টালমাটাল প্রাণ আরএফএল



সিনিয়র করেপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রাণ আরএফএল-এর চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী

প্রাণ আরএফএল-এর চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাণ আরএফএল গ্রুপের টালমাটাল অবস্থা। চলছে অস্থিরতা। শত শত কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকির অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে আরএফএল গ্রুপের সদর দফতরে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এর আগে এই গ্রুপের উর্ধ্বতন কয়েক কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত এবং দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর প্রাণ আরএফএল-এ শুরু হয় আতঙ্ক। এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

কয়েকদিন আগে এই কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের মোবাইল ফোন জব্দ করাসহ বুঝে নেওয়া হয়েছে অফিসের কাগজপত্র।

চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের অন্যতম হচ্ছেন- সুজন মাহমুদ। তিনি প্রাণ আরএফএল গ্রুপের মালিকানাধীন নিউজপোর্টাল জাগো নিউজের সম্পাদক ছিলেন।

প্রাণ আরএফএল-এর চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী এনবিআর এর অভিযানের বিষয়টি বার্তা২৪.কম-এর কাছে অস্বীকার করেননি।

গত চার বছরে গ্রুপটির রংপুর মেটালের দু’টি ইউনিটের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া অর্থের পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা। সিলেট কাস্টমস এক্সপার্ট ও ভ্যাট কমিশনারের কার্যালয়ের বিশেষ নিরীক্ষায় উঠে এসেছে এই ট্যাক্স ফাঁকির কথা।

এনবিআর থেকে জানা যায়, প্রাণ আরএফএল গ্রুপকে ট্যাক্স পরিশোধের বিষয়ে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হলেও তারা অর্থ পরিশোধ করেনি। এমনকি কোনো ইতিবাচক সাড়াও দেয়নি। আর তাই এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জব্দ করে এনবিআর।

১৯৮১ সালে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেডের (আরএফএল) মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ তৈরির উদ্দেশ্যে রংপুরে কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ৫০০টিরও বেশি খাদ্যপণ্য এবং ১ হাজার ৫০০টির বেশি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্লাস্টিক পণ্য রয়েছে।

তবে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে বিপণনের নানা পর্যায়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।

রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন সময় প্রাণ আরএফএলের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতি, গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান, গুণগত মান বজায় না রেখে পণ্য উৎপাদন করে লাইসেন্স বাতিল, উৎপাদিত পণ্যে মানবদেহে ক্ষতিকর ফরমালিন মেশানোর অভিযোগ রয়েছে।

   

জয়পুরহাটে পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জয়পুরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জয়পুরহাটে গোসল করার সময় পুকুরে পানিতে ডুবে তৌফিক রহমান (১৯) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরের সবুজ নগর এলাকায় পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন একটি পুকুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তৌফিক রহমান শহরের চিত্রাপাড়া এলাকার নিজামুদ্দীনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তৌফিক রহমান ও তার বন্ধু মোবাইলে যোগাযোগ করে সবুজ নগর মসজিদের সামনে একত্রিত হয়। এরপর নতুন পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন একটি পুকুরে গোসল করার জন্য তারা যায়। এসময় পুকুর পাড়ে বসে কথা বলার সময় পা ধুতে গেলে পিছলে পানিতে পড়ে যায় তৌফিক। তখন দুই বন্ধু মিলে তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে তাদের চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে পানি থেকে তোলে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে তাকে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে ঘোষণা করেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

ঝড়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উপড়ে পড়লো তিন গাছ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উপড়ে পড়েছে তিনটি গাছ। এতে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ছিল।

খবর পেয়ে ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উপড়ে পড়া গাছটি সরিয়ে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সোমবার (২৭ মে) বিকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকার ভরাডোবার ভান্ডাব এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

ভালুকা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আতিকুর রহমন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে তিনটি গাছ ভেঙে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপড়ে পড়ে যায়। এতে যানবাহনে চলাচলে বাধাগ্রস্ত করে। খবর পেয়ে দ্রুতই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টা তিনটি গাছ কেটে সরিয়ে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ভালুকা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আতিকুর রহমান আরও বলেন এঘটনায় কেউ নিহত বা আহত হয়নি।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু তালেব বলেন, সড়কে গাছ পড়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সমন্বয়ে কাজ করে গাছ কেটে সরিয়ে ফেলে। তবে, এই ঘটনায় সাময়িক সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ ছিল।

;

খাতুনগঞ্জে খাল থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন খাতুনগঞ্জের একটি খাল থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার নাম ঠিকানা এখনও পাওয়া যায়নি।

সোমবার (২৭ মে) বিকেলে খাতুনগঞ্জ এলাকার শুকটি পট্টির খালে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক নুরুল আলম আশিক জানান, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এক যুবককে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। শুটকি পট্টি পুলের গোড়ায় পানিতে ডুবে থাকা অবস্থায় পাওয়া ভিটটিমকে পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বয়স ২৫ বছর।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবাইদুল হক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, শুঁটকি পট্টির একটি খাল থেকে স্থানীয়রা মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। ধারণা হচ্ছে, দিনভর বৃষ্টির কারণে ওই খালে পানির অনেক শ্রুত ছিল, ভুলবশত সেখানে পড়ে ডুবে গেছে। এতে তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা পরিচয় শনাক্তে কাজ করছি।

;

আরও যা প্রয়োজন দেওয়া হবে: অধিদপ্তরের মহাপরিচালক 

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘুর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবের পর প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দুর্গত মানুষদের জন্য ইতিমধ্যে অর্থ ও খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেছেন, আরও যা প্রয়োজন আমরা তা করব।

সোমবার সন্ধ্যায় বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। খাদ্য বরাদ্দ দিয়েছি। আরও যা যা লাগে সবটাই দেওয়া হবে। অলরেডি দেওয়া হয়েছে, আরও যা প্রয়োজন হবে, স্টেটমেন্টটা হাতে পেলে ..প্রাথমিকটা পেয়েছি। যেহেতু এখনো ঝড় শেষ হয়নি। সব কালেক্ট করার পর রাষ্ট্র যেভাবে চাইবে; যেভাবে দূর্গতদের পাশে দাঁড়ালে তাদের কল্যাণ হবে, যাতে তাদের পুনর্বাসন করা যায় বড় লসগুলোকে কাটাতে, রাষ্ট্র যেভাবে দাঁড়ায়, সেভাবে আমরা করব।’

দুর্গতদের তথ্য সংগ্রহে আমরা জেলা প্রশাসনগুলোর সঙ্গে প্রতিমুহূর্তে কাজ করছি জানিয়ে সরকারের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসকরা যে তথ্য পাঠিয়েছেন তার ভিত্তিতেই আমরা ক্ষয়ক্ষতির একটি পরিসংখ্যান তৈরি করেছি। এখন পর্যন্ত ১৯টি জেলার ১০৭টি উপজেলার ৯১৪টি ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় রিমালে দুর্গত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯৬ জন। এই ঘুর্ণিঝড়ে অন্ততঃ ১০ জনের মৃত্যুর তথ্য আমরা প্রাথমিকভাবে পেয়েছি। আংশিক বিধ্বস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৯৯২টি এবং সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪৮৩টি।’

মোঃ মিজানুর রহমান আরও জানান, কিছু জেলায় দুর্গতদের লুঙ্গি, শাড়ি, থ্রি পিস, টি-শার্ট, বাচ্চাদের কাপড়, ঢেউটিন, নগদ অর্থ, বিধ্বস্ত বাড়িঘর নির্মাণে অর্থ মঞ্জুরি, শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি চাওয়া হয়েছে। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহে কাজ করছি। যাতে সবাইকে ক্ষতি কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে সহযোগিতা দেওয়া যায় অধিদপ্তর তা চেষ্টা করছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান, সোমবার (২৭ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সরকারের প্রস্তুতির কারণে বড় ক্ষয়ক্ষতি হয় নাই।ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা সহযোগিতার জন্য দেওয়া হয়েছে। পাঁচ হাজার পাঁচশত মেট্রিক টন চাল ও পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার। এছাড়া শিশু খাদ্য কেনার জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা সহযোগিতা করা হয়েছে।

সহযোগিতা ক্ষতিগ্রস্তের মোবাইল অ্যাকাউন্টে যাবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বরাদ্দ অব্যাহত থাকবে’।

;