করোনার টিকা বেসরকারিভাবে আমদানির প্রস্তাব

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনা ভ্যাকসিন বেসরকারিভাবে আমদানির সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য (পিরোজপুর-৩) মো. রুস্তম আলী ফরাজী।

তিনি বলেছেন, ভ্যাকসিন নিয়ে কথা ওঠে। আমি মনে করি এ ব্যাপারে সবার সাথে যোগাযোগ করা উচিত ছিল। সরকার টু সরকার যেটা পারবে আমার ধারণা বেসরকারিভাবে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে বেসরকারিভাবে যারা দক্ষ তাদের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে আলোচনা করে ইউরোপ হোক, আমেরিকা হোক চায়না হোক সেখানে থেকে আনার আনার সুযোগ দেওয়া উচিত।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।

রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, সরকার যেটা আনছে সেটা তো আনছেই এবং বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন এনে তারা আবার এটাকে বিপণন করতে পারে। কারণ ৪০০, ৫০০, ৬০০ টাকা দাম পড়বে, যে কোন লোক এটার দুইটা ভ্যাকসিন নিতে পারবে। বুস্টার ডোজ এর জন্য দুইটা লাগবে। তারপর লাগবে কিনা সেটা আরো চিন্তা-ভাবনা করবে গবেষকরা। এজন্য আমি মনে করি যারা ভ্যাকসিন আনতে পারবে তাদেরকে আনার সুযোগ দেওয়া হোক। তাতে ৫০ শতাংশ লোক ভ্যাকসিন নিতে পারবেন, বাকি যেটা পারবে না প্রধানমন্ত্রী যেহেতু সরকারি টাকা দিয়ে আনবেন এনে দরিদ্র মানুষের বিনা পয়সায় দেবেন।

বিজ্ঞাপন

বিরোধী দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, বাংলাদেশ এই করানোর সময় যে সফলতা দেখিয়েছে সেটা আসলেই প্রশংসনীয়। ইউরোপ পারে নাই, ইংল্যান্ড পারে নাই, ফ্রান্স পারে নাই, আমেরিকা পারে নাই, একটি দেশও পারেনি, তারা একেবারে তছনছ করে ফেলেছে। কি করতে হবে তাই বুঝতে পারে নাই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে পেরেছে।

তিনি আরও বলেন, অনেক প্রকল্পের কাজ আংশিক করে বন্ধ করে দিয়েছে এর কারণটা কি এটা নিয়ে গবেষণা করা দরকার। ওই সকল প্রকল্পের টাকা তুলল, নাকি তুললেন না সে ব্যাপারে আমাদের বেশি করে খেয়াল রাখা উচিত। অর্থনীতির এই অবস্থা যদি ধরে রাখা যায় তাহলে আরও এগিয়ে যাব।

তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংক সবসময় রক্ষণশীল। তারা আমাদের অর্থনৈতিক সূচকগুলো সবসময় নিম্নগামী করতে চায়। যখন আমরা সফলতা দেখাই তখনও তারা সেটা মানতে চায় না। এবার এই রক্ষনশীলতার মধ্যে থেকেও তারা আজকে আইএমএফ এডিবি সবাই বলতে বাধ্য হয়েছে যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে একটা চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে শেখার আছে, বাংলাদেশ থেকে জানার আছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কি করে এই বিধ্বস্ত করোনার মধ্যে সচল রাখল কিংবা এগিয়ে গেল এটা তাদেরকে ভাবিয়ে তুলছে। বড় বড় অর্থনীতিবিদরা আজকে গবেষণা করবে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে। আগামীদিনের সেটাই হবে আমাদের বড় একটা অর্জন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, দেশের মানুষের আপনার ওপর আস্থা আছে, দেশের মানুষ আপনাকে বিশ্বাস করে, সব ঠিক আছে কিন্তু আমাদের কিছু ঝুঁকিও আছে। এই ঝুঁকিগুলোর দিকে খেয়াল দিতে হবে। সামাজিক শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে হবে।

বঙ্গবন্ধু দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়েছিলেন, আপনাকেও তাই করতে হবে। সে সময় মাদক ছিল না আজকে মাদকের ভয়াবহতা আমাদের যুব শক্তিকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। সেই ব্যাপারে আমাদের কঠোর থেকে কঠোরতম আইনের প্রয়োগ করতে হবে, প্রয়োজন হলে স্পেশাল ট্রাইবুনাল করতে হবে।

এটা প্রধানমন্ত্রীই পারবেন আর কারও পক্ষে সম্ভব হবে না। এজন্য সার্বিক সহযোগিতা করেছে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, সমালোচকরা সমালোচনা করবেই আপনার তাতে কোনভাবে ভ্রুক্ষেপ করবেন না, আপনি এগিয়ে যান, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, অর্থনীতি সচল হচ্ছে, মানুষ চায় দুর্নীতিমুক্ত একটি সমাজ সাধারণ মানুষের আপনার ওপর আস্থা আছে এই আস্থা যেন কখনো নষ্ট না হয়।