ভিজিডি'র ভাগ না পেয়ে ইউএনওকে লাঞ্ছিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ভিজিডি'র ভাগ না পেয়ে ইউএনওকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বিচার চেয়ে উপজেলার সকল অফিসারকে নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে অভিযোগ করেছেন ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন।

অভিযোগে জানা গেছে, দুস্থ মহিলাদের সহায়তার জন্য মহিলা বিষয় অধিদফতরের আওতায় ভিজিডি প্রকল্প চালু করে সরকার। সাম্প্রতিক সময় সেই প্রকল্পের উপকার ভোগীদের তালিকা প্রস্তুতে কাজ শুরু হয়। নিয়মানুযায়ী অনলাইনে আবেদনগুলোর যাচাই করে ইউনিয়ন পরিষদ চূড়ান্ত করে উপজেলা কমিটিকে জমা দিবেন। উপজেলা কমিটি তা চূড়ান্ত অনুমোদন দিবেন। সেই ভিজিডিতে ভাগ দাবি করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলা পরিষদ হলরুমে মাসিক সভা চলছিল। এ সময় ভিজিডিতে ভাগ দাবি করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। বিধি মোতাবেক ভাগ দেয়ার সুযোগ নেই বলে জানান ইউএনও। এতে সভায় বিতর্ক বাঁধলে সভাস্থল ত্যাগ করে নিজের অফিসে চলে যান উপজেলা চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান লোক দিয়ে উপজেলা পরিষদের সিসিটিভি'র ক্যামেরায় কাজ করছিলেন। সেই কাজ কার নির্দেশনায় হচ্ছে এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান নিজের নির্দেশনায় করছেন বলে ইউএনওকে জানান।

এ সময় মোবাইলে ছবি তুলতে গেলে ইউএনওকে বাবা তুলে গালমন্দ করেন চেয়ারম্যান। এতে দ্বিতীয় দফায় উভয়ের মাঝে বেশ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অফিসাররা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে তাদেরও অকথ্য ভাষায় চেয়ারম্যান গালমন্দ ও মারপিটের হুমকি দেন।

খবর পেয়ে আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ফোর্স নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে উপজেলা পরিষদে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেন। পরে ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন উপজেলার সকল অফিসারকে নিয়ে তাৎক্ষনিক উপজেলা পরিষদ ত্যাগ করে জেলা প্রশাসকের কাছে গিয়ে বিচার দাবি করেন। জেলা প্রশাসক আবু জাফর অফিসারদের অভিযোগ শুনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক অফিসার জানান, শুরু থেকে ইউএনও এবং চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। চেয়ারম্যান প্রায় সময় অফিসারদেরকে দ্বিতল ভবন থেকে ফেলে দেয়ার হুমকিসহ অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। মাসিক সভায় ভিজিডি'র ভাগ না পেয়ে ইউএনওকে গালমন্দ করে সভা থেকে বেড়িয়ে যান চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তার অনিয়মের বিরোধিতা করায় প্রায় সময় অফিসারদের সাথে অসৌজন্য আচরণ করেন চেয়ারম্যান। যা নিয়ে অফিসাররাও ক্ষিপ্ত।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস বলেন, কোনো ধরনের মিটিং ছাড়াই ইউএনও একক সিদ্ধান্তে কাজ করছেন। আশ্রয় প্রকল্প ২ এবং এডিপি'র কাজ নিজেই করছেন ইউএনও। তার নানান অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আমার উপর অফিসারদের ক্ষেপীয়ে ডিসি অফিসে গেছেন ইউএনও। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করুক। তদন্ত করলে সত্যতা বেড়িয়ে আসবে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, ইউএনওসহ অফিসারদের কথা শুনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা চেয়ারম্যানকে অফিসে ডাকা হয়েছে।

   

৩৫ হাজার রিকশাচালককে ছাতা দিবে মেয়র আতিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর উত্তরায় রিকশা চালকদের মাঝে ছাতা, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে অর্ধশতাধিকের বেশি রিকশা চালকদের এসব বিতরণ করেন উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

এর আগে উত্তরার ওই সেক্টরে একটি খেলার মাঠে হাঁটার রাস্তার উদ্বোধন করেন তিনি। 

এদিকে তীব্র গরমে সরাসরি সূর্যের তাপ থেকে রক্ষায় ছাতা ও অন্যান্য উপকরণ পেয়ে খুশি রিকশা চালকরা। ১২ দিনের খাবার স্যালাইন, একটি পানির বোতল ও রিকশার সামনে শক্তিশালী ছাতা গরম ও বৃষ্টি থেকে রক্ষাতে ভালো ভূমিকা রাখবে বলে জানান তারা।


কাশেম নামের এক রিকশা চালক বলেন, এই গরমে আমাদের স্যালাইন পানি দিলো। ছাতা দিয়েছে। আমাদের এখন কষ্ট কম হবে। আমরা সব সনয় ছায়ায় থাকব। মেয়রকে ধন্যবাদ।

বাশার উদ্দিন নামে আরেক রিকশা চালক বলেন, ছাতাটা খুব উপকারে আসবে। বৃষ্টির সময়ও আমাদের আর ভিজতে হবে না।

উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় লাইসেন্স ধারী ৩০ হাজার ও অন্যান্য সংস্থা থেকে অনুমোদিত ৫ হাজারসহ মোট ৩৫ হাজার রিকশাচালককে ছাতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রায় ৩৫ হাজার রিকশা চালক আছে আমাদের উত্তর সিটিতে। যাদের লাইসেন্স আছে তাদের সকলকে আমরা একটা করে ছাতা দিব। কারণ এরা যদি গরমে অসুস্থ হয়, একদিন ইনকাম করতে না পারে তাহলে তাদের বাড়িতে রান্না হবে না। আমরা তাদের জন্য ১২টি স্যালাইন ও একটি পানির পট দিয়েছি। ঘেমে যে লবণ তাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায় তা এই স্যালাইনের মাধ্যমে পূরণ হবে। 

ছাতা বিতরণ শেষ ওয়াটার ক্যানন স্প্রে মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টি ছড়ানো হয় উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর এলাকায়। কৃত্রিম বৃষ্টিতে মেয়র আতিকুল ইসলামসহ সর্ব স্তরের মানুষ উল্লাস করেন।

;

গাইবান্ধায় অতিরিক্ত গরমে পল্লী বিদ্যুতের বিলিং সহকারীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার সাঘাটায় অতিরিক্ত গরমে সেলিনা (৪৫) নামের পল্লী বিদ‍্যুৎ সমিতিরর এক বিলিং সহকারীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে উপজেলার বোনারপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসেই তার মৃত্যু হয়।

সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিয়া আফরিন মোবাইল ফোনে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত সেলিনা ওই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিলিং সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি রংপুর শহরের জুম্মাপাড়ার মৃত হাসান উল্ল‍্যা শরীফের মেয়ে। চাকরির সুবাদে বোনারপড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।

বোনারপাড়া পল্লী বিদ‍্যুৎ সমিতির জেনারেল ম‍্যানেজার কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে মুঠোফোনে জানান, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে অফিসে আসেন সেলিনা। আসার কিছুক্ষণেই মধ্যেই তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এ ঘটনার সাথে সাথেই সহকর্মীরা তাকে চিকিৎসার জন্য সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখানে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত্যুর ব্যাপারে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিয়া আফরিন বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই রাত মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমের কারণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

এরআগে, জেলার পলাশবাড়িতে মে দিবসের (১মে) কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গরমে অসুস্থ্য হয়ে সাজু মিয়া (৫৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

ওই দিন তাদের সংগঠনের মে দিবসের র‍্যালীতে অংশ নেন সাজু। র‍্যালী শেষে পলাশবাড়ি উপজেলা পরিষদ টাউন হলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাজু টাউন হল থেকে বের হয়ে উপজেলা পরিষদের গেইটের সামনে এসে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়। পরে সেখানকার উপস্থিত লোকজন চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি কালেই তার মৃত্যু হয়।

নিহত সাজু মিয়া উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ছোটবনপাড়া গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। তিনি বাসের সহকারী (হেলপার) ছিলেন এবং গাইবান্ধা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য।

;

রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসে বাঘাইছড়ির সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাঙামাটি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা দিঘিনালা সড়কের দুই টিলা এলাকায় পাহাড় ধসে সারাদেশের সাথে বাঘাইছড়ির যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) সকালে পাহাড় ধসে যান চলাচল বন্ধ থাকার খবর পাওয়া গেছে।

৩ মে রাতে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মারিশ্যা দিঘিনালা সড়কের দুই টিলা এলাকায় পাহাড়ের বড় একটি অংশ সড়কের উপর ধসে পরে। এই ঘটনায় কোন ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও সকাল থেকে সকল ধরনের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

সড়কের দুই পাশে আটকে পড়েছে বহু যানবাহন। পাহাড় ধসের সংবাদ পাওয়ার পরপরই ভোর থেকে মাটি সড়কের মাটি সরানোর কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনীর সিক্স বেঙ্গল বাঘাইহাট জোন। বাঘাইহাট জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল খায়রুল আমিন পিএসসি, নিজেই মাটি সরানোর কাজ তদারকি করছেন বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার পাহাড় ধসের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা সংবাদ পাওয়ার পরপরই সেনাবাহিনী ও সড়ক যোগাযোগ বিভাগের লোকজনকে মাটি সরানোর অনুরোধ করেছি। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করেছে। ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে সড়ক ও জনপদের লোকজনও রওনা হয়েছে। তারা পৌছালে আমরা আশাবাদী ৩-৪ ঘন্টার মধ্যে যানচলাচল স্বাভাবিক হবে।

এদিকে তীব্র তাপদাহের পর গতকাল দুপুরে বাঘাইছড়িতে হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বজ্রপাতে এখন পর্যন্ত দুই নারী নিহত ও সাতজন পুরুষ আহত হয়েছে, মারা গেছে ৩ টি গবাদিপশু। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারকে ১০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

;

গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ: আহত শতাধিক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের জয়দেবপুরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩ মে) বেলা পৌনে ১১টার দিকে জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাজীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি জয়দেবপুর রেল স্টেশন পার হলে কাজীপাড়ায় আউটার সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনটিকে ধাক্কা দেয়।

এতে ট্রেনের প্রায় শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া যাত্রঅবাহী ট্রেনটির ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।

বিস্তারিত আসছে...

;