবেন। বাসি খাবার খেলে অসুখে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।  

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;