ডিমের দাম এখনো চড়া, হাতের নাগালে নেই সবজিও



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ডিমের দাম এখনো চড়া, হাতের নাগালে নেই সবজিও

ডিমের দাম এখনো চড়া, হাতের নাগালে নেই সবজিও

  • Font increase
  • Font Decrease

গত সপ্তাহের মতো এখনো বাড়তি ডিমের দাম। শুক্রবার (২৪ মে) চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা ডজন। আর সাদা ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ডজন। এছাড়া দেশি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা ডজন।

তবে বিভিন্ন প্রকারের সবজির দাম কিছুটা কমলেও অধিকাংশই বিক্রি হচ্ছে আগের মূল্যে। এতে নিরামিষের চাহিদা মিটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ নাগরিকদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা দাম কমেছে শসা, পটল, বরবটি, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা ও বেগুনের। এরমধ্যে ১০ টাকা দাম কমে প্রতি কেজি শসার মূল্য ৫০ টাকা, ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি পটল ও বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

এছাড়াও কেজি প্রতি কাকরল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ঢেঁড়স ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ২০ টাকা কমে এক কেজি বেগুন কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। তবে, প্রায় ৬০ থেকে ৮০ টাকা বেড়েছে আদা ও কাঁচা মরিচের দাম।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মে) নগরীর বিভিন্ন বাজারে আদা ২৮০ এবং কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। গাজরের দামও বেড়েছে প্রায় ৪০ টাকা। বর্তমানে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সবজিটি। এছাড়া প্রায় অপরিবর্তিতই রয়েছে অন্যান্য সবজির দাম।

বর্তমানে টমেটো ৫০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, ঝিঙে ৭০ টাকা, পেপে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কচুর মুখী ৮০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা এবং লতি ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে কোরবানির ঈদ ঘিরে উত্তাপ বেড়েছে মসলার বাজারে। নগরীর খুচরা বাজারগুলোয় প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে এলাচ, দারচিনি ৬শ', গোলমরিচ এক হাজার টাকা এবং লবঙ্গ দুই হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খাতুনগঞ্জে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ভারতের পেঁয়াজ ছোট ৬২ থেকে বড় ৭০ টাকা।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স মিতালী ট্রেডার্স এর মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, পাবনার পেঁয়াজ আছে আমাদের আড়তে। কেজি ৬৬ টাকা। দেশি পেঁয়াজের দাম কম ও মান ভালো হওয়ায় চাহিদা বেশি। দেশি পেঁয়াজের বস্তায় পচা, গলা কম। ৬৪-৬৫ টাকা কেজি। স্পেশাল বড় পেঁয়াজ ৬৮ টাকা।

তবে, স্থিতিশীল রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বর্তমানে আকার ও জাত ভেদে দেশি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, সয়াবিন তেল ১৫০ টাকা, পাম তেল ১৩৫ টাকা, পাঁচ কেজির বোতলজাত সয়াবিন তেল ৮০০ টাকা, চিনি ১৩০ টাকা এবং মসুর ডাল ১১০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে নগরে।

এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ-মাংসের দামও। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা কেজি, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগি ২৩০-৪০ টাকায়, আর লাল মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০-৩৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া পাকিস্তানি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা করে।

বাজারে রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি আর বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা। এছাড়া পাবদা ৪০০, বড় বোয়াল ৬০০, ছোট বোয়াল ৫০০, টেংরা ৮০০, রুপচাঁদা এক হাজার ২০০, কালিবাউশ ৬০০, মৃগেল ২৮০-৩২০, কার্ফু ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল শুক্কুর বলেন, আমাদের বাড়তি দরে ডিম কিনে আনতে হচ্ছে। ব্যবসা যেহেতু করছি, আমাদেরও তো ন্যূনতম লাভ করতে হয়। তাই এখনো ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

   

ঝুম বৃষ্টিতে ভিজল ঢাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঝুম বৃষ্টিতে ভিজল ঢাকা, ছবি: বার্তা২৪.কম

ঝুম বৃষ্টিতে ভিজল ঢাকা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আষাঢ়ের শুরু থেকেই বৃষ্টি ঝরছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বুধবার হঠাৎ করেই ঝুম বৃষ্টিতে ভিজেছে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। এতে করে কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন দিনের শুরুতেই পথে নামা কর্মজীবী মানুষ।

সকাল ৯টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। মাঝে কিছুক্ষণ বিরতি দিলে পৌনে ১০টায় শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। অফিস আওয়ারে বৃষ্টি হওয়া পথেই ভিজতে হয়েছে অনেককেই। কেউ কেউ বৃষ্টি থেকে বাঁচতে যাত্রী ছাউনিতে আশ্রয় নিয়েছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন মোটরসাইকেলের আরোহীরা। তাদেরকে দেখা গেছে, ফ্লাইওভারের নিচে, যাত্রী ছাউনিতে আশ্রয় নিতে। আবার কেউ কেউ রাস্তায় বাইক দাঁড় করে রেখে কোন দোকানে ঠাঁই নিয়েছেন।


রাজধানীর কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, আগারগাঁও, ফার্মগেট, হাতিরঝিল, মিরপুর, গুলিস্তান ও নিউমার্কেট এলাকায় বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। তবে এ বৃষ্টির পরিমাণ কোথাও কম আবার কোথাও বেশি শোনা গেছে।

এদিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ প্রায় সব বিভাগেই দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবােরর (২৬ জুন) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ দেশের আটটি অঞ্চলের উপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।


এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার রাতে দেওয়া আবহাওয়ার সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ছয়টা থেকে বুধবার (২৬ জুন) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫৩৫ পিস ইয়াবা, ৬২ দশমিক ৫ গ্রাম হেরোইন, ২০ বোতল ফেন্সিডিল ও ১ কেজি ৬০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

কারাগারের ছাদ ফুটো করে ফাঁসির ৪ আসামির পলায়ন, পরে গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালানোর পরপরই তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত তিনটার দিকে কারাগারে কনডেম সেল থেকে আসামিরা পালিয়ে যায়।

বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু ওরফে মঞ্জু (৬০), নরসিংদি জেলার মাধবদী থানার ফজরকান্দি গ্রামের মৃত ইসরাফিলের ছেলে আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (৪১), বগুড়া কাহালু উপজেলার উলট্ট গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে জাকারিয়া (৩৪) এবং বগুড়া সদরের কুটিরবাড়ি গ্রামের ইসরাইল শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (৩০)।

তারা প্রত্যেকেই হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি।

পুলিশ সুপার বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চার আসামি ছাদ ফুটো করে বের হয়। এরপর তারা বিছানার চাদর ব্যবহার করে দেয়াল টপকিয়ে বাহিরে বের হয়। ভোর রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে পুলিশের একাধিক টিম সংবাদ পেয়ে শহরে তল্লাশী শুরু করে। ভোর রাত ৪টা ১০ মিনিটে শহরের চেলোপাড়া চাষি বাজার থেকে চারজনকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়ার পরপরই জেলা কারাগার থেকে পাঠানো ছবি দেখে গ্রেফতারকৃতদের শনাক্ত করা হয়। গ্রেফতারের পর চারজনকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয় এবং কারা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে শনাক্ত করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, কারাগার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, তারা চারজন একই সাথে একটি কক্ষে অবস্থান করতো। তারা পরিকল্পিতভাবে ছাদ ফুটো করে পরিধেয় বস্ত্র এবং বিছানার চাদর জোড়া দিয়ে রশি বানিয়ে দেওয়াাল টপকিয়ে পালিয়ে করতোয়া নদীর পার হয়ে পালিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

;

কলাপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ল রাইসমিল, ১০ লাখ টাকার ক্ষতি



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলাপাড়া, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে একটি রাইসমিল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট, থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় আধা ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) উপজেলার সাপ্তাহিক হাট বাজারের শেষ মুহূর্তের রাত ৯.৩০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, পৌর শহরের আন্ধারমানিক নদীর তীরে মৌডুবি ট্রলার ঘাট এলাকার সিরাজুল হক মুন্সির ‘তানভির রাইসমিলে’ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় চাল, হলুদ-মরিচের গুঁড়াসহ অন্যান্য সামগ্রী পুড়ে গেছে।

কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. ইলিয়াস বলেন, খবর পেয়ে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।

বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। মিল মালিক সিরাজুল হক মুন্সি বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডে আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

;