বুধবার আকাশবীণার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী  

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আকাশবীণা

আকাশবীণা

ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার আকাশবীণার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে আগামীকাল বুধবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বহরে যুক্ত হওয়া উড়োজাহাজটির উদ্বোধন করবেন।

উদ্বোধনের পর ওইদিন রাতেই কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে আকাশবীণার প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট। ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুট ছাড়াও ঢাকা-সিঙ্গাপুর এবং আগামী অক্টোবর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি রুটে যাত্রী পরিবহনের ব্যবহৃত হবে ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ।

বিজ্ঞাপন

টানা ১৬ ঘণ্টা ফ্লাই করতে পারা এই উড়োজাহাজটিতে মোট আসন রয়েছে ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাসের আসন ২৪টি। সমূদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট ওফর দিয়ে উড়তে সক্ষম দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট এই উড়োজাহাজ বিশ্বের যে প্রান্তে থাকুক না কেন ঢাকায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সময় এর যোগাযোগ থাকবে। এটি বোয়িং ৭৬৭ উড়োজাহাজের চেয়ে ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগে। ড্রিমলাইনারের দ্বিতীয় উড়োজাহাজটি নভেম্বরে এবং বাকি দুটি আসবে আগামী বছরের (২০১৯) সেপ্টেম্বরে।  

আকাশবীণা যুক্ত হওয়ার পর জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫টিতে। ড্রিমলাইনারের দ্বিতীয় উড়োজাহাজটি নভেম্বরে এবং বাকি দুটি আসবে আগামী বছরের (২০১৯) সেপ্টেম্বরে। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রুটে পাখা মেলবে ড্রিমলাইনার। আগামী ডিসেম্বরে ঢাকা-লন্ডন রুটে এবং জানুয়ারিতে ঢাকা-গুয়াংজু রুটে ফ্লাই করবে ড্রিমলাইনার। এরপর দূরপাল্লার আরো বিভিন্ন গন্তব্যে ড্রিমলাইনার দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। 

বিমান পরিচালনা পর্যদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল ইনামুল বারী (অব.) বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের পর ড্রিমলাইনার আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করবে। ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি  বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যাত্রা শুরু হয়। এখন বিমান বহরে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সম্পূর্ণ নতুন বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার যুক্ত হয়েছে, এটি আমাদের জন্য গৌরবের। দিনে দিনে আমাদের বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে দেশের এভিয়েশন খাতও সমৃদ্ধ হচ্ছে। আমাদের পরিধি যেমন বাড়ছে, তেমনি সেবার মানও বেড়েছে।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ বলেন, যাত্রীদের ভ্রমণ নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্য ও আনন্দময় করতে ড্রিমলাইনার নতুন মাত্রা যোগ করবে। বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার ফলে আমাদের চলমান বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট বৃদ্ধি ও নতুন রুটে ফ্লাইট শুরু করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ হবে। ড্রিমলাইনার জ্বালানি সাশ্রয়ী হওয়ায় হওয়া খরচ কমবে, মুনাফা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। ড্রিমলাইনার আকাশবীণা বহরে যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলো।