আরও যা প্রয়োজন দেওয়া হবে: অধিদপ্তরের মহাপরিচালক 

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল
  • আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঘুর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবের পর প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দুর্গত মানুষদের জন্য ইতিমধ্যে অর্থ ও খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেছেন, আরও যা প্রয়োজন আমরা তা করব।

সোমবার সন্ধ্যায় বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। খাদ্য বরাদ্দ দিয়েছি। আরও যা যা লাগে সবটাই দেওয়া হবে। অলরেডি দেওয়া হয়েছে, আরও যা প্রয়োজন হবে, স্টেটমেন্টটা হাতে পেলে ..প্রাথমিকটা পেয়েছি। যেহেতু এখনো ঝড় শেষ হয়নি। সব কালেক্ট করার পর রাষ্ট্র যেভাবে চাইবে; যেভাবে দূর্গতদের পাশে দাঁড়ালে তাদের কল্যাণ হবে, যাতে তাদের পুনর্বাসন করা যায় বড় লসগুলোকে কাটাতে, রাষ্ট্র যেভাবে দাঁড়ায়, সেভাবে আমরা করব।’

বিজ্ঞাপন

দুর্গতদের তথ্য সংগ্রহে আমরা জেলা প্রশাসনগুলোর সঙ্গে প্রতিমুহূর্তে কাজ করছি জানিয়ে সরকারের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসকরা যে তথ্য পাঠিয়েছেন তার ভিত্তিতেই আমরা ক্ষয়ক্ষতির একটি পরিসংখ্যান তৈরি করেছি। এখন পর্যন্ত ১৯টি জেলার ১০৭টি উপজেলার ৯১৪টি ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় রিমালে দুর্গত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯৬ জন। এই ঘুর্ণিঝড়ে অন্ততঃ ১০ জনের মৃত্যুর তথ্য আমরা প্রাথমিকভাবে পেয়েছি। আংশিক বিধ্বস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৯৯২টি এবং সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪৮৩টি।’

মোঃ মিজানুর রহমান আরও জানান, কিছু জেলায় দুর্গতদের লুঙ্গি, শাড়ি, থ্রি পিস, টি-শার্ট, বাচ্চাদের কাপড়, ঢেউটিন, নগদ অর্থ, বিধ্বস্ত বাড়িঘর নির্মাণে অর্থ মঞ্জুরি, শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি চাওয়া হয়েছে। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহে কাজ করছি। যাতে সবাইকে ক্ষতি কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে সহযোগিতা দেওয়া যায় অধিদপ্তর তা চেষ্টা করছে।

বিজ্ঞাপন

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান, সোমবার (২৭ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সরকারের প্রস্তুতির কারণে বড় ক্ষয়ক্ষতি হয় নাই।ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা সহযোগিতার জন্য দেওয়া হয়েছে। পাঁচ হাজার পাঁচশত মেট্রিক টন চাল ও পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার। এছাড়া শিশু খাদ্য কেনার জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা সহযোগিতা করা হয়েছে।

সহযোগিতা ক্ষতিগ্রস্তের মোবাইল অ্যাকাউন্টে যাবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বরাদ্দ অব্যাহত থাকবে’।