রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোসহ রসুনের রয়েছে নানা গুণ। কিন্তু রসুনে যত গুণ, তার খোসাও কি ততটা গুণের অধিকারী? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রসুনের খোসায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। তা শরীরের নানা উপকারে লাগে। এছাড়া, গাছের জন্য কম্পোট সার তৈরি করতেও ব্যবহার করা যায় রসুনের খোসা।
রসুন তেল
বিজ্ঞাপন
পরিষ্কার কাচের শিশিতে রোদে শুকনো করে গুঁড়ো করা রসুনের খোসা এবং অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে রাখতে পারেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে তেলের ওই শিশি রোদে বসিয়ে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে রসুনের তেল। স্যালাডের ড্রেসিং হিসাবে অনেকেই এই তেল ব্যবহার করে থাকেন।
ফ্লেভার্ড ভিনিগার
বিজ্ঞাপন
ভিনিগারের নিজস্ব গন্ধ খুব একটা ভাল নয়। অথচ রান্নার কাজে তা ব্যবহার করতেই হয়। তাই ভিনিগারের বোতলে বেশ কিছু রসুনের খোসা যদি রেখে দেওয়া যায়, তা হলেই কেল্লাফতে। যে কোনও রান্নায় বা স্যালাডে ব্যবহার করা যায় এই ভিনিগার।
জৈব সার তৈরিতে
রসুনের খোসা ফেলে না দিয়ে অন্যান্য আনাজের খোসা, ডিমের খোসার সঙ্গে মিশিয়ে ফেলতে পারেন। গাছের পুষ্টি বাড়িয়ে তুলতে এই জৈব সারের কোনও বিকল্প নেই।
চা তৈরি করতে
আবহাওয়া পরিবর্তনে সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা জ্বর-সর্দিতে দারুণ কাজ করে রসুনের চা। কিন্তু রসুনের ঝাঁঝাল গন্ধ অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। তবে চায়ে রসুনের বদলে রসুনের খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। রসুনের মতো এত গন্ধ হবে না, আবার সব গুণাগুণ বজায় থাকবে।
স্যুপ তৈরি করতে
রসুনের খোসা পরিষ্কার করে ধুয়ে, রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে কাচের বায়ুরোধী শিশিতে ভরে রাখতে পারেন। হঠাৎ রসুন শেষ হয়ে গেলে তার বিকল্প হিসাবে স্যুপ, স্টু, নুডল্স— সবেতেই ব্যবহার করা যাবে।
আমরা মেয়েরা কম-বেশি সকলেই প্রসাধনী ব্যবহার করি। ব্যবহারে তারতম্য থাকলেও প্রতিনিয়ত কিংবা মাঝে মধ্যে প্রসাধনী ব্যবহার করাই হয়। মেয়েদের সাজ-সজ্জার অন্যতম প্রধান উপাদান প্রসাধনী। এই প্রসাধনী ব্যবহারে আমরা ততটা সতর্ক থাকি না।
আমাদের মধ্যে অনেকেই সময় পেরিয়ে গেলেও প্রসাধনী ব্যবহার করে। ভুলবসত কিংবা না জানার কারণে প্রতিটি প্রসাধনী ব্যবহার করার যে নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে তা অনেকেই জানেন না। নামী ব্র্যান্ডের প্রসাধনী অনেক চড়া দামে কিনে যতদিন না শেষ হয় তা ব্যবহারের জন্য রেখে দেন অন। অথবা দীর্ঘ সময় ধরে একটু একটু ব্যবহার করেন। কাজল অথবা যে ফাউন্ডেশনটি রোজ মুখে মাখছেন, সেটিরও ব্যবহারের নির্ধারিত সময় আছে। সময় পেরিয়ে গেলে তা আর ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর থাকে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ত্বকের নানা সমস্যার কারণই হল পুরনো প্রসাধনী বহু দিন ধরে ব্যবহার করার অভ্যাস। এসব অভ্যাসের ফলে অনেক সময় স্কিন ক্যান্সারের মতো বড় কোন রোগের সম্মুখীন হতে পারেন যে কেউ। এছাড়াও প্রসাধনী কেনার আগে, প্রসাধনীর মেয়াদ আছে কিনা তা ভোলো করে দেখে নিতে হবে।
কোন প্রসাধনী কত দিন ধরে ব্যবহার করা নিরাপদ জেনে নিন-
পাউডার ফাউন্ডেশন
অতি পিরিচিত একটি প্রসাধনী হচ্ছে পাউডার ফাউন্ডেশন। পাউডার ফাউন্ডেশনের প্যাক খোলার পর থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। তার বেশি এক দিনও ব্যবহার নয়। এতে ত্বকের মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে।
তরল ফাউন্ডেশন
দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করার অভ্যাস আছে অনেকেরই। কেউ কেউ শিশির নীচে ফাউন্ডেশন শুকিয়ে গেলেও তা বাহির করে মুখে মাখেন। তরল ফাউন্ডেশন এক বছরের বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়।
মাসকারা
একটি মাসকারা যদি বছরখানেক ধরে ব্যবহার করেন, এমন হলে চোখে নানা সমস্যার দেখা দিতে পারে । এতে করে চোখে চুলকানি, এলার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাসকারা খুব বেশি হলে তিন মাস ব্যবহার করলেই ভাল। তার বেশি নয়। নয়তো চোখে দীর্ঘস্থায়ী কোন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
লিপস্টিক
মুখমণ্ডলের সব অংশই সেন্সেটিভ, তার মধ্যে ঠোঁট অন্যতম। ঠোঁটে ম্যাট হোক বা জেল, ৬ মাসের বেশি একটি লিপস্টিক ব্যবহার করা ঠিক নয়। মেয়াদহীন অতিরিক্ত সময় ব্যবহারের ফলে ঠোঁটে চুলকানি, ঠোঁট ফুলে যাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আইলাইনার
একটি আইলাইনার কিনে বহু দিন ধরে তা ব্যবহার করেন অনেকে। কিন্তু ত্বক চিকিৎসকেরা বলেন, একটি আইলাইনার তিন মাসের বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়।
প্রায় প্রতিটি মানুষের জীবনেই এমন একটা সময় আসে, যখন আমরা নিজেদের জীবনটাকে ভাগ করে নেই প্রিয় মানুষটির সঙ্গে। জীবনসঙ্গীর সুখের মধ্যে নিজের সুখ খোঁজে পাই। সঙ্গীর মন খারাপে নিজেই অশান্ত হয়ে যাই। অনেক সময় দেখা যায় সঙ্গী কোনো কারণে রেগে আছে, মেঘ জমে আছে তার মন আকাশে। আপনার সঙ্গে কোনো কথাই বলতে চাচ্ছে না, মুখ ভার করে আছে।l
এমন হলে ভেঙ্গে পড়ার কিছুই নেই। সম্পর্কের টানাপোড়নে প্রায় সবার সঙ্গে হরহামেশাই এটি ঘটে থাকে, যখন প্রিয় মানুষটিকেও মন খুলে সব বলা যায় না। যদিও, পরিস্থিতি এমন হলে তা বাড়তে দেওয়া ঠিক নয়। যত দ্রুত সম্ভব নিজেদের মান-অভিমান মিটিয়ে ফেলা উচিত। কেননা, প্রায়শই এমন তুচ্ছ কিছু বিষয় থেকে সম্পর্কে আসে তিক্ততা। এমন কি বিচ্ছেদও হতে পারে। সময় থাকতেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাই সঙ্গীকে সব সময় খুশি রাখার চেষ্টা করাই ভালো। অল্প কিছু কৌশল অবলম্বন করে খুব সহজেই খুশি রাখতে পারেন আপনার সঙ্গীকে।
সঙ্গীকে খুশি রাখতে কিছু টিপস জেনে রাখুন-
ইগো দূরে রাখুন
এক সঙ্গে থাকার ফলে অনেক সময়ই দুজনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। এমন হতেই পারে আপনি সঠিক, ভুলটা আপনার সঙ্গীর। কিন্ত আপনার সঙ্গী নিজের ভুলটা বুঝতে পারছে না। কিংবা নিজের ভুল বুঝেও চুপ করে আছে। বেশিরভাগ মানুষই এমন পরিস্থিতিতে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারে না। নিজেদের ইগো নিয়ে বসে থাকে। এমনকি কথা বলাও বন্ধ হয়ে যায়নিজেদের মধ্যে। পরিস্থিতি এমন হলে নিজের ইগোকে প্রাধান্য না দিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে হবে । কথা বলে তার রাগের কারণটি খুঁজে বের করে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
কথা শুনুন
মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা অনেক জরুরি। কথা বলার সময় মনোযোগ দিয়ে কেউ কথা শুনলে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। একসঙ্গে থাকার পরও যখন কেউ ফোন স্ক্রলিং কিংবা অন্য কোন কাজে ব্যস্ত থাকে এতে ক্রমাগত দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তাই আপনার সঙ্গী যখন কথা বলবে তখন তার দিকে মনোযোগ দিন। ঝগড়া না করে তার কথা শুনুন। প্রয়োজনে তাকে পরামর্শ দিতে পারেন। সঙ্গীর প্রতি আপনার মনোযোগের ফলে সঙ্গী নিজেকে মূল্যবান ভাবতে শেখে।
ক্ষমা চান
ক্ষমা চাওয়া আমাদের ব্যক্তি জীবনে একটি বিশেষ গুণ । আমরা সহজেই কেউ ক্ষমা চাই না। ক্ষমা চাইলেই আমরা ছোট হয়ে যাবো এমন কিছু ভেবে থাকি। এমন যারা ভেবে থাকেন, তাদের ধারণা সঠিক নয়। আপনার একটি ছোট সরি যদি কাউকে খুশি করতে পারে, তবে এতে আপনি কখনোই ছোট হবেন না। তাই ক্ষমা চাইতে শিখুন। সঙ্গীর নিকট ক্ষমা চেয়ে কেউ ছোট হয় না বরং সম্পর্ক আরও মধুর হয়।
ভালোবাসা প্রকাশ
সঙ্গীকে ভালোবাসুন! এমন অনেকেইিআছেন, যে সঙ্গীকে খুব ভালোবাসলেও তা যথাযথভাবে প্রকাশ করেন না। অনেক সময় আপনার ভালোবাসার গভীরতা সঙ্গী বুঝতেও পারে না। কাউকে ভালোবাসলে তাকে সেটা অনুভব করাতে হবে। বুঝাতে হবে তার প্রতি আপনার ভালোবাসা- অনুভূতি। তার যত্ন নিতে হবে। ছোট কিংবা বড় উপহার দিয়ে মাঝে মাঝে তাকে সারপ্রাইজ দিতে পারেন কিংবা কোথাও ঘুরতে নিয়ে যেতে পারেন। তার সঙ্গে সময় কাটান। এভাবেই সঙ্গীর প্রতি আপনার ভালোবাসা সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন।
অতীত সামনে না আনা
আতীতে যা কিছুই ঘটে থাকুক, বর্তমানে কখনো অতীত টেনে আনবেন না। মান-অভিমান হতেই পারে। চুপ থাকার চেষ্টা করুন, তখন নিজেদের সুখের সময়ের কথাগুলো ভাবুন। অতীতের এমন কোন বিষয় সামনে আনবেন না যাতে বর্তমানে এর প্রভাব পড়ে। অতীতের তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে সম্পর্কে টানা- পোড়নের সৃষ্টি হয়। সম্পর্ক সুন্দর রাখতে সঙ্গীর অতীত নিয়ে কথা এড়িয়ে চলুন।
হাসানোর চেষ্টা করুন
হাসলে নাকি মন ভালো হয়ে যায়! তাই সঙ্গীকে হাসানোর চেষ্টা করুন। কোনো কারণে রাগ করে থাকলে তাকে হাসিয়ে রাগ ভাঙ্গাতে পারেন। এভাবে নিজেদের সম্পর্ক আরো দৃঢ় করে তুলুন। সঙ্গী হাসতে না চাইলেও এমন কিছু করুন যাতে সে হাসতে বাধ্য হয়। কেননা, সুস্থ মননেই সুস্থ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কোন চাকরি কিংবা কারো সঙ্গে পরিচিত শুরু হওয়ার প্রথম ধাপ হলো সাক্ষাৎকার। শুরুতেই আপনি নিজেকে যত ভালোভাবে উপস্থাপন করবেন, চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বা আপনার পরিচিতি পর্ব ততই মধুর হবে।
সাক্ষাৎকারের কোন পুঁথিগত নিয়ম না থাকলেও কিছু অলিখিত বিষয় রয়েছে। যেগুলো ভালোভাবে উতরাতে পারলেইে আপনার জন্য অনেক কিছুই সহজ হয়ে যাবে। ক্ষেত্র বিশেষে সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন আপনি। কাজেই এসব পরিস্থিতি থেকে নিজেকে নিজেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
সাক্ষাৎকারে যারা একেবারেই নতুন কিংবা যাদের জীবনে প্রথম সাক্ষাৎকার তারাই একটু বেশি সমস্যায় পড়েন। যেকোন সাক্ষাৎকারে আপনার বেশ কিছু বিষয় তারা খেয়াল করে থাকে। মনোবিজ্ঞান অনুসারে, প্রথম সাক্ষাৎতেই লোকেরা আপনার সম্পর্কে যে ৫টি বিষয় লক্ষ্য করে সেগুলো হচ্ছে-
আপনার পোষাক
প্রথমবার কারো সাথে দেখা করা কিংবা সাক্ষাৎকার নিয়ে অনেকেই খুব চিন্তিত হয়। কিন্তু একটু বাড়তি সচেতন হলেই ভালো কিছু শুরু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শুধু আপনি কী বলছেন তা নয়, আপনার বলার ভঙ্গি, আত্মবিশ্বাস এমনকি পোশাকও তাদের দৃষ্টির বাহিরে নয়। তাই সাক্ষাৎতের পূর্বেই ঠিক করে রাখতে হবে আপনি কোন পোষাক পরিধান করবেন? পোষাক দামী বা অল্প দামী এটা কোন বিষয় না। সবথেকে বড় বিষয় আপনি সেই পোষাকে কতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। একইসঙ্গে পরিহিত পোষাকটি হতে হবে মার্জিত। সাক্ষাৎকার অনুযায়ী আপনাকে পোষাক নির্বাচন করতে হবে। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো অনেক সময় বড় ভূমিকা রাখে।
আপনার দাঁত
অনেকেই মনে করেন সুস্থ উজ্জ্বল দাঁতের মাধ্যমে ব্যক্তিত্ব ফোটে ওঠে। আপনি কীভাবে আপনার দাঁতের যত্ন নেন তার ওপর নির্ভর করে বিচার করা হয় আপনার ব্যক্তিত্ব। সাদা এবং সুস্থ দাঁতের অধিকারী যে কাউকেই আকর্ষণীয় মনে হয়। দাঁতে সামান্য দাগের মতো ছোটখাটো ত্রুটিগুলোকে মানুষ ধরে নিতে পারে, যে আপনি খুব একটা যত্নবান নন।
আপনার কথা বলার ধরণ
আপনি যেভাবে কথা বলেন তা আপনার শিক্ষা এবং ব্যক্তিত্বকে প্রতিফলিত করে। স্পষ্টভাবে বিষয় অনুযায়ী কথা ব্যক্তির জ্ঞান এবং পেশাদারিত্ব প্রকাশ করে। এতে তাদের কাছে আপনাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে। তবে স্পষ্টভাবে বলতে ব্যর্থ হলে, তাদের কাছে আপনি অযোগ্য মনে হতে পারেন। লোকেরা আপনাকে অশিক্ষিত বা এমনকি অসংগঠিত ভাবতে পারে।
আপনার আত্মবিশ্বাস
লোকেরা আপনার দক্ষতাকে কীভাবে দেখে তার মূল চাবিকাঠি হলো আপনার আত্মবিশ্বাস। মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো, চোখের দিকে তাকানো এবং স্পষ্টভাবে কথা বলাই বেশিরভাগ মানুষ আপনাকে যোগ্য এবং দায়িত্বশীল হিসেবে দেখবে। আপনি হয়তো এমনটা অনুভব করেন না, কিন্তু আত্মবিশ্বাস আপনাকে বিশ্বস্ত এবং যোগ্য করে তোলে। আপনার ঝুঁকে পড়া এবং চোখের দিকে না তাকিয়ে থাকা তাদের ভাবাতে পারে যে আপনার যোগ্যতার অভাব আছে অথবা আপনি আত্মবিশ্বাসী নন।
আপনার কাজের একাগ্রতা
যেকোন প্রতিষ্ঠান দক্ষ লোকের পাশাপাশি,কাজের প্রতি একাগ্র ব্যক্তিকে এগিয়ে রাখে। কোন ব্যক্তি কাজে দক্ষ কিন্তু কাজের প্রতি একাগ্র না, তাহলে তার কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। সাক্ষাৎকারে তারা বিভিন্ন ভাবে জানার চেষ্টা করবে যে আপনার কাজ করার ইচ্ছা শক্তি কেমন। যেকোন পরিস্থিতিতে আপনার কাজ করার ক্ষমতা আছে কিনা! সাক্ষাৎকারে পরিশ্রমী এবং কাজে একাগ্র ব্যক্তিরাই এগিয়ে থাকে।
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি’র নতুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পরছে বিশ্বজুড়ে। কোভিড-১৯ এর মতো এই ভাইরাসটিও চীনে প্রথম শনাক্ত করা হয়। এরপর জাপানেও এইচএমপিভি ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এবং বাংলাদেশেরও এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। যদিও আমাদের দেশে এইচএমপিভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিস্থিতি তেমন গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। করোনার মতোই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকলে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হলে জটিলতা বাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই আগে থেকেই এই ভাইরাস সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে যারা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের জানতে হবে এবং সচেতন গতে হবে। কারা এইচএমপিভির কবলে পড়ার ঝুঁকিতে বেশি রয়েছেন এবং কীভাবে রক্ষা পেতে পারেন তা ব্যাখ্যা করেছেন ভারতীয় চিকিৎসক আশিস নন্দী। যারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন- ১. নবজাতক এবং শিশু: শিশুরা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য রোগ সহ এইচএমপিভিতেও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার উচ্চঝুঁকিতে থাকে। জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ শ্বাসযন্ত্রের অন্যান্য সমস্যা এইচএমপিভি’তে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। বিশেষ করে নির্ধারিত সময়ের আগে জন্ম নেওয়া অর্থাৎ, প্রিম্যাচিউর বাচ্চারা হাইপোক্সিয়া এবং পানিশূন্যতার ঝুঁকিতে থাকে। ২. বয়স্ক: বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই বৃদ্ধরাও উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। এইচএমপিভি সিওপিডি বা হার্টফেইলরের সম্ভাবনাকে এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। ৩. গুরুতর রোগাক্রান্ত: হাঁপানি, ডায়াবেটিস, দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার রোগীরা এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হলে দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়বে। এমন ব্যক্তিদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুতই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৪.অপুষ্টি: অপুষ্টি মূলত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে না উঠতে পারার মূল কারণ। যে সকল মানুষরা ঠিকমতো খাবার খেতে পারেন না তারা অপুষ্টির শিকার। তাই সুবিধাবঞ্চিত এবং দরিদ্র পরিবারের সদস্যরাও তাই এই রোগে আক্রান্ত হলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।
এইচএমপিভি ভাইরাস অতি ভয়ানক রূপ নেওয়ার আগেই একে প্রতিহত করতে হবে। প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়লেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। রোগ নির্ণয় হলে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলেও মাস্ক ব্যবহারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। এছাড়া যদিও এখনো এইচএমপিভির টিকা আবিষ্কার হয়নি, তবে অবশ্যই টিকা আবিষ্কার হলে আগে উচ্চঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের টিকা সরবরাহ করতে হবে।