পানির কষ্টে খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা



ইমাম খাইর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
পানির কষ্টে খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা

পানির কষ্টে খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার উত্তরে বাঁকখালী নদীর তীর ঘেঁষে তৈরি হয় দেশের সর্বপ্রথম খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প। বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই জলবায়ু উদ্বাস্তু আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্থান পেয়েছে ৬০০ পরিবার। যারা ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে কবলে পড়ে বসতভিটা হারান।


আশ্রিতদের মধ্যে রয়েছে দিনমজুর, শুঁটকিশ্রমিক, জেলে, ভ্রাম্যমাণ শুঁটকি বিক্রেতা, রিকশা ও ভ্যানচালক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় সর্বহারা মানুষগুলো আজ দৃষ্টিনন্দন ফ্ল্যাটের মালিক। স্বপ্ন দেখছে নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াবার। তবে, জলবায়ু উদ্বাস্তুরা মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেও নিশ্চিত হয় নি সুপেয় পানি। ফলে কষ্ট পাচ্ছেন ব্যবহারের পানি নিয়ে।


তাদের অভিযোগ, ভবনগুলোতে যে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে তা পান তো দূরের কথা লবণাক্ততার কারণে ব্যবহারও করাও যায় না। প্রকল্পের পার্শ্ববর্তী পাড়া থেকে পানি আনতে গেলে বাধা দেয় স্থানীয় বখাটেরা, চাঁদা দাবি করে।

পার্শ্ববর্তী পাড়া থেকে পানি আনতে গেলে বাধা দেয় স্থানীয় বখাটেরা

আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে পিএমখালী থেকে পানি আনার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা থাকলেও তার বাস্তবায়নের কোন লক্ষণ দেখছেন না জলবায়ু উদ্বাস্তুরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আন্তরিকতায় দৃষ্টিনন্দন ফ্ল্যাটে স্থান হলেও পানি নিয়ে দুঃখের শেষ নেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের। অনেক দিন ধরে অভিযোগ আসছিল। সরেজমিন গেলে ওঠে আসে অনেক তথ্য। সেই সঙ্গে দুঃখের বর্ণনা দেন তারা।

ঝিনুক ভবনের ৩০২ নং ফ্ল্যাটের বাসিন্দা মুহাম্মদ হোসেন (৩৭) জানান, শুরু থেকে তারা পানি নিয়ে খুব সমস্যায় আছে। কর্তৃপক্ষকে বলেও কাজ হয় নি। পূর্ব দিকে অনেক দূরে গিয়ে মনুপাড়া থেকে টমটমে করে খাবার পানি আনতে হয়।

তিনি জানান, সম্প্রতি এলাকার বখাটেরা ওখান থেকেও পানি আনতে গেলে বাধা দেয়। পথে গাড়ি আটকিয়ে চাঁদা দাবি করে। যে কারণে খাবার পানি নিয়ে পরিবারের ৬ সদস্য নিয়ে খুবই কষ্টে আছেন।

একই অভিযোগ ১৯টি ভবনের প্রত্যেক ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের। তারা জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলেও প্রয়োজনের সময় পাওয়া যায় না। বেশ কিছু দিন ধরে অবস্থা নাজুক। লাইনের পানি দিয়ে গোসল করা যাচ্ছে না।

কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার উত্তরে বিশ্বের সর্ব বৃহত্তম ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প

ঝিনুক ভবনের ৫০১ নম্বর ফ্ল্যাটে স্ত্রী ও ২ সন্তান নিয়ে বসবাস সিরাজুল ইসলামের। ভবনের নীচে একটি ছোট্ট মুদির দোকান দিয়েছেন। অল্প আয়ে কোন মতে চলছে সংসার। কিন্তু ব্যবহারের পানি নিয়ে তার যত অভিযোগ।

সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রথম দিকে কিছু পানি সরবরাহ পেলেও এখন মারাত্মক অবস্থা। প্রতি বোতল পানি ৫০ টাকা করে কিনে খেতে হচ্ছে। তাতে কোনভাবে চললেও ব্যবহারের পানি নিয়ে পড়েছেন মহা বেকায়দায়। গোসল, অজু কালাম করতে গিয়ে আরো মারাত্মক দশা।

একই অভিযোগ নীলাম্বরী ভবনের ৪০১ নং ফ্ল্যাটের হেলাল উদ্দিনের। তিনি দুঃখ করে বলেন, পানিতে আটকে গেছে তাদের সব সুখ। তার ছোট্ট একটি পরিবারে দিনে ৫০ টাকা হিসেবে মাসে ১ হাজারেরও বেশি পানির বিল দিতে হচ্ছে। অথচ পুরো মাসে ১০০০ টাকা আয়ও নাই।

জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্পে নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর মাধ্যমে ৯৭২ লাখ টাকার বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পাম্প হাউস ও পানি সরবরাহ লাইন স্থাপন।

স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগ দিচ্ছেন বাসিন্দারা

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী ঋত্বিক চৌধুরী জানান, খাবার ও গোসলের পানির জন্য পৃথক দুইটি প্রস্তাবনা রয়েছে। অনেক বড় প্রকল্প দরকার। আপাতত স্যালো মেশিন বসিয়ে সেখান থেকে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এ জন্য একজন অপারেটর নিয়োজিত করা হয়েছে।

তিনি জানান, সরবরাহের পানি লবণাক্ত হওয়ায় অনেকে ব্যবহার করতে পারে না। এতগুলো লোকের পানির জন্য দীর্ঘস্থায়ী প্রকল্প নেয়া দরকার।

প্রকল্প থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে পিএমখালী থেকে পানি আনার বিষয়ে পরিকল্পনা রয়েছে। তা বাস্তবায়ন হলে পানি সমস্যা দূর হবে মনে করেন প্রকৌশলী ঋত্বিক চৌধুরী।

এদিকে, খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের সমস্যাগুলো নিয়ে ১৮ অক্টোবর রাতে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা তাদের সব সমস্যার কথা তুলে ধরেন। বর্ণনা দেন স্থানীয় বাসিন্দাদের নির্যাতনের কথা।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার উত্তরে বিশ্বের সর্ব বৃহত্তম ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে’র অবস্থান। গত ২৩ জুলাই গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রথম ধাপে তৈরি ২০টি ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে স্থান হয়েছে ৬০০ জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের।

এ প্রকল্পে ১০ তলার আরেকটি দৃষ্টিনন্দন ভবন হচ্ছে। ভবনটির নামকরণ হয়েছে ‘শেখ হাসিনা টাওয়ার’।

২০১৮ সালে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করতে সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়। রানওয়েসহ অন্যান্য অবকাঠামো তৈরির জন্য অধিগ্রহণ করতে হয়েছে বিমানবন্দরের পশ্চিম পাশ লাগোয়া কুতুবদিয়াপাড়া, ফদনারডেইল, নাজিরারটেক উপকূলের বিপুল পরিমাণ সরকারি খাসজমি। সেখানে এক যুগের বেশি সময় ধরে বসবাস করছিল চার হাজারের বেশি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবার।

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, চকরিয়া, পেকুয়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘরবাড়ি হারিয়ে বিমানবন্দরের পাশে সমুদ্র উপকূলে আশ্রয় নিয়েছিলেন এসব গৃহহীন মানুষ।

প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে এসে জনসভায় ঘোষণা দিয়েছিলেন, মাথা গোঁজার বিকল্প ঠাঁই না করে সরকারি খাসজমি থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না।

এরপর অধিগ্রহণ করা সরকারি খাসজমিতে বসবাসকারী ৪ হাজার ৪০৯ পরিবারের অন্তত ২০ হাজার জলবায়ু উদ্বাস্তুকে পুনর্বাসনের জন্য খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের জন্য খুরুশকুলে অধিগ্রহণ করা হয় ২৫৩ দশমিক ৩৫০ একর জমি। প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে।

এ পর্যন্ত পাঁচতলাবিশিষ্ট ১৯টি ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। আরও একটি ভবনের নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে। এখন এসব ভবনে ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেয়েছে ৬০০টি পরিবার।

আরও পড়ুন: উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬০০ পরিবার

   

র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক ফিরোজ, নিজ বাহিনীতে ফেরত যাচ্ছেন আরিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলিট ফোর্স র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক (সিও) হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর। তিনি লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ফিরোজ তার দায়িত্ব বুঝে নিবেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) র‍্যাব সদরদফতরের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ নিজ বাহিনীতে (সেনাবাহিনী) ফেরত যাচ্ছেন। তিনি র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দুবছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। মেধাবী ও সৎ অফিসার হিসেবে পরিচিত এই সেনা কর্মকর্তা ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিযান, মাদক-অস্ত্র উদ্ধার, খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যাপক অভিযান চালান। যা ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

এদিকে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া ফিরোজ কবীর সর্বশেষ র‍্যাব-৬'এর দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি তাকে বদলি করে র‍্যাব সদরদফতরে আনা হয়। গত মে মাসে তিনি র‍্যাব-৬'র অধিনায়কের দায়িত্ব পান। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর পুলিশ সপ্তাহে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক- বিপিএম পান।

অন্যদিকে ১৮ এপ্রিল র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনকে নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। গত বুধবার আরাফাত তার বুঝে নেন। আর র‍্যাব-১৩'র অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার কামরুল হাসান।

রাজধানীর ব্যাংক পাড়া খ্যাত মতিঝিল, মুগদা, শাহ্জাহানপুর, পল্টন, খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা, হাতিরঝিল, শাহবাগ ও রমনা থানা মিলে র‍্যাব-৩ এর আওতাধীন এলাকা। 

;

লামায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দারবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামা উপজেলায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে বন্দুকসহশ জুয়েল ত্রিপুরা (২৮) নামের এক পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি নাইক্ষ্যংমুখ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক জুয়েল ত্রিপুরা(২৮) হলেন অনজাহা ত্রিপুরার ছেলে । সে লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুরে জুয়েল ত্রিপুরা সহ আরও দুই জন সংঘবদ্ধ হয়ে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম নাইক্ষংমুখ এলাকায় বন্দুকের ভয় দেখিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল। সেই সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর টহল দল দেখতে পেয়ে বিষয়টি অবহিত করে। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল হাতেনাতে জুয়েল ত্রিপুরা কে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করেন। এর আগে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য দুই জন পালিয়ে যায়।

এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম শেখ বলেন, এ ঘটনায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

নরসিংদীতে অতি গরমে প্রবাসীর শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল চাঁনপুরে অতি গরমে এক প্রবাসীর দেড় বছরের এক শিশু মারা গেছে। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের সওদাগর কান্দি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় চাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশুর নাম ইয়াসিন। সে রায়পুরা উপজেলার সওদাগর কান্দি এলাকার প্রবাসী এনামুল হকের ছেলে।

নিহত ইয়াছিনের নানা বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নাতীসহ মেয়ে নরসিংদী শহরের বাসাইলস্থ ভাড়া বাসা থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি সওদাগর কান্দিতে নিয়ে আসি। আর আজই আমার নাতিটা মারা গেলো। 

তিনি আরও জানান, দুপুর সোয়া ২টার দিকে ইয়াসিন তার মায়ের সাথে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত গরমে মাটিতে শুয়ে পড়ে। পরে তাকে সওদাগর কান্দি ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাব সেন্টারের নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট মিজানুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় মিজানুর রহমান জানান, শিশু ইয়াছিনকে তার কাছে আনার আগেই মারা গেছে। যারা নিয়ে এসেছে তাদের ভাষ্যমতে অতি গরমে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। 

 

 

 

;

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরব আমিরাতের ৯০ হাজার দিরহামসহ শারজাহগামী এক যাত্রীকে আটক করেছে এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। উদ্ধার মুদ্রা ২৩ হাজার ৬৮৪ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিমানবন্দর টার্মিনালের আন্তর্জাতিক অ্যান্টি হাইজ্যাকিং গেইটে তল্লাশি এসব মুদ্রাসহ তাকে আটক করা হয়।

আটক যাত্রীর নাম মোহাম্মদ কায়সার হামিদ৷ তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা। রাত সোয়া আটটার এয়ার এরাবিয়া জি৯-৫২১ ফ্লাইট যোগে শারজাহ গমনিচ্ছুক ছিলেন হামিদ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন- বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।

তিনি জানান, বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে পতেঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করছে। উদ্ধার করা বিদেশি মুদ্রাগুলো শুল্ক গোয়েন্দার মাধ্যমে বিমানবন্দর কাস্টমসের নিকট হস্তান্তর করা হবে, যা পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক জব্দ হবে।

তিনি আরও জানান, যাত্রী বৈদেশিক মুদ্রা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ (১ বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ইউএস ডলার বা এর সমমূল্যের অন্য কোনো বৈদেশিক মুদ্রা) এর বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করায় তার নিকট হতে প্রাপ্ত সমুদয় বৈদেশিক মুদ্রা যাত্রীসহ আটক করা হয়।

;