লালমনিরহাট নৃশংসতা: মরদেহ পোড়ানোর খবর জানেনা জুয়েলের সন্তান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
পুড়িয়ে হত্যার শিকার জুয়েল। ছবি: বার্তা২৪.কম

পুড়িয়ে হত্যার শিকার জুয়েল। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘ওদের বাবা (আবু ইউনুছ মো. সহিদুন্নবী ওরফে জুয়েল) বাসা থেকে বাড়ির বাহিরে গেছে। সকাল গড়িয়ে রাত শেষে ফিরে আসেনি। কেন আসেনি, কোথায় আছে? এসবের কিছুই জানে না ওর সন্তানরা। শুধু জানে প্রতিদিনের মতো ঘোরাঘুরি শেষে জুয়েল ফিরে আসবে।’ কাঁদতে কাঁদতে এই কথাগুলো বলছিলেন নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হওয়া জুয়েলের বড়বোন হাসনা আখতার লিপি।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামের বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে কোরআন অবমাননার অভিযোগ উঠে মানসিক ভারসাম্যহীন আবু ইউনুছ মো. সহিদুন্নবী ওরফে জুয়েল (৫১) এর বিরুদ্ধে। এর পরই সংঘবদ্ধ জনতা তাকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার পর পুড়িয়ে ফেলে।

শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকালে নিহত জুয়েলের বাড়িতে গেলে তার দুই সন্তানকে ঘিরে এভাবেই শ্বাসরুদ্ধকর সময় পার করার কথা বলছিলেন বড়বোন হাসনা আক্তার লিপি।

 স্ত্রী মৃত্যুর বিষয়টি জানার পর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ছবি: বার্তা২৪.কম

তিনি বলেন, ‘জুয়েলের স্ত্রী ওই খবর (মৃত্যুর বিষয়টি) জানার পর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বাচ্চা দুটি আজ সকালে ওদের বাবার কিছু হয়েছে, এটা আঁচ করতে পেরেছে। কিন্তু নরপশুরা যে জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যার পর পুড়িয়ে দিয়েছে। এ খবর জানে না ওর দুই সন্তান। শেষ বারের মত বাবার মুখটা দেখার অপেক্ষায় ওরা বসে আছে।’

বুকফাটা আর্তনাদ করতে করতে হাসনা আক্তার লিপি বলেন, ‘আমি ওদের বড় ফুপি। ওরা আমার কাছে গিয়ে বারবার জানতে চাইছে- বাবাকে দেখতে পারবো তো? কখন নিয়ে আসা হবে বাবাকে? আমি কি উত্তর দেব, আপনারা বলেন? ওর মতো ভারসাম্যহীন মানুষকে এভাবে কেন মেরে ফেলা হলো।’

নির্বাক বড় ফুপি সব জেনেও বলতে পারছে না- জুয়েলকে দেখার শেষ ইচ্ছেটুকু আগুনে পুড়ে ছাই করে দিয়েছে নরপশুরা।

রংপুর নগরীর শালবন (সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ সংলগ্ন) মহল্লায় জুয়েল পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। সেখানে গিয়ে চোখে পড়ে হৃদয়বিদারক আহাজারি।

জুয়েলদের আদিবাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫নং কাবিলপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের সখিপুরে। তার বাবা প্রয়াত আব্দুল ওয়াজেদ মিয়া। যখন জুয়েলের ১২ বছর, তখন মাকে হারিয়েছেন। এরপর বড়বোনের লালন-পালনে বেড়ে ওঠা।

জানা গেছে, রংপুরে এসএসসি ও এইচএসসি পাশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাইব্রেরি সায়েন্সে স্নাতকোত্তর শেষ করে রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে গ্রন্থাগারিক পদে চাকরি করতেন জুয়েল। ষড়যন্ত্রে তার চাকরি চলে যাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এরপর থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ আর প্রেসক্রিপশনে ঔষধ সেবন করতেন।

আবু ইউনুছ মো. সহিদুন্নবী ওরফে জুয়েলের দুই সন্তান। এরমধ্যে মেয়ে দেবা তাসনিয়া অনন্যা কারমাইকেল কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষে এবং ছেলে আবু তাহের মো. আশিকুন্নবী অরণ্য রংপুুুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৫ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।

 ছবি হাতে নিয়ে আর্তনাদ করছেন নিহত জুয়েলের বড় ফুপি। ছবি: বার্তা২৪.কম

হাসনা আখতার লিপি আরও জানান, মাঝে মধ্যে মানসিক বিষণ্নতায় ভুগলেও দুশ্চিন্তা ছিল না। তবে বছর খানেক আগে চাকরিচ্যুত হবার পর থেকে মানসিক সমস্যা বাড়তে থাকে জুয়েলের।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে মুঠোফোন শেষ বারের মত জুয়েলের সাথে কথা হয় তার ‌। এসময় জুয়েল তাকে বলেছিলেন, ‘চিন্তা করো না বুবু। আমি ভালো আছি। তাড়াতাড়ি ফিরে আসবো। এরপর থেকেই সারাদিন ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে ফেসবুকে তার মৃত্যুর খবর জানতে পারেন।’

এদিকে প্রতিবেশীরা জানান, ছোট বেলা থেকেই শান্ত, ভদ্র ও ধার্মিক ছিলেন জুয়েল। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। মেধাবী এই মানুষটার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তার বন্ধু, স্বজন, প্রতিবশীসহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) লালমনিরহাটের বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আসরের নামাজ শেষে পাঠ করার জন্য মসজিদের সানসেটে রাখা কোরআন শরীফ নামাতে গিয়ে অসাবধনাতাবশত কয়েকটি কোরআন ও হাদিসের বই তার পায়ে পড়ে যায়। এ সময় তুলে চুম্বনও করেন জুয়েল। বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে মুয়াজ্জিনের ভুল বোঝাবুঝি হয়। এরপর আশপাশের লোকজন ছুটে এসে সন্দেহবশত জুয়েল ও তার সহযোগীকে পাশে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের একটি কক্ষে আটকে রাখেন। পুরো বাজারে এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামে ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় উত্তেজিত হয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের দরজা জানালা ভেঙে জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে মরদেহ বাহিরে বের করে আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়।

   

শ্যামবাজার ঘাটে লঞ্চে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাট এলাকায় একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিস্তারিত আসছে...

;

বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত: ইসি সচিব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়িতে যৌথ অভিযান চলমান থাকায় এই ৩ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা শেষে ইসি অতিরিক্ত সচিব জাহাংগীর আলম এই কথা জানান।

প্রসঙ্গত, ৮ মে প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি, থানচি ও রুমাসহ বান্দরবানের সাতটি উপজেলার মধ্যে ভোট হওয়ার কথা ছিল। 

;

পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পরিবহনে অবৈধ চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭

পরিবহনে অবৈধ চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরী ও অটোরিকশাচালিত সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়কালে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব ১০)।

রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর থানাধীন জুরাইন রেলগেট এলাকা হতে ৩ জন এবং যাত্রাবাড়ী থানার কোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম.জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এম.জে.সোহেল বলেন, সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে র‌্যাব-১০’র একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর থানাধীন জুরাইন রেলগেট এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়কালে ৩ জন জনকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- মোঃ নাসির সরদার (৩৩), অয়ন দাস (২০), মোঃ নজরুল ইসলাম (২৫)। এসময় তাদের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ ১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং ১টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন কোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোঃ সজিব (২৮), মোঃ ইকবাল হোসেন (৩২), দিলদার (৪০), মোঃ রাজন (৩৩)। এসময় তাদের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ ৬ হাজার ৭৩০ টাকা এবং ২টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে অশোভন আচরণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করতে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

তীব্র গরমে বেনাপোল বন্দরে পঁচছে আমদানি করা আলু



আজিজুল হক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
তীব্র গরমে বেনাপোল বন্দরে পঁচছে আমদানি করা আলু

তীব্র গরমে বেনাপোল বন্দরে পঁচছে আমদানি করা আলু

  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল বন্দরে তীব্র গরমে ভারত থেকে আমদানিকৃত আলু ট্রাকে পঁচতে শুরু করেছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ১৬ ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়। তবে আমদানিকৃত আলু ২০০ কিলোমিটার দূরে থেকে লোড করে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ৬ দিন লেগে যায়। এতে তীব্র গরমে ট্রাকে থাকা আলু পঁচে রস পড়তে দেখা যায়।

আলুর আমদানি কারক বাংলাদেশে ইন্টিগেটেড ফুডস এন্ড বেভারেজ। ৩২ ট্রাক আলুর চালানটি যাবে রংপুরে।

এদিকে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আলু আমদানি বাড়লেও বাজারে দিন দিন বাড়ছে দাম। গতবছর এ সময়ে যে আলু ২২ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হয়েছে এখন তার মূল্য ৫০ টাকা দাড়িয়েছে। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে আলু আমদানি বাড়লেও কোন সুবিধা পাচ্ছেনা অভিযোগ সাধারণ ক্রেতাদের। এদিকে প্রচন্ড গরমে ট্রাকে থাকা আলু পঁচতে শুরু করেছে। তবে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তারা বলছেন দ্রুত যাতে পণ্য চালানটি খালাস হয় তার সহযোগীতা করছেন তারা।

জানা যায়, দেশে প্রতিবছর আলুর চাহিদা ১ কোটি মেট্রিক টনের মত। আর চাহিদার বিপরীতে সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান মতে দেশে আলুর উৎপাদন ছিল ১ কোটি ১২ লাখ মেট্রিক টন। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হলেও মজুদ করতে ব্যবসায়ীরা সারা বছর কমবেশি আলু আমদানি করে থাকে। বৈশ্বিক মন্দায় গেল বছর যখন দেশে নিত্য পণ্যের দাম বাড়ে তখন পাল্লা দিয়ে আলুর দাম বেড়ে দাড়ায় কেজিতে ৮০ টাকা। এতে সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ বাড়াতে গতবছরের ৩০ অক্টোবর নানান শর্ত দিয়ে বেসসরকারি ভাবে আলু আমদানির অনুমতি দেয়।

পরবর্তীতে ২ নভেম্বর থেকে শুরু হয় আলু আমদানি। বেনাপোল সহ দেশে বিভিন্ন বন্দর দিয়ে বাড়ছে আলুর আমদানি। তবে ভরা মৌসুম ও আমদানি বাড়লেও তার সুফল পাচ্ছেনা ক্রেতারা। ব্যবসায়ী সিন্ডকেট দিন দিন বাড়াচ্ছে আলুর দাম। এতে ক্ষোভ সাধারণ ক্রেতাদের। এদিকে ২০০ কিলোমিটার দূর থেকে আলু আমদানি আর আমদানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দীর্ঘ ৬ দিন লেগে যাওয়ায় বেনাপোল বন্দরে ট্রাকে আলু পঁচতে দেখা যায়।

আলুবাহী ট্রাক চালকেরা জানান, তারা ভারতীয় ট্রাক থেকে আলু খালাস করে রংপুর নিয়ে যাবেন। কিন্তু গরমে বন্দরেই আলু ট্রাকে পঁচতে শুরু করেছে। দ্রুত খালাস না হলে আরও নষ্ট হবে।

বেনাপোল বাজারের আলু বিক্রেতা সাইদুর রহমান জানান, বাজারে আলুর সরবরাহ কম থাকায় দাম কমছেনা। বর্তমানে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আলু।

সাধারণ আলু ক্রেতারা জানান, ভারত থেকে আলু আমদানি হলেও সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে দাম কমছেনা। বাজারে কারো কোন তদারকি নেই।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্তু কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। এসব আলু মান পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসে সহযোগীতা করা হচ্ছে।

;