সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে প্রধানমন্ত্রীর ২০ কোটি টাকা অনুদান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনাজনিত আহত সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের হাতে অনুদানের চেক প্রদান করছেন, ছবি: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনাজনিত আহত সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের হাতে অনুদানের চেক প্রদান করছেন, ছবি: ফোকাস বাংলা

  • Font increase
  • Font Decrease

অসুস্থ, দুর্ঘটনায় হতাহত ও অসচ্ছল সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য গঠিত সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে আরও অতিরিক্ত ২০ কোটি টাকা অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে বিভিন্ন গণমাধ্যমের মালিকপক্ষ, বিশেষ করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মালিকদের এই ট্রাস্টে বেশি বেশি অনুদান প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনাজনিত আহত সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা, ভাতা ও অনুদানের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মধ্যে চেক বিতরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখন জানলাম সাংবাদিকদের অনেকেই কষ্টে আছেন, তখন একটা তহবিল করে দিয়েছিলাম। ২০ লাখ টাকা দিয়ে শুরু করেছিলাম। পরে যখন সরকার গঠন করলাম, তখন সুযোগ পেয়ে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে দিলাম। সেই ট্রাস্টে এখন ১৪ কোটি টাকা আছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী এই ট্রাস্টে আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন। পরে অবশ্য অনুদানের অঙ্ক দ্বিগুণ করে ২০ কোটি টাকা জমা দেবেন বলে জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এত পত্রিকা, এত রেডিও, এত টিভির অনুমোদন দিয়েছি, আপনারা (মালিকপক্ষ) কেন এই ট্রাস্টে অনুদান দেবেন না? অনুদান চেয়ে মাত্র দু’জন মালিকের কাছ থেকে আমরা সাড়া পেয়েছি, একজন ইত্তেফাকের মালিক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, আরেকজন মাছরাঙ্গা টিভির অঞ্জন চৌধুরী। আর কারও কাছে সাড়া পাইনি। কিন্তু এখন তো সবার অবস্থা ভালো। সবাই ভালো ব্যবসা করছেন। আপনারা সবাই টাকা দেবেন। আর মালিকপক্ষ যত বেশি টাকা দেবেন, আমার পক্ষ থেকেও এই ট্রাস্টে অনুদানের টাকা বাড়বে।’

সাংবাদিকদের আবাসন সমস্যার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ন্যাম ফ্ল্যাট যখন হয়, তখন আমরা বলেছিলাম সাংবাদিক, কবি, শিল্পী- তারা যেন অল্প কিছু টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট নিতে পারে। কিন্তু সেটা তো হয়নি। এখন সরকার কিছু ফ্ল্যাট তৈরি করছে। অল্প টাকায় কিস্তিতে এই ফ্ল্যাট কেনার সুযোগ আমরা রাখব। প্রতিমাসে এই ফ্ল্যাটের জন্য যে টাকা ভাড়া দিতে হবে, ওই টাকাকেই কিস্তি হিসেবে নেওয়া হবে। এভাবে প্রতিমাসে অল্প অল্প টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কেনার সুযোগ আমরা রাখব। ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাট আছে। যারা চান, ব্যবস্থা করা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে সাংবাদিকদের প্লট দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ভাগে সাংবাদিকদের অনেকেই সেই প্লট পেয়েছেন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে একজনের নামে একটা করে প্লট না দিয়ে ক্লাস্টার করে দিলে ভালো হতো। কারণ প্লট পাওয়া অনেকেই সেখানে বাড়ি করতে পারছেন না। ডেভেলপারদের দিলেও তো অনেক সময় লাগে। কিন্তু কয়েকজনকে দিলে তারা মিলে হয়তো বাড়ি করতে পারতেন। যাই হোক, এখন ফ্ল্যাট লাগলে তার জন্য আমরা ব্যবস্থা করে দেবো।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লাহ, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, বিএফইউজের মহাসচিব মোল্লা জালাল, সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য, সাধাররণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।

   

মানু মজুমদারের মরদেহে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক সংসদ সদস্য, ৭৫'র প্রতিরোধ যোদ্ধা ও নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সদ্য প্রয়াত মানু মজুমদারের মরদেহে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মে) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর সম্মুখে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ও পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে,গত চার দিন আগে ঢাকার বাসায় অসুস্থ হয়ে যান মানু মজুমদার। পরে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ভারতের বেঙ্গালুরুর নারায়ণা ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সে ভর্তি করা হলে দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান।

উল্লেখ্য, মানু মজুমদারের পৈতৃক বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে। তার শ্বশুরবাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা সদরের মন্তলা গ্রামে। তিনি প্রায় ১০ বছর আগে কলমাকান্দার সীমান্তবর্তী রংছাতি ইউনিয়নের পাঁচগাঁও এলাকায় বাড়ি করে সেখানে ও ঢাকায় বসবাস করতেন।

মানু মজুমদার নেত্রকোনা-১ আসন থেকে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে তিনি আন্দোলন গড়ে তোলেন। পরে তাকে কারাবন্দি করা হয়। দীর্ঘসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।

;

নজরদারির অভাবে অধিকাংশ সবজির চড়া দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নজরদারির অভাবে বেশির ভাগ সবজির দাম চড়া বাজারে। সরবরাহের কোন ঘাটতি না থাকার পরেও ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি। একই সাথে মাছ মাংসের বাজারের লেগেছে বাড়তি দামের প্রভাব। ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো করে দাম নিচ্ছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যের। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে কিনতে হচ্ছে সবজি তাই দাম একটু বেশি।

শুক্রবার ( ২৪ মে ) রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

বাজার ঘুরে দেখা যায় গেলো সপ্তাহের মতো এখনো বাড়তি ডিমের দাম। ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা ডজন। আর সাদা ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ডজন। এছাড়া দেশি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা ডজন।

এখনো বাড়তি ডিমের দাম

এদিকে সবজির বাজারে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি। সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে। এছাড়া ফুলকপি প্রতি পিছের দাম ৫০ টাকা। পটল পাওয়া যাচ্ছে ৪০ করে কেজি। সেই সাথে লাউ প্রতি পিছ ৫০ টাকা, কাকরল ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা,জালি কুমড়া ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, লেবু হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা, ধনেপাতা ২৫০ টাকা কেজি এবং ক্যাপসিকাম ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা কেজি।

এছাড়া পেঁয়াজের আমদানি শুরু হলেও বাজারে এর কোনো প্রভাব পরেনি। এখনো আগের দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। আর রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ কেজি। এদিকে কিছুটা বেড়েছে আদার দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ টাকা বেড়ে আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা করে।

বাইল্লা ১০০০, টেংরা ৮০০, রুপচাঁদা ১২০০

তবে গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা কেজি, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগী ২৩০ টাকা, আর লাল মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া পাকিস্তানি কক মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা করে।

মাছের বাজারে মাছের পর্যন্ত আমদানি থাকলেও বিভিন্ন অযুহাতে এখনো বাড়তি মাছের দাম। বাজারে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি আর বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা এছাড়া পাবদা ৪০০, বড় বোয়াল ৬০০, ছোট বোয়াল ৫০০, বাইল্লা ১০০০, টেংরা ৮০০, রুপচাঁদা ১২০০, কালিবাউশ ৬০০, মৃগেল ২৮০-৩২০, কার্ফু ৩০০ টাকা করে।

মাছ ব্যবসায়ী জলিল বার্তা ২৪ কে বলেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে কম সরবরাহ রয়েছে মাছের। এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন কাওরান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা মাছের ওজনের কম দেয়ায় খুচরা ব্যাবসায়ীদের ঘাটতি হয়। তাই পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে দামের হেরফের তুলনামূলক বেশি থাকে।

লাল মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে

মহাখালী ডিওএইচ থেকে সপ্তাহের বাজার করতে এসেছেন মামুন। মামুন বলেন, আমি যে বাসায় কাজ করি তাদের পুরো সপ্তাহের বাজার আমি করি। আগে স্যার টাকা যা দিত তাই দিয়ে সপ্তাহের বাজার শেষ করে হাতে আরও টাকা থাকতো। কিন্তু এখন আর ব্যাগ ভরে বাজার করা সম্ভব হয়না। তাই দিন দিন বাজারের জন্যে যে বাজেট আছে তা বৃদ্ধি করতে হচ্ছে। এছাড়া তার অভিযোগ বাজার তদারকির যারা দায়িত্বে আছের তারা ঠিকঠাক তদারকি করছেন না। তাই বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরেও সব পণ্যের দাম চড়া। 

;

চার বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে তৈরি লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের চার বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সামান্য উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো ঘণীভূত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি যদি আরও শক্তি অর্জন করে প্রথমে গভীর নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এটি ২৪ মে রাতে বা ২৫ মে সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটির গতিপথ কি হবে বা কোথায় আঘাত হানবে তা এখনো সুস্পষ্টভাবে জানাতে পারেননি আবহাওয়াবিদরা। 

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এর পরের ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের সব বিভাগেই ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। কারণ আবহাওয়াবিদদের মতে এ সময় রেমাল আঘাত হানতে পারে।

তাপমাত্রা অনুসারে বলা যায়, শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এরপর রাত থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে শনিবার রাত ও পরের দিন রোববার (২৬ মে) তাপমাত্রা কমতে পারে।

;

এমপি আনারের মাংস কেটে তৈরি হয়েছে কিমা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহের একাংশ বুধবার (২২ মে) উদ্ধারের একদিন পর বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙ্গর থানার জিরেনগাছা ব্রিজ এলাকায় দেহের বাকি অংশ উদ্ধারে তল্লাশি চালায় সিআইডি।

মোট ছয়টি গাড়িতে পুলিশ ফোর্স নিয়ে এদিন রাতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃত জিহাদকে নিয়ে কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গড়-পোলেরহাট এলাকার ব্যাপক তল্লাশি করে সিআইডি। তবে মরদেহের কোনো অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

পুলিশ জানিয়েছে, এমপিকে হত্যার পরে তার শরীর থেকে মাংস এবং হাড় আলাদা করে ফেলে। মূলত পরিচয় নষ্ট করার জন্য এমপির মাংস কিমা করে তা প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখে। আর হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে নেয়। পরে ওই ব্যাগগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে নানা ধরণের পরিবহন ব্যবহার করে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেয়। কিমা করার জন্য মুম্বাই থেকে কসাই এনে মাংস কাটায় হত্যাকারীরা।

পুলিশ আরও জানায়, অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদারের (২৪) বক্তব্য যাচাই করতে এবং শরীরের বাকি অংশগুলো উদ্ধার করতে তার জন্য বারাসাত আদালতে রিমান্ড চাওয়া হবে।

পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন জিহাদ হাওলাদার একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। তার বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানায়। তার বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। তবে জিহাদ বসবাস করতো ভারতের মুম্বাই শহরে। সেখানে সে একটি মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করতো।

জানা গেছে পরিকল্পিত নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামানের কলকাতায় যাওয়ার দুই মাস আগেই জিহাদকে ডেকে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছে, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ চারজন এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

;