ঢাকায় ফিরে এলো ইন্টারকন্টিনেন্টাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল।

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল।

  • Font increase
  • Font Decrease

মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকেই বিখ্যাত ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল। কয়েক দশকের বিরতি শেষে দেশের সবচেয়ে পুরাতন পাঁচ তারকা হোটেল ‘ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা’ আবারো চালু হলো।

চার বছরের সংস্কার শেষে পাঁচ তারকা মানের অভিজাত হোটেল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায় (১২ সেপ্টেম্বর) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  এরমধ্য দিয়ে ঢাকায় ফিরে এল ইন্টারকন্টিনেন্টাল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/13/1536860615190.jpg

মুক্তিযুদ্ধে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের অবদানের কথা স্মরণ করে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, হোটেলটি আজকে নতুনভাবে সেজেছে। বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের দেশের যে আর্থ সামাজিক উন্নতি হচ্ছে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই হোটেলটি নবরূপে আজ সজ্জিত। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কোম্পানিকে যে তারা আবার ফিরে এসেছে। এখানে আসলে পুরানো স্মৃতি মনে পড়ে। কারণ বাংলাদেশে তখন এটা পূর্ব পাকিস্তান হোটেল বলতে এখন যেটা বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সেটাই ছিল শাহবাগ হোটেল এবং ৬৬ সালে এই হোটেলটি কন্টিনেন্টাল হোটেল হিসেবে তৈরি হয়। তখন এই হোটেলটি ছিল একমাত্র ভালো হোটেল। সারাবিশ্বের নানাধরনের সাংবাদিকরা এখানে এসে উপস্থিত হয়েছিল।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/13/1536860498037.jpg

বাংলাদেশ যেন আর পিছিয়ে না যায়, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে সে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের যে অগ্রযাত্রা সে অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতাকে আমরা এগিয়ে নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। আমাদের মনে রাখতে হবে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে, অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছালে দেশের মানুষ উন্নত জীবন পাবে। প্রতিটি গ্রামই শহরে উন্নীত হবে। নাগরিক সুবিধা পাবে প্রতিটি মানুষ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, সচিব, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/13/1536860530873.jpg

প্রসঙ্গত, ১৯৬৬ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল দেশের প্রথম পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল স্থপতি উইলিয়াম বি ট্যাবলার। প্রতিষ্ঠার পর এটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল নামে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত চালু ছিল। এরপর স্টারউড কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হওয়ায় ১৯৮৩ শেরাটন নামে শেরাটন হোটেল নামে যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশে ২৭ বছর হোটেল পরিচালনা শেষে শেরাটন ২০১০ সালের ১ মে বিএসএলকে হোটেলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে চলে যায়। এরপর হোটেলটির মালিক বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড (বিএসএল) ‘রূপসী বাংলা’ নামে হোটেলটি পরিচালনা করে আসছিল।  ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি হোটেলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিএসএল এর সঙ্গে ইন্টারকন্টিনেন্টালের হোটেল সংক্রান্ত ফের চুক্তি হয়। ৩০ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে হোটেল চেইন- ইন্টারকন্টিনেন্টাল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/13/1536860557914.jpg

এরপর হোটেলটির মালিক বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড (বিএসএল) ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে হোটেলের সংস্কার কাজে হাত দেয়। ২০১৬ সালের প্রথম দিকেই এর সংস্কার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে এর কাজ শেষ হয়েছে। সংস্কার কাজে ব্যয় হয়েছে ৬২০ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হোটেলটিকে আতিথিদের জন্য আরামদায়ক করতে এর রুম সংখ্যা ২৭২টি থেকে কমিয়ে ২২৬ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১টি এক্সিকিউটিভ রুম, পাঁচটি সুপিরিয়র স্যুইট, ১০টি ডিলাক্স স্যুইট, পাঁচটি ডিপ্লোম্যাটিক স্যুইট এবং পাঁচটি প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইট থাকছে। এক্সিকিউটিভ রুমের আয়তন ৪০ বর্গমিটার এবং প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইটের আয়তন ১৫০ বর্গমিটার।

   

রংপুরে অটো ভাড়া দ্বিগুণ বৃদ্ধিতে বিপাকে যাত্রীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় দশ লাখ মানুষের নগরী রংপুর সিটি করপোরেশন। নগর কেন্দ্রীক যাতায়াত ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যমে ব্যাটারিচালিত অটো ইজিবাইক। গত ১৬ জুন থেকে মাইকিং করে ৫ টাকার ভাড়া ১০টাকা করেছে অটোরিকশা মালিক সমিতি কর্তৃপক্ষ। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। নিম্ন মধ্যবিত্তদের যাতায়াতের একমাত্র বাহনের ভাড়া দ্বিগুণ হওয়ায় চালকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা চলছে প্রতিনিয়ত।

নগরীতে অটো ভাড়া বৃদ্ধিতে চলাচল করা যাত্রীদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। এ নিয়ে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে যাত্রী ও চালকদের মধ্যে লেগেই আছে বাকবিতণ্ডা। চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ দ্রুত ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছেন।

জানা যায়, নগরীতে অটো চালকদের প্রায় অর্ধডজন সংগঠন রয়েছে। সেসব সংগঠন যৌথভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তাদের মধ্যে একটি সংগঠন ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে বিষয়ে সেই সংগঠনের ৩-৪ জন সংবাদ সম্মেলনও করে। তারপর থেকেই চালকরা অটোতে উঠলেই ৫ টাকার পরিবর্তে আদায় করা হচ্ছে ১০ টাকা।

অটোর সামনে স্টিকার লাগিয়ে ভাড়া দ্বিগুণ হওয়া নিয়ে চালকরা বলছেন, সিটি কর্পোরেশন থেকে লাইসেন্সের দাম বেশি, গাড়ির জমা দিতে হচ্ছে বেশি, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি সবমিলিয়ে দাম বাড়ানো হয়েছে।

সিটি কর্পোরেশন থেকে ৭-৮ হাজার অটোরিকশা ও ইজিবাইকের লাইসেন্স দেয়া হলেও প্রতিনিয়ত চলে প্রায় ৫০ হাজার অটো।

আধা কিলোমিটার এমনকি তার কম দূরুত্বেও গুণতে হচ্ছে ১০ টাকা। এ নিয়ে প্রতিদিন নগরীর কামালকাছনা মোড়, ঠিকাদারপাড়া মোড়, কাচারি বাজার, সিটি বাজার মোড় এবং পায়রা চত্বরসহ বিভিন্ন মোড়ে চালক ও যাত্রীদের মাঝে বাকবিতণ্ডের দৃশ্য চোখে পড়ছে। কেউ কেউ ৫ টাকা চালকের পাশে রেখে চলে যেতে ধরলে শুরু হচ্ছে কলহ। অটো চালকদের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি এখন সব মহলেই আলোচনার পাশাপাশি ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, অটোরিকশা চালকদের ৩টি সংগঠন তারা আমাকে আবেদন দিয়েছিলেন। ঘরোয়া পরিবেশে অটো ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি তারা আমাকে বলেছিলেন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে অটোরিকশার ভাড়া বাড়ানো হয়নি আমরা ভাড়া বাড়াতে চাচ্ছি৷ তখন বলা হয়েছে আপনারা সামঞ্জস্য রেখে এক কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে হলে ১০ টাকা ভাড়া নিতে পারেন। যেহেতু ১ কিলোমিটারের নিচেও ১০ টাকা নেয়া হচ্ছে বিষয়টি দেখছি।

প্রায় সাতশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই নগরীতে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কারণে প্রতিদিন প্রায় চল্লিশ হাজার শিক্ষার্থীর যাতায়াত রয়েছে। ভাড়া বৃদ্ধির কারণে তাদেরও পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।

;

'ট্রি অব পিস' ইউনেস্কোর আনুষ্ঠানিক কোনো পদক নয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, Hedva Ser ভাস্কর্য, বাকু, আজারবাইজান

ছবি: সংগৃহীত, Hedva Ser ভাস্কর্য, বাকু, আজারবাইজান

  • Font increase
  • Font Decrease

‘ট্রি অব পিস’ আনুষ্ঠানিক কোনো পদক নয় বলে ইউনেস্কোর সদর দফতর থেকে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) ইউনেস্কোর সদর দফতরের বহির্বিশ্ব সম্পর্কবিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক ওহেমেং বোমাহ এক চিঠিতে জানান, ‘ট্রি অব পিস’ ইউনেস্কোর কোনো ‘অফিসিয়াল অ্যাওয়ার্ড’ (আনুষ্ঠানিক পদক) নয়। এই পদকের ইউনেস্কোর কোনো মর্যাদাও নেই।

তিনি আরো জানান, ‘ট্রি অব পিস’ (Tree of Peace) ইউনেস্কোর ‘গুড উইল অ্যাম্বাসেডর’ হেডভা সের-এর একটি ভাস্কর্য।

চিঠিতে জানানো হয়, আজারবাইজানের বাকু ফোরাম ইউনেস্কোর গুড উইল অ্যাম্বাসেডর হেডভা সের কর্তৃক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘ট্রি অব পিস’ ভাস্কর্য প্রদানের বিষয়ে ইউনেস্কোর সঙ্গে কোনো রকমের পরামর্শ করেনি এবং ওই অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতাও ছিল না।

ইউনেস্কোর সদর দফতরের বহির্বিশ্ব সম্পর্কবিষয়ক সহকারী মহপরিচালকের পাঠানো চিঠি 

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন এ সম্পর্কিত একটি সংবাদ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এর সত্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের চেয়ারম্যান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ বছরের ৩১ মার্চ ইউনেস্কোর মহাপরিচালক বরাবর একটি চিঠি পাঠান।

সে চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে ইউনেস্কোর সহকারী পরিচালক (জেনারেল) তার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শিক্ষামন্ত্রীকে এ তথ্য জানান।

;

আরও ১ বছর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব থাকছেন তোফাজ্জল হোসেন মিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়াকে আরও ১ বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

বুধবার (২৬ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।

এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়াকে অবসর-উত্তর ছুটি ও তদসংশ্লিষ্ট সুবিধা স্থগিতের শর্তে আগামী ৫ জুলাই অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ১ বছর মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো।

চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

চাকরির মেয়াদ শেষে আগামী ৪ জুলাই তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।

এর আগে, ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর ও ২০২৩ সালের ৫ জুলাই তাকে মুখ্য সচিব নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন দিয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

;

‘সার্বজনীন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তথা জনগণের বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নপূরণ করতে হলে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে নাগরিক সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সার্বজনীন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য উদ্ভাবন 'আমার গ্রাম, আমার শহর'। তিনি জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের পূর্বে ঘোষণা করেছিলেন, দেশের সব গ্রামে শহুরে সেবাগুলো পৌঁছে দেওয়া হবে। বর্তমান সরকার 'আমার গ্রাম, আমার শহর' বাস্তবায়নের মাধ্যমে সে প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো যেমন ভূমিকা রাখছে, তেমনি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতি ছয় হাজার জনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক। কোভিডসহ যেকোনো দুর্যোগকালীন সময়ে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

বুধবার (২৬ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য আরবান্ রিজিলিয়েন্স ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

স্থানীয় পর্যায়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে ৯৭ শতাংশ অবকাঠামো নির্মিত হয়ে গেছে। যা একসময় কল্পনাও করা যেতো না। পল্লী অঞ্চলে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে না পারলে ঢাকা শহরে জনসংখ্যাগত সমস্যার সমাধান হবে না। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান, ভূ-সংস্থান এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এই সংকট মোকাবিলায় সবার একসাথে কাজ করতে হবে। এ সম্পর্কিত পারস্পরিক জ্ঞান আদান-প্রদান করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. মাসুম পাটোয়ারী (যুগ্ম সচিব) এবং মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে এতে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ্ কুক, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলারসহ প্রমুখ।

;