ঘরের ভিতর হাঁটু পানি, ঠাঁই তাদের বাঁধে

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

বন্যায় গাইবান্ধার চারিদিকে নজর কাড়ছে থৈ থৈ পানি। এর তাণ্ডবে ঘরের ভিতর হাঁটু পানি। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে উঠেছেন স্বজনদের বাড়িতে। কেউ কেউ ঠাঁই নিয়েছে বিভিন্ন বাঁধ বা রাস্তা-ঘাটে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ জামুডাঙ্গা গ্রামে এমন চিত্র দেখা যায়। সেখানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে অনেকগুলো পরিবার।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, চলমান বন্যায় গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাসহ আরো কয়েকটি উপজেলার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত এলাকা সাদুল্লাপুর। এখানে ৬টি ইউনিয়নের প্রায়
৫০ গ্রামের লক্ষাধিক বাসিন্দা বন্যাক্রান্ত হয়েছে। এসব মানুষদের জন্য সরকারিভাবে মাত্র দুইটি আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়। সেখানে উঠেছেন ১৫৭ জন।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পানিবন্দি মানুষরা ফসলাদি, গাছপালা, পুকুরের মাছ ও গবাদি পশুপাখি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে। বাঁধ ও রাস্তায় আশ্রিত মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে খাদ্য সংকটে ভুগছে। খেয়ে না খেয়ে কোনোমতে দিনাতিপাত করছেন। দুর্যোগের শিকার দরিদ্র মানুষগুলো দু’বেলা খাদ্যের সন্ধানে নানাদিকে ছুটোছুটি করছে।

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ জামুডাঙ্গা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নেওয়া নছিমন বেওয়া ও মালেক মিয়া জানান, ঘরের ভিতর হাঁটু পানি। অন্যের বাড়িতে শ্রম বিক্রিও হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত সরকারি কিংবা বেসরকারি সহায়তা মেলেনি। ফলে চরম খাদ্যাভাবে পড়েছেন তারা।

এ বিষয়ে দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান এজেডএম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীন বার্তা২৪.কমকে বলেন, এ ইউনিয়নের ৭টি গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি। তাদের জন্য ৩ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তা বিতরণ করা হচ্ছে।

সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, বন্যার্ত মানুষদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এছাড়া তাদের মাঝে ত্রাণ কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।