সাভারের আশুলিয়ায় প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া সেজে অপহরণের তিনদিন পর ওমর আলী (৮) নামে এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় চক্রটির মূলহোতা ওয়াসিম পলাতক রয়েছে।
রোববার (৩০ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ইকবাল হোসেন। এঘটনায় অপহরণকারী আনিছুর রহমানকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
এর আগে শনিবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আনিছুর রহমান টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর থানার তেপাকান্দি গ্রামের বদরুল হকের ছেলে। সে চন্দ্রায় ভাড়া থেকে লেবারের কাজ করতো। এসময় মুলহোতা ওয়াসিম পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, অপহরণকারীরা বিভিন্ন বাসায় রুম ভাড়া নিয়ে সেই বাসার শিশুকে কৌশলে অপহরণ করে চাঁদা দাবি করে। এমন করেই আশুলিয়ার জামগড়া বটতলা এলাকায় পোশাক শ্রমিক নুরুল ইসলাম শ্যামল ঘোষ নামের এক বাড়িওয়ালার বাড়িতে একটি রুম ভাড়া নেয় আনিছুর রহমান। পরে সুযোগ বুঝে অপর ভাড়াটিয়ার শিশু সন্তান ওমর আলীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে। দুই দফায় কিছু টাকাও নেয় তারা। পরে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই এলাকা থেকে আনিছুরকে গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ইকবাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রাবাসে উঠা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়েছে ছাত্রদলের।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ছাত্রবাসে উঠতে গেলে শিক্ষার্থীদের বাঁধা দেয় ছাত্রদল। পরে এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়েন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এতে অন্তত ৭ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) ফয়সাল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম পলিটেকনিকে ছাত্রবাসে উঠা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানে আমাদের একটি দল আছে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।’
প্রায় ১৫ বছর পর বুধবার (২০ নভেম্বর) দুটি ছাত্রাবাসের জন্য নির্বাচিত ছাত্রদের তালিকা প্রকাশ চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ। তালিকায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাত্রবাসে উঠতে যান। এ সময় সেখানে অতর্কিত ঢুকে পড়েন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। তাঁরা শিক্ষার্থীদের হলে উঠতে বাঁধা দেন। কারও কারও ওপর আঘাত করেন বলেও অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় বেশ কিছু জানালার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়।
তবে ছাত্রদলের অভিযোগ চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রাবাসে বৈষম্যহীনভাবে ফরম বিতরণের করা ও সময় দেওয়া এবং হলে সিট বরাদ্দের ক্ষেত্রে কলেজ প্রসাশন ও ছাত্রশিবির যৌথভাবে সিট বণ্টন করার প্রতিবাদ করেছেন তাঁরা।
তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁরা বলেছেন, ছাত্রদল বহিরাগতদের নিয়ে এসে তাঁদের হলে উঠতে বাধা দিয়েছে। প্রতিবাদ করায় তাঁদের ওপর হামলা চালান। এমনকি হলের ফরমও নিতে দিচ্ছে না কাউকে।
এর আগে ছাত্রাবাস খোলার জন্য আন্দোলন নামেন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার তালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও তা হয়নি, যার কারণে দ্বিতীয় দিনের মতো বুধবারও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ওইদিন নির্বাচিত ছাত্রদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
ফরিদপুরের সালথায় স্কুলে যাওয়ার পথে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মো. এসকেন্দার আলী (৫৫) নামে এক প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে গুরুতর আহত আবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় মিজানুর রহমান নামে আরেক সহকারি শিক্ষক আহত হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহত এসকেন্দার সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের খোয়ার গ্রামের মৃত রশিদ ফকিরের ছেলে ও গোয়ালপাড়া সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
আহত গোয়ালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক এসকেন্দার আলী ফরিদপুর শহরের বাসায় বসবাস করেন। আমিও শহরে থাকি। সেখান থেকে আমরা প্রতিদিন মোটরসাইকেল যোগে স্কুলে যাওয়া-আসা করি। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ফরিদপুর শহরের বাসা থেকে প্রধান শিক্ষক এসকেন্দার আলী আর আমি মোটরসাইকেল করে স্কুলে আসতেছিলাম।
পথে কানাইপুর ইউনিয়নের রামখন্ড মোড়ে গ্রামের ভেতরের একটি সড়ক দিয়ে আসা আরেকটি মোটর সাইকেলের সাথে আমাদের মোটর সাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে প্রধান শিক্ষক মাথায় প্রচন্ড আঘাত পান। আমি সামান্য আহত হই। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করেন। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সালথা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মাইনুল ইসলাম।
বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা। অপরূপ সৌন্দর্যের এই ফুল দেখলে যে কারোই মন জুড়ায়। ইচ্ছে করে কাছে গিয়ে ছুঁয়ে দেখার। এই ফুল খাল-বিল, হাওড়-বাঁওড়, পুকুর-জলাশয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে চাষবাস ছাড়াই জন্ম নেয়।
অপরূপ সৌন্দর্যের পাশাপাশি শাপলা এখন বেশ জনপ্রিয় সবজি তরকারি। মজাদার খাবারের তালিকায় এর চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলছে। ফলে বর্ষার শেষ মৌসুমে বাজারগুলোতে শাপলার যেমন হাট বসে, তেমনি বাড়ি বাড়ি ফেরি করে বিক্রি হয় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন স্থানেও। আর এই শাপলা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান লৌহজং ও শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েক শতাধিক পরিবার।
চার থেকে পাঁচ মাস কৃষি জমি পানির নিচে থাকায় এ মৌসুমে কৃষকের তেমন কোনো কাজ নেই। তাই এলাকার অনেক কৃষক এ পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন। কোনো পুঁজির প্রয়োজন না হওয়ায় বিভিন্ন বয়সের লোক এ পেশায় অংশ নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
লতব্দী ইউনিয়নের চর নিমতলার বিল থেকে শাপলা সংগ্রহকারী কানন মিয়া জানান, এসময় একেক জন কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ গুচ্ছ সংগ্রহ করতে পারে। পাইকাররা আবার সংগ্রহকারীর কাছ থেকে এসব শাপলা সংগ্রহ করে একত্রে করে। সিরাজদীখানের রসুনিয়া, ইমামগঞ্জ তালতলায়, হাসাড়া, ছন বাড়ির মোড় ও আড়িয়াল বিলের পাশে শাপলার পাইকারি ক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। পাইকাররা এখান থেকে শাপলা ক্রয় করে ঢাকার যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বিক্রি করে থাকে।
ঢাকার পাইকার কান্চন মিঞা বার্তা২৪.কমের এই প্রতিবেদককে জানান, শাপলা সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে এক গুচ্ছ শাপলা ২০ টাকা দরে ক্রয় করা হয়। তারপর গাড়ি ভাড়া গড়ে ৩ টাকা, লেবার ১ টাকা, আড়ত খরচ ২ টাকাসহ মোট ২৭ থেকে ২৮ টাকা খরচ পড়ে । যাত্রাবাড়ী আড়তে শাপলার গুচ্ছ বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
কোনো রকম পুঁজি ছাড়াই শাপলা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন সিরাজদিখানসহ জেলার কয়েকশ’ পরিবার। বর্ষার এই মৌসুমে কৃষক ও অভাবী লোকজন বেকার হয়ে শাপলা কুড়িয়ে তা বিক্রির পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন।
সূত্র মতে, বর্ষায় ডুবে যাওয়া ধান, পাট ও ধঞ্চে ক্ষেতে শাপলা বেশি জন্মায়। এছাড়া জেলার খাল-বিলগুলোতেও শাপলা ফুল জন্মে থাকে। আষাঢ় থেকে শুরু করে ভাদ্র মাস পর্যন্ত পাওয়া যায় শাপলা। শাপলা সংগ্রহকারীরা ভোরে নৌকা নিয়ে ডুবে যাওয়া জমিতে ও বিলের মধ্যে ঘুরে ঘুরে শাপলা তুলতে থাকেন।
কয়েকজন শাপলা সংগ্রহকারী জানান, এ সময়ে একেকজন কমপক্ষে ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ গুচ্ছ (৭০-৮০ পিস শাপলায় ১ গুচ্ছ ধরা হয়) সংগ্রহ করতে পারে। পাইকাররা আবার এসব শাপলা সংগ্রহকারীর কাছ থেকে সংগ্রহ করে একত্রে করেন। দিন শেষে ৪০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা আয় করে থাকেন। বছরের ৪ মাস এ কাজ করেন। সিরাজদিখানের রসুনিয়া, ইমামগঞ্জ, লতিব্দী ও তালতলায় আর শ্রীনর উপজেলার হাসাড়াও আড়িওল বিলের পাইকারি ক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। পাইকাররা পরে ঢাকার যাত্রাবাড়ী পাইকারি বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন।
শ্রীনগর উপজেলার হাফিজ মিয়া জানান, শাপলা সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার থেকে দুই হাজার গুচ্ছ শাপলা ক্রয় করে থাকেন। সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে এক গুচ্ছ শাপলা ২০-৩০ টাকা দরে ক্রয় করেন তিনি। তারপর ট্রাক ভাড়া গড়ে ৩ টাকা, লেবার ১ টাকা, আড়ত খরচ ২ টাকাসহ পায় ৩০ টাকার মতো খরচ পড়ে।
এই বিষয়ে জেলার কৃষি কর্মকর্তা জানান, শাপলা আসলে কোনো কৃষি পণ্যের আওতাভুক্ত নয়। এটি প্রাকৃতিকভাবে কৃষি জমি ও পুকুর কিংবা ডোবাতে জন্ম নেয়, এই বিষয়ে আমাদের কোনো পরামর্শ দেয়ার সুযোগ হয়ে উঠে না। তবে আমরা চেষ্টা করি, কৃষকদের সহায়তা করার। এছাড়াও আমরা কৃষকদের শাপলা বেশি দিন সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকি। বেশির ভাগ শাপলা ঢাকাতে বিক্রি হয়ে থাকে।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ইটবাহী ট্রাক চাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত সাইফা আক্তার (৩) উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের ভুলু মিয়ার নতুন বাড়ির নুর আমিনের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ভুলু মিয়ার নতুন বাড়ির সামনের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, দুপুর সোয়া ২টার দিকে বাড়ির সামনের সড়কের পাশে দাঁড়ানো ছিল সাইফা। ওই সময় বালুবাহী বেপরোয়া গতির ট্রাক পিছন দিক থেকে এসে তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ট্রাক ও চালক পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।