শুভ্র হত্যার বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) গৌরীপুর শাখার চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ স্মারকলিপি গ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে গৌরীপুরবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খানের নেতৃত্বে দলীয় নেতা-কর্মীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ করেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসুদুর রহমান শুভ্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রচারণায় ছিলেন।জনপ্রিয়তাই তার কাল হয়েছে। আমরা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবার স্মারকলিপি দিয়েছি।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ সুলতান জনি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, গৌরীপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ওয়াসিকুল ইসলাম রবিন, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি উত্তম সরকার প্রমুখ।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে শুভ্র হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ। মিছিলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পরেও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শুভ্রকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
গত ১৭ অক্টোবর রাতে পৌর শহরের পানমহালে একদল সন্ত্রাসী শুভ্রসহ তার দুই সহযোগীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে ওইদিন রাতে শুভ্রর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত শুভ্রর ছোট ভাই আবিদুর রহমান প্রান্ত বাদী হয়ে ১৯ অক্টোবর গৌরীপুর থানায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ ও গৌরীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামের নাম উল্লেখসহ ১৪ জন ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। পুলিশ ইতিমধ্যে মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াদসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে।