ক্যানসার জয় করা জেলি আর্টিস্ট

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: স্যুই বন।

ছবি: স্যুই বন।

সময়ের পরিক্রমা ও চাহিদায় এখন নানা স্বাদ ও আকারের কেক পাওয়া যায় সর্বত্র।

চোখধাঁধানো সুন্দর সেই সকল কেকের কারুকাজ দেখে মুগ্ধ ও বিস্মিত হতে হয়। আমাদের দেশেও ফন্ডেন্ট ও হোয়াইট চকলেট ব্যবহারে বৈচিত্রময় কেক তৈরি করা হচ্ছে বেশ আগে থেকেই। তবে জেলি কেকের প্রচলনটা এখনও তেমন একটা প্রসার পায়নি বলে, খুব একটা জানা নেই এই জেলি কেক ও কেকের কারুকাজ নিয়ে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/03/1543815124528.jpg

বিজ্ঞাপন

আজকের ফিচারটি এই জেলি কেক, কেকের কারুকাজ ও একজন জেলি আর্টিস্টকে নিয়েই। স্টেজ থ্রি ব্রেস্ট ক্যানসারও যাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।

জেলি কেকের ভেতর বিভিন্ন ধরণের ফুলেল বাস্তব নকশা তৈরি করার দক্ষতা ও এই কাজটির প্রতি আগ্রহ থেকেই ‘জেলি অ্যালকেমি’ নামক প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন সিডনিতে বাস করা স্যুই বন। বিভিন্ন ধরণের প্রাকৃতিক রঙ ও সিউইডের ব্যবহারে অপূর্ব সুন্দর নকশা তৈরি করেন তিনি জেলি কেকে।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/03/1543815159528.jpg

২০১৬ সালে তার জেলি কেকের ব্যবসা ভালোভাবে শুরু হলেও, ২০১৭ সালে তাকে থমকে যেতে হয় ব্রেস্ট ক্যানসারের সামনে। একেবারে স্টেজ থ্রি ব্রেস্ট ক্যানসার ধরা পড়ে তার। ফলাফল স্বরূপ এতো শখের ও ভালোবাসার ব্যবসাকে বন্ধ রাখতে হয় চিকিৎসার জন্য।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/03/1543815037782.jpg

তবে স্যুই সবসময়ই নিজের কাজের কাছে বদ্ধপরিকর ছিলেন। ক্যানসারের কাছে নিজেকে ও নিজের স্বপ্নকে পরাস্ত করবেন না বলে, অসুস্থতার মাঝে যখনই কিছুটা ভালো বোধ করতেন জেলি কেক তৈরি করতে বসে যেতেন। ক্লান্তিকর চিকিৎসার মাঝে খুব কম সময়ই তার শরীর ভালো থাকতো। তবে যখনই শরীর ও সময় তার অনুকূলে থাকতো, ডাক্তার ও নার্সদের উপহার দেওয়ার জন্য জেলি কেক তৈরির কাজে বসে যেতেন তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/03/1543815058776.jpg

স্যুই জানান, চিকিৎসার মাঝে কেক তৈরি আনন্দদায়ক কাজটি তাকে শারীরিক ব্যথা ও নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতো। যে কারণে নিজেকে কাজের মাঝে ডুবিয়ে রাখতে বেশ পছন্দ করতেন তিনি।

তাই কিছুটা সুস্থ হতেই পুনরায় নিজের কাজ ও ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। তৈরি করছেন একের পর এক অসাধারণ থ্রি-ডাইমেনশনাল জেলি কেক। প্রতিটি জেলি কেক তৈরিতে তার প্রয়োজন হয় ৩-৪ ঘন্টা। ইনজেকশন টুল ব্যবহার করে কেকের ফুল, পাতা, ডাল, মাছ প্রভৃতি আঁকেন তিনি। এই কেকগুলো যে শুধু দেখতেই সুন্দর তা কিন্তু নয়। স্বাদেও দারুণ রিফ্রেশিং ও মজাদার। প্রতিটি প্রাকৃতিক রঙের সঙ্গে মেশানো থাকে লিচু, নারিকেল, পিচ কিংবা গোলাপ ফুলের ফ্লেভার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/03/1543815088803.jpg

বর্তমানে বেশ সুস্থ স্যুই কেক তৈরি কাজে পুরোদমে ব্যস্ত। প্রিয় কাজটির মাধ্যমে অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে খুব ভালোবাসেন তিনি। তার ইচ্ছা এই কাজটি নিয়েই সামনে এগিয়ে যাওয়া ও আরো নতুন নতুন কেক তৈরি করা।

আরো পড়ুন: একই ফ্রেমে বাস্তবতার এক ভিন্ন চিত্র!