২৭ আগস্ট থেকে আরও ১৮ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে
ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া হিসেবে পর্যায়ক্রমে সকল রুটের যাত্রীবাহী আন্তনগর ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন করে আরও ১৮ জোড়া আন্তনগর ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. শরিফুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
বর্তমানে মোট ৩০ জোড়া অর্থাৎ ৬০টি ট্রেন চলাচল করছে বিভিন্ন রুটে। নতুন এই ১৮ জোড়া ট্রেন রেলের বহরে যুক্ত হলে সব মিলিয়ে চলাচল করা ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৮ জোড়া অর্থাৎ ৯৬টি।
২৭ আগস্ট চালু হতে যাওয়া ১৮ জোড়া ট্রেনগুলো হলো, চট্টগ্রাম-সিলেট -চট্টগ্রাম রুটে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-ঢাকা রুটে এগার সিন্দুর প্রভাতী এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি-ঢাকা রুটে যমুনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-ঢাকা রুটে এগার সিন্দুর গোধুলী এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম- ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চট্রলা এক্সপ্রেস, সান্তাহার-বুড়িমারী-সান্তাহার রুটে করতোয়া এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটি-রাজশাহী রুটে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহী- খুলনা রুটে সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, সান্তাহার- দিনাজপুর-সান্তাহার রুটে দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস, ঢালারচর-রাজশাহী-ঢালারচর রুটে ঢালারচর এক্সপ্রেস।
এছাড়া, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ঢাকা চট্টগ্রাম মেইল, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, ঢাকা-ঝাঝিরা-ঢাকা রুটে বলাকা কমিউটার, সান্তাহার- লালমনিরহাট-সান্তাহার রুটে বগুড়া কমিউটার, খুলনা-পার্বতীপুর-খুলনা রুটে রকেট এক্সপ্রেস, পার্বতীপুর-চিলাহাটি-পার্বতীপুর রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস।
এদিকে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আন্তনগর ট্রেনের টিকিট আগের মত একসঙ্গে অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে। বিক্রীত টিকিট রিফান্ড করা যাবে না বা ফেরত নেওয়া হবে না। যাত্রার দিন সহ পাঁচদিন পূর্বে আন্তনগর ট্রেনসমূহের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা যাবে।
যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণক্ষমতার শতকরা ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। আন্তনগর ট্রেন সকল প্রকার স্ট্যান্ডিং টিকিট বন্ধ থাকবে।
ঢাকা-বিমানবন্দর-জয়দেবপুর-নরসিংদী স্টেশনে আন্তনগর ট্রেনের এবং ভৈরব বাজার স্টেশনে শুধুমাত্র কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সাথে ওই সকল স্টেশনের সংশ্লিষ্ট ট্রেনের কোটার টিকেট ঢাকা স্টেশনের এর সঙ্গে সমন্বয় করে বিক্রয় করতে হবে।
রাত্রিকালীন উচ্চশ্রেণির যাত্রীদের জন্য ট্রেনের ভেতর কোনোরকম চাদর-কম্বল এবং বালিশ সরবরাহ করা হবে না এই লক্ষ্যে বিদ্যমান বেডিং চার্জ টিকিটের মূল্য হতে বাদ দেওয়া হবে। বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষ্যে ট্রেনে খাবার সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, স্বাভাবিক সময়ে সারা দেশে প্রায় ১০০টির মত আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। এই মাসের মধ্যে বন্ধ থাকা বাকি ট্রেনগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে বলে জানা গেছে।