সড়ক পরিবহন আইনের পূর্ণ বাস্তবায়ন চায় নিসচার
সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচার)। আগামী ১ জানুয়ারি ২০২১ সাল হতে ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ এর পূর্ণ বাস্তবায়ন চেয়েছে সংগঠনটি।
রোববার (১ নভেম্বর) সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে নিসচার কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানানো হয়েছে।
নিসচার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বিভিন্ন রকম প্রস্তুতি, বিভিন্ন রকম দাবি, আবদার এবং করোনা সমস্ত কিছু মিলিয়ে গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে এ বছরের ১ নভেম্বর পর্যন্ত ১২মাস পার হয়ে গেছে এবং আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত আরো ২ মাস অর্থাৎ ১৪মাস চলে যাচ্ছে। এই ১৪ মাসের পরে ১জানুয়ারি থেকে যেন এই সড়ক পরিবহন ২০১৮ আইনটি পুরোপুরি ভাবে কার্যকর করা হয়। কোনো ভাবেই যেন এর ব্যত্যয় না ঘটে। কারণ এই আইনটি ছিলো জনগণের প্রত্যাশিত আইন। জনগণের প্রত্যাশিত আইনের কোনো রকম ব্যত্যয় ঘটুক তা নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন তা মেনে নেবে না। আমরা চাই আগামী ১ জানুয়ারি ২০২১ সাল হতে ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ এর পূর্ণ বাস্তবায়ন।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সরকার নতুন সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ প্রয়োগে যখনই উদ্যোগ নেয় তখনই পরিবহন সেক্টরের চক্র বাঁধা সৃষ্টি করে। তারা নতুন করে নানা ধরনের দাবি-দাওয়া তুলে ধরে। শুধু তাই নয়, গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলে দেয়। এমনকি আমাকে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হয়। আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। যা সত্যিই দুঃখজনক।
আমি বলবো নতুন আইনের বিষয়ে তারা কোনো প্রস্তুতি ইচ্ছে করেই নেয়নি এবং নিচ্ছে না। তারা শুধু দোষারোপ করে গেছে তাদের দুর্বলতা ঢাকার জন্য। সময় থাকতে গাড়ির লাইসেন্স, ফিটনেস এবং গাড়ির আকৃতি পরিবর্তনজনিত অনিয়ম ও ত্রুটিগুলো সংশোধনে তারা মনোযোগ দেয়নি। এসব ত্রুটি- বিচ্যুতি যদি তারা নতুন আইন প্রয়োগের আগেই সমাধান করতেন তা হলে নতুন করে আইনের কয়েকটি বিষয় ছাড়ের সময়সীমা আর বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না।
সেই সাথে বলবো এই আইন বাস্তবায়নে সরকারের যেসব স্টেকহোল্ডার রয়েছে সেখানেও এক ধরনের শৈথিল্য লক্ষ্য করছি। এই আইনের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব যেমন আছে তেমনি সরকারের সেইসব মহলেরও নানা পদক্ষেপ নেয়া খুবই জরুরি।