বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতি অনুসরণের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নীতি ও আদর্শ অনুসরণ করে দেশমাতৃকার ভক্তি নিয়ে মানুষের সেবায় সকলকে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও বঙ্গবন্ধু পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় শেখ ফজিলাতুন্নেছা ও শেখ কামালের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

স্মরণসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার দৃঢ়তা, সাহস ও অনুপ্রেরণার কারণেই বঙ্গবন্ধুর অর্জন সহজ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর পরতে পরতে বঙ্গমাতার কর্মকাণ্ড এতো সুন্দরভাবে চিত্রিত হয়েছে যা আমাদের সবার জানা উচিত ।

শেখ কামাল প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, অত্যন্ত বিনয়ী ও ভদ্র মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল তার মাত্র ছাব্বিশ বছরের জীবনে দেশের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকে আরও গভীরভাবে জানতে সকলকে বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত বই অধ্যয়নের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নিউক্লিয়াস ছিলেন বঙ্গমাতা। তিনি যেভাবে একটি পরিবারকে গড়ে তুলেছেন তা কেবল বাংলাদেশ নয়, তৃতীয় বিশ্ব ও এর বাইরে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত। যেভাবে তিনি বঙ্গবন্ধুর একজন যোগ্য সহযোগী ও সহচর হয়ে উঠেছিলেন তা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতা ছাড়া সম্ভব নয়। এসময় আমাদের কর্মক্ষেত্র, সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের, বিশেষ করে বঙ্গমাতার অবদানকে তুলে ধরার আহ্বান জানান শাহরিয়ার আলম ।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ন্যাশনাল আর্কাইভ, বিটিভি, তথ্য অধিদফতরসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।

আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা, শেখ কামালসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। এছাড়া দেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।

স্মরণসভায় প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত সাহেদ রেজা প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন। এছাড়া পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

   

গরমে ৪ হাজার মুরগির মৃত্যু, প্রতিবাদে পল্লীবিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
গরমে ৪ হাজার মুরগির মৃত্যু

গরমে ৪ হাজার মুরগির মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পোল্ট্রি খামারে প্রায় ৪ হাজার ব্রয়লার মুরগি মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভয়াবহ লোডশেডিং ও প্রচণ্ড গরমে মুরগিগুলো মারা গেছে বলে দাবি করেছেন খামার মালিকরা। মারা যাওয়া প্রতিটি মুরগির ওজন দেড় থেকে দুই কেজি ছিল বলে জানান তারা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত এসব খামারিরা নরসিংদী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পলাশের তালতলী সাব জোনাল অফিসের সামনে মরা মুরগি নিয়ে অবস্থান করে অফিস ঘেরাও করে রাখে। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পল্লী বিদ্যুতের কর্তা ব্যক্তিরা খামারিদের দেখে অফিসের মূল গেটে তালা লাগিয়ে ভিতরে বসে থাকে।

এলাকাবাসী জানান, প্রতিদিনই প্রচণ্ড গরম পড়েছে। পাশাপাশি ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে পুরো এলাকা। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে বিদ্যুতের জন্য বার বার ফোন দিয়েও কোনো সাড়া পাননি খামার মালিকরা।

‘মুরগিগুলো চোখের সামনে একে একে মারা যায়’ মন্তব্য করে খামার মালিক মহসিন জানায়, আমার খামারে প্রায় ৩ হাজার মুরগি মারা গেছে। এছাড়াও আমার স্বজন ও আশে পাশের খামারিদেরও মুরগি মারা গেছে। খুব কষ্ট করে মুরগিগুলো লালন-পালন করেছি। এ গরমের মধ্যে যদি অতিরিক্ত লোডশেডিং হয় তাহলে কীভাবে? বার বার পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে ফোন দেওয়ার পরও লোডশেডিং কমছে না। সরকারের কাছে আমরা ক্ষতিপূরণ চাই। তা না হলে আমাদের পথে বসতে হবে।

পলাশ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, অতি গরমের কারণে উপজেলার চরসিন্দুরে কিছু মুরগি মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি তবে আজকের পল্লীবিদ্যুৎ ঘেরাও এর সংবাদ পাইনি। এ মুহুর্তে খামারিদের জন্য কোন প্রণোদনা নেই। তবে আমরা খবর নিচ্ছি কার কি পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে বিদ্যুৎতের লোডশেডিংয়ের কারণে।

লোডশেডিংয়ে মুরগি মারা যাওয়ার বিষয়ে ঘোড়াশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. আকবর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। জিনারদী ইউনিয়নের কিছু অংশ আমার অধিনে হলেও তালতলী জোনাল অফিস আমার অধিনে নয়। লোডশেডিং কমানোর ব্যাপারে আসলে আমাদের কিছু করার নেই, আমরা যতটুকু বিদ্যুৎ পাচ্ছি ততটুকুই দিচ্ছি। এর বাহিরে কিছু করার নেই।

এ বিষয়ে পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা যদি উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদফতর বরাবর আবেদন করে আর যদি বরাদ্দ থাকে তাহলে তাদের সহযোগিতা করা হবে।

;

রাতে দাম্পত্য কলহের পর সকালে মিলল স্ত্রীর মরদেহ, স্বামী পলাতক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার চাঁন মিয়া মুন্সি লেন এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে ইয়াছমিন আক্তার (২৩) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ওই নারীর স্বামী জুবাইর উল্লাহ (৩১) ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকাল ১০টার দিকে ওই এলাকার ইমাম কলোনির তৃতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ইয়াছমিন আক্তার কক্সবাজার জেলার পেকুয়ার আবুল কাশেমের মেয়ে। অভিযুক্ত জুবাইর উল্লাহ একই জেলার মহেশখালীর আমিনুল ইসলামের ছেলে ও নিহতের স্বামী।

পুলিশ জানায়, ৪ বছর আগে ইয়াছমিনের সঙ্গে জুবাইরের বিয়ে হয়। তাদের একটি ৩ বছর বয়সি একটি মেয়ে রয়েছে। বুধবার রাতে দাম্পত্য কহলের একপর্যায়ে ইয়াছমিনকে তার স্বামী মারধর করে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল নয়টার দিতে স্বামী জুবাইর বাসার মালিককে ফোন করে জানায়, তার স্ত্রীকে সে গতরাতে মারধর করে চলে এসেছে। বর্তমানে কী অবস্থায় আছে, সেটা দেখার জন্য বলে। এরপর মালিক কোনো সাড়া শব্দ না দেখে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করছেন।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, চলতি মে মাসের ১ তারিখ তারা ইমাম কলোনির ৩য় তলার ৪ নম্বর রুমে ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। তখন থেকেই তাদের মধ্যকার দাম্পত্য কলহ দেখে আসছে প্রতিবেশীরা। ইয়াছমিনও প্রতিবেশীদের জানায়, স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় তাকে প্রায়শ মার খেতে হয়।

জানতে চাইলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উদ্দিন বলেন, সকালে বাড়ির মালিক থেকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। ধারণা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহের জের ধরে ইয়াছমিনকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী জুবাইর পলাতক রয়েছে। আমরা তাকে গ্রেফতার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।

;

বান্দরবানে নিহত ২ কেএনএফ সদস্যের পরিচয় মিলেছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবা‌ন
বান্দরবান

বান্দরবান

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) নিহত দুই সদস্যের পরিচয় মিলেছে। তাদের মরদেহ বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেল ৫টায় নিহতদের মরদেহ মর্গে নিয়ে আসে পুলিশ।

নিহত কেএনএফ সদস্যরা হলেন, বান্দরবান জেলার সুয়ালক ইউনিয়নের শ্যারনপাড়ার বাসিন্দা পেন খুপ বমের ছেলে লাল নু বম (২২) এবং একই এলাকার বেথানীপাড়ার বাসিন্দা জার থাং পুই বমের ছেলে থাং পুই বম (১৪)।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোছাইন মো. রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্তের পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জুয়েল ত্রিপুরা বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলিবিদ্ধ দুটি মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত শেষে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

এরআগে, বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যারনপাড়া এলাকায় যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুই সদস্য নিহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করতে সদর থানা থেকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানজুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে। এপর্যন্ত মোট ৮৬ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৮৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন নারী রয়েছেন। যৌথ বাহিনীর টহলের ওপর হামলা করতে গিয়ে এ পর্যন্ত কেএনএফের মোট ১৩ জন নিহত হয়েছে।

;

পাঁচ বছর জেল খেটে দেশে ফিরল ভারতীয় নাগরিক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
পাঁচ বছর জেল খেটে দেশে ফিরল ভারতীয় নাগরিক

পাঁচ বছর জেল খেটে দেশে ফিরল ভারতীয় নাগরিক

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরুদ্দেশ হওয়ার পাঁচ বছর পর নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছেন ভারতীয় নাগরিক শেভরন কুমার (২৫)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এবং ভারতের গেদে বন্দরের শূন্য রেখায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও থানা পুলিশের কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে।

শেভরন কুমার ভারতের বিহার রাজ্যের রানাগঞ্জের দেবনাথ ঋষির ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি মানসিক ভারসাম্যহীন শেভরন বাংলাদেশের নাটোর জেলা পুলিশের হাতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক হন। এসময় আদালতের মাধ্যমে তাকে নাটোর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ২০২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শেভরন সেখানেই কারাবন্দি ছিলেন। এরপর তাকে চুয়াডাঙ্গা কারাগারে নেওয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা কারাগারেও ২ বছর ছিলেন শেভরন।

সাজার মেয়াদ শেষ হলে গত ৩০ এপ্রিল প্রত্যাবসনের জন্য তাকে দর্শনা চেকপোস্ট সীমান্তে নেয়া হয়। কিন্ত সেদিন তার কোনো অভিভাবক উপস্থিত না থাকায় ভারতীয় থানা পুলিশ তাকে গ্রহণ করেনি। এসময় তাকে কারাগারেই ফিরিয়ে নেয়া হয়। পরবর্তীতে একাত্তর টিভির জেষ্ঠ্য চিত্র সাংবাদিক ও অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামসুল হুদার প্রচেষ্টায় শেভরন কুমারের পরিবারের ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে দর্শনা বন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে শেভরন কুমারকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়।

দর্শনা সীমান্তে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চিত্র সাংবাদিক মো. শামসুল হুদা, শেভরন কুমারের বাবা দেবনাথ ঋষি এবং দুলাভাই ছোটু কুমার উপস্থিত ছিলেন।

শেভরন কুমারের বাবা দেবনাথ ঋষি বলেন, আমি গরিব মানুষ। দীর্ঘদিন পর সবার প্রচেষ্টায় আমার পাগল ছেলেকে খুঁজে পেলাম। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

চিত্রসাংবাদিক মো. শামসুল হুদা বলেন, শেভরনের দেওয়া ঠিকানাটা ভুল ছিল। তারপর ৩০ দিনের প্রচেষ্টায় তার ঠিকানা খুঁজে পায়।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানের বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার সুবেদার জামাল হোসেন, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিক, দর্শনা থানার এসআই শামীম হোসেন, ডিএসবি সেলিম হোসেন প্রমুখ। ভারতের পক্ষে ছিলেন গেঁদে ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এসি বিতাশী, গেঁদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ জেসি দে, কাস্টমস সুপার দিলীপ কুমার পাল, রামাতার পি যাদব, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এসআই পরিভ্রান্ত শিং, ডিআইবি সাধন মন্ডল, রেডক্রস প্রতিনিধি চিত্তরঞ্জন প্রমুখ।

;