পোস্টমাস্টারের অবহেলা, পরীক্ষার পরে হাতে গেল চিঠি!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের চিঠি। ছবি: বার্তা২৪.কম

পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের চিঠি। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পোস্টমাস্টারের অবহেলায় নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়া হলোনা শওকত আলমের। ১৪ দিন পরে হাতে পেলেন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের চিঠি।

কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর ধর্মের ছরার জাফরের আলমের ছেলে শওকত আলম টেকনাফ পৌরসভার ‘সহকারী কর আদায়কারী’ পদে আবেদন করেছিলেন। প্রার্থীত পদের লিখিত পরীক্ষা ছিল শনিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা।

ওই দিন টেকনাফ উপজেলা আদর্শ কেজি স্কুলের স্কুল হল রুমে লিখিত পরীক্ষা অংশ গ্রহণ করতে টেকনাফ পৌরসভার মেয়র ও কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষার আহ্বায়ক হাজি মোহাম্মদ ইসলামের স্বাক্ষরে, ১০২৮ নং স্মারকে ২৬ অক্টোবর চিঠি ইস্যু করা হয়। ওই চিঠিতে শওকত আলমের রোল নম্বর লেখা হয় ২১৮।

শওকত আলমের নামে ইস্যুকৃত চিঠিটি ১ নভেম্বর ইসলামপুর পোস্ট মাস্টার ডাঃ রফিকুল ইসলাম ইদগাহ পোস্ট অফিস থেকে বুঝে নেন। কিন্তু আবেদনকারী শওকত আলম ওই চিঠি পান পরীক্ষার দিন তথা ১৪ নভেম্বর বিকালে।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নিজের সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন শওকত আলম।

তিনি লিখেছেন, ইসলামপুর বাজার পোস্ট অফিস অনিয়মের এক আতুড় ঘর। পোস্ট অফিসের প্রধান ডাঃ রফিক একজন খুব ভাল মানুষ হিসেবে সবাই জানেন এবং সবার কাছে একজন গ্রহনযোগ্য মানুষ। কিন্তু পোস্ট অফিসের কাজে কোন ভালমানুষি পরিচয় দিতে পারলেন না। কোন কাজ নাই। কিন্তু পোস্ট অফিসে জনবল আছে তিনজন। লোকবল বলতে সবাই ওনাদের পারিবারিক। বলতে গেলে এটি একটি পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সরকারি/বেসরকারি বিভিন্ন অফিস আদালত থেকে কোন চিঠি আসলে ওনারে এইটাকে দায়িত্ব মনে করে না।

কিন্তু ঠিকই মাসের বেতন মাসে নিতে ভুল করেন না। কিরে ভাই, দায়িত্ব না পারলে ছেড়ে দেন। মানুষের জীবন নিয়ে তামাশা করার দায়িত্বে তো সরকার আপনাদের দেয় নাই।

শওকত আলম দুঃখভরে লিখেন, আমার ট্যাক্সের টাকায় আপনার বেতন হয়। আর আপনি সামান্য চিঠি বিলি করতে পারেন না।

ঈদগাহ পোস্ট অফিস থেকে একটা চিঠি ওনি গ্রহন করে ০১/১১/২০ তারিখে। কিন্তু ওনি বিলি করতে যায় ১৪/১১/২০ তারিখ। এই ১৪ দিনে ওনি সামান্য চিঠি বিলি করার সময় পান নাই? ততদিনে চিঠির মেয়াদ শেষ।

বাবু মশাই সরকারি চাকরিজীবী হওয়ার মহাব্যস্ত। বিচার কাকে দিব? বিচারের আশায়ও লিখি নাই। মনের দুঃখ কিছুটা হলে কমানোর জন্য লিখলাম।

আল্লাহ মাবুদ বলতে পারবেন ডাঃ রফিক সাহেব আরো কতজনের গুরুত্বপূর্ণ চিঠি নিয়ে এমন কাজ করেছেন!

নিজের ব্যবসার কাজ ঠিকই মন দিয়ে করে। এলাকায় সুশীল হিসেবে পরিচিত। কিন্তু নিজেই ডিজিটাল ডাকঘরের নামে আসা ল্যাপটপ মেরে দিতে অসুশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। কেউ আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি ওনাকে পারিবারিকভাবে খুবই সম্মান করি। তবে আমি মনগড়া আরো অনেক কিছু লিখতে পারলাম। কিন্তু লিখি নাই। যা লিখছি যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ নিয়ে লিখেছি।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে বক্তব্য জানতে চাইলে শওকত আলম বলেন, পোস্ট মাস্টার ডা. রফিকের কারণে এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তিনি সরকারি দায়িত্বকে দায়িত্বই মনে করেন না। থাকেন অন্য ধান্দায়।

বিলিকারক ফয়সাল ও বিয়ারার শাহজাহান নামের আরো দুইজন থাকলেও তারা নামেমাত্র। তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেয় না। নিজেও করে না। যে কারণে মানুষ সরকারি সেবা বঞ্চিত।

ডিজিটাল ডাকঘরের জন্য সরকারের বরাদ্দ ল্যাপটপ, প্রিন্টার, রাউটারের কোন ব্যবহার নেই। এমনটি ডাকঘরে এই রকম কোন সরঞ্জামের অস্তিত্ব নেই।

বছরখানেক আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘হিসার রক্ষক’ পদে আবেদন করেছিলেন শওকত আলম। সেবারের চিঠি নিয়ও একই ঘটনা ঘটায় পোস্ট মাস্টার রফিক। -অভিযোগ শওকত আলমের।

পোস্টমাস্টার ডাঃ রফিকুল ইসলাম নিজের কাজ নিজে করেন না। ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের টাকাও জমা নেন না। অপরজন দিয়ে কাজ করাতে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে বলে স্থানীরা মনে করছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পোস্টমাস্টার ডাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, চিঠিটি ১০ নভেম্বর তিনি গ্রহণ করেন। পরের দিন শুক্রবার, শনিবার পড়ায় বিলি করতে পারেননি।

ক্যালেন্ডারের পাতায় দেখা গেল, ১০ নভেম্বর ছিল মঙ্গলবার। পরের দুই দিন সরকারি টাইম বুধবার, বৃহস্পতিবার অফিস খোলা ছিল। নিজের দোষ ঢাকতে সেখানেও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন পোস্ট মাস্টার ডাঃ রফিকুল ইসলাম।

এ বিষয়ে রোববার দুপুরে জেলা পোস্ট অফিসের ইন্সপেক্টর মোঃ আবদুর রহিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ১১ নভেম্বর টেকনাফ থেকে চিঠি পোস্টিং করা হয়েছে। প্রাপকের ঠিকানা ‘নাপিতখালি বটতলী’ লেখা থাকাতে চিঠি ঈদগাঁও ফেরত যায়। সেখান থেকে আবার ৯ নভেম্বর ইসলামপুর পাঠানো হয়। তবুও হাতে যে সময় ছিল সে সময়ের মধ্যেই প্রাপকের কাছে পৌঁছানো যেত।

দায়িত্ব অবহেলার জন্য পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান ইন্সপেক্টর আবদুর রহিম।

 

   

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, উত্তাল কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার ফলে কিছুটা উত্তাল হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।

শুক্রবার (২৪ মে) আবহাওয়া অফিস থেকে পাওয়া তথ্য মতে, নিম্নচাপটি সকাল ৬টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিলো। পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্র বন্দর সমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো: জিল্লুর রহমান বলেন, গতকালকের লঘুচাপটি আজকে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে যে কোনো সময় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সাথে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আসন্ন ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে চিন্তিত হয়ে ওঠেন উপজেলার মানুষগুলো। সব থেকে বেশি ঝামেলা পোহাতে হয় সৈকত তীরবর্তী জেলেদের।

কুয়াকাটা ঝাউবন এলাকার জেলে মো: মাহবুব বার্তা২৪.কমকে জানান, বিভিন্ন ঝড়, বন্যা শুনলেই আতঙ্ক লাগে। আমাদের নৌকা, জাল, তৈল পট, ফুলুট, সবই তীরে থাকে। শুনতেছি আবার ঝড় হবে তাই আমাদের আয়ের একমাত্র সম্বল নৌকা এবং মাছ ধরার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখছি।

সাগর উত্তাল থাকলেও ঘুরতে আসা পর্যটকদের সৈকতের বেলাভূমিতে আনন্দ ফুর্তি করতে দেখা গেছে।

পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয় জানতে চাইলে ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ সুপার মো: আনছার উদ্দিন জানান, সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে সাগর কিছুটা উত্তাল হয়েছে। যদিও পর্যটকদের উপস্থিতি কম, তারপরও যারা আছেন তাদেরকে সতর্ক থাকতে মাইকিং করা হচ্ছে। এ নিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করছে।

;

ডিমের দাম এখনো চড়া, হাতের নাগালে নেই সবজিও



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ডিমের দাম এখনো চড়া, হাতের নাগালে নেই সবজিও

ডিমের দাম এখনো চড়া, হাতের নাগালে নেই সবজিও

  • Font increase
  • Font Decrease

গত সপ্তাহের মতো এখনো বাড়তি ডিমের দাম। শুক্রবার (২৪ মে) চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা ডজন। আর সাদা ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ডজন। এছাড়া দেশি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা ডজন।

তবে বিভিন্ন প্রকারের সবজির দাম কিছুটা কমলেও অধিকাংশই বিক্রি হচ্ছে আগের মূল্যে। এতে নিরামিষের চাহিদা মিটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ নাগরিকদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা দাম কমেছে শসা, পটল, বরবটি, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা ও বেগুনের। এরমধ্যে ১০ টাকা দাম কমে প্রতি কেজি শসার মূল্য ৫০ টাকা, ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি পটল ও বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

এছাড়াও কেজি প্রতি কাকরল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ঢেঁড়স ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ২০ টাকা কমে এক কেজি বেগুন কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। তবে, প্রায় ৬০ থেকে ৮০ টাকা বেড়েছে আদা ও কাঁচা মরিচের দাম।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মে) নগরীর বিভিন্ন বাজারে আদা ২৮০ এবং কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। গাজরের দামও বেড়েছে প্রায় ৪০ টাকা। বর্তমানে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সবজিটি। এছাড়া প্রায় অপরিবর্তিতই রয়েছে অন্যান্য সবজির দাম।

বর্তমানে টমেটো ৫০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, ঝিঙে ৭০ টাকা, পেপে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কচুর মুখী ৮০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা এবং লতি ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে কোরবানির ঈদ ঘিরে উত্তাপ বেড়েছে মসলার বাজারে। নগরীর খুচরা বাজারগুলোয় প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে এলাচ, দারচিনি ৬শ', গোলমরিচ এক হাজার টাকা এবং লবঙ্গ দুই হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খাতুনগঞ্জে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ভারতের পেঁয়াজ ছোট ৬২ থেকে বড় ৭০ টাকা।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স মিতালী ট্রেডার্স এর মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, পাবনার পেঁয়াজ আছে আমাদের আড়তে। কেজি ৬৬ টাকা। দেশি পেঁয়াজের দাম কম ও মান ভালো হওয়ায় চাহিদা বেশি। দেশি পেঁয়াজের বস্তায় পচা, গলা কম। ৬৪-৬৫ টাকা কেজি। স্পেশাল বড় পেঁয়াজ ৬৮ টাকা।

তবে, স্থিতিশীল রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বর্তমানে আকার ও জাত ভেদে দেশি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, সয়াবিন তেল ১৫০ টাকা, পাম তেল ১৩৫ টাকা, পাঁচ কেজির বোতলজাত সয়াবিন তেল ৮০০ টাকা, চিনি ১৩০ টাকা এবং মসুর ডাল ১১০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে নগরে।

এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ-মাংসের দামও। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা কেজি, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগি ২৩০-৪০ টাকায়, আর লাল মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০-৩৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া পাকিস্তানি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা করে।

বাজারে রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি আর বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা। এছাড়া পাবদা ৪০০, বড় বোয়াল ৬০০, ছোট বোয়াল ৫০০, টেংরা ৮০০, রুপচাঁদা এক হাজার ২০০, কালিবাউশ ৬০০, মৃগেল ২৮০-৩২০, কার্ফু ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল শুক্কুর বলেন, আমাদের বাড়তি দরে ডিম কিনে আনতে হচ্ছে। ব্যবসা যেহেতু করছি, আমাদেরও তো ন্যূনতম লাভ করতে হয়। তাই এখনো ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

;

নওগাঁয় ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর পত্নীতলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক ভুয়া চিকিৎসক সোমাইয়া তাবাসসুম সাবাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে উপজেলা সদরে এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পপি খাতুন।

ভুয়া ডাক্তার সোমাইয়া তাবাসসুম সাবা (২৪) মহাদেবপুর উপজেলার আতুরা গ্রামের আবু সাঈদ খানের মেয়ে। এ সময় আদালত সোমাইয়াকে কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করে নওগাঁ কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পপি খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ডাক্তার পরিচয়ে এক নারী নজিপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রোগী প্রতি ৬ শত টাকা ফি নিয়ে ব্যবস্থাপত্র প্রদান ও নিজেই বিভিন্ন টেস্ট করছিলেন। নির্দিষ্ট একটি কোম্পানির ওষুধ প্রমোট করছে যে কোম্পানির সরকারি অনুমোদন নেই। জিজ্ঞাসাবাদে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি, ডাক্তারি সনদপত্রের সঠিক প্রমাণাদি দেখাতে না পারায় ৩ মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের রায় দেন আদালত।’

তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েটি একটি কোর্স করেছে সেটা দিয়ে আইন অনুযায়ী রোগী দেখতে পারেন না ডাক্তারকে অ্যাসেস্ট করতে পারবে। এ কারণে তাকে ৩ মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

;

চট্টগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় বাইক আরোহী কিশোরের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ডাম্প ট্রাকের ধাক্কায় মোহাম্মদ কাইছার (১৭) নামে এক বাইক আরোহী কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এতে জিয়াউর রহমান জিয়া নামের আরেকজন আরোহী আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের আধুনগর ব্রিজের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য জাফর আহমদ।

নিহত কাইছার লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের দরবেশহাট সাওদাগর পাড়ার নুরুল আবছার প্রকাশ বদনের ছেলে। আহত জিয়াউর রহমান একই এলাকার মৃত ফোরক আহমেদের ছেলে।

নিহতের পরিবারের কাছ থেকে জানা গেছে, নিহত কাইছার চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা বাজারে জিয়াউর রহমান জিয়ার মালিকানাধীন মেসার্স জননী এন্টারপ্রাইজে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে দোকান বন্ধ করে জিয়াউর রহমান ও মোহাম্মদ কাইছার বাইকযোগে লোহাগাড়ায় বাড়ি ফেরার পথে আধুনগরে পৌঁছালে পেছন থেকে ডাম্প ট্রাক বাইকে ধাক্কা দেয়। পরে তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে চন্দনাইশ পৌঁছালে কাইছারের মৃত্যু হয়।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মো. এরফান বলেন, এ ঘটনায় ড্রাম্প ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

;