মাথাব্যথার কোন লক্ষণগুলো বিপজ্জনক?
অনেকক্ষণ ধরে কাজ করছেন। হঠাৎ মাথা যন্ত্রণা শুরু হল। ল্যাপটপের দিকে তাকাতেই পারছেন না। সময় যত গড়াতে থাকে, যন্ত্রণাও তত তীব্র হতে থাকে। মাথাব্যথায় মাঝেমাঝেই কাহিল হয়ে পড়ে। মাথা যন্ত্রণার নেপথ্যে নানা কারণ থাকতে পারে। তবে মস্তিষ্ক টিউমরের প্রধান একটি উপসর্গ হল মাথা যন্ত্রণা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, প্রতি বছর ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ মস্তিষ্কের টিউমরে আক্রান্ত হন। তাই মাথা যন্ত্রণার সমস্যা এড়িয়ে না গিয়ে বরং কেন হচ্ছে, তা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা জরুরি। কিন্তু মাথা যন্ত্রণা হচ্ছে মানেই তার নেপথ্যে টিউমর, তা বোঝা সহজ নয়। টিউমরের কারণেই যদি মাথা যন্ত্রণা হয়ে থাকে, তা সহ্যের সীমা ছাড়াবে তো বটেই। সেই সঙ্গে আরও বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেবে। মাথা যন্ত্রণার সঙ্গে আর কোন উপসর্গগুলি দেখা দিলে তড়িঘড়ি চিকিৎসকের কাছে ছুটতে হবে?
>> এই অসুখের অন্যতম উপসর্গ হল মাথার যন্ত্রণা। টিউমরের ক্ষেত্রে মাথাব্যথার ধরনটা অন্য রকম হয়। এ ক্ষেত্রে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তীব্র মাথার যন্ত্রণা করে। তাই প্রায়ই যদি সকালের দিকে মাথা যন্ত্রণা শুরু করে, তা হলে ফেলে রাখা ঠিক হবে না।
>> শরীরে জ্বর নেই, তবুও কাঁপুনি শুরু হতে পারে। কিছুক্ষণ পর আপনা থেকেই কমে যায়। মাথাব্যথার সঙ্গে সারাক্ষণ বমি বমি ভাব হয়। মস্তিষ্কে টিউমরের আরও একটি অন্যতম লক্ষণ এটি।
>> সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার কথা বেমালুম ভুলে যাওয়া। ব্যস্ততা, মানসিক চাপ, নানা কারণে অনেক সময় ভুলে যাওয়ার সমস্যা হয়। তবে মাঝেমাঝেই যদি ভুলে যান, তা হলে এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারলে ভাল।
>> রাতভর ঘুমোনোর পরেও সারা দিন ঘুম ঘুম ভাব থাকে, ঘুম পাওয়া টিউমরের অন্যতম একটি লক্ষণ। অনেক সময়ে কাজ করতে একেবারেই ভাল লাগে না। আলস্য ঘিরে ধরে। মাথাব্যথার সঙ্গে যদি ক্লান্তিও থাকে, তা হলে গুরুত্ব দিয়ে দেখা প্রয়োজন।