বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন: হাবিবে মিল্লাত



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন বলে জানালেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য (সিরাজগঞ্জ-৩) হাবিবে মিল্লাত।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র নামাতে গিয়েছিল ২৫ আগস্ট রাতে। নেহায়াত বাংলাদেশের কিছু সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তা তাদের ফিরিয়ে এনেছিল পরবর্তীতে নিজে ২৭ মার্চ কালুরঘাট থেকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের চাপে।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।

হাবিবে মিল্লাত বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, এরশাদ বিরোধী স্বৈরাচারী আন্দোলন ও খালেদা বিরোধী আন্দোলন প্রত্যেকটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব দিয়েছে।

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি? স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তো আপনারা। সেই জিয়াউর রহমান, যে আপনার দলের প্রতিষ্ঠাতা সেই সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র নামাতে গিয়েছিল ২৫ আগস্ট রাতে। নেহায়াত বাংলাদেশের কিছু সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তা তাকে ফিরিয়ে এনেছিল। পরবর্তীতে নিজে ২৭ মার্চ কালুরঘাট থেকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। ওই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চাপে। নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এর কতগুলো ডাটা দেন এবং বিভিন্ন সংগঠনের কথা বলেন। এইসব ভুঁইফোড় সংগঠন যেমন বাংলাদেশে আছে। এইসব ভুঁইফোড় সংগঠন সারা পৃথিবীতেই আছে। এদের ফান্ড করলে তারা যে কোন রিপোর্ট আপনাকে তৈরি করে দেবে।

তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সক্ষম ২০টি দেশের মধ্যে একটি। করোনা পরিস্থতি বাংলাদেশের আগের চেয়ে অনেক ভালো। আমরা সক্ষমতার দিক দিয়ে ২০ দেশের মধ্যে চলে গেছি। গত কয়েক দিনের ট্রেড হচ্ছে ৫ শতাংশের নিচে আছে করোনা সংক্রমণ। এটা ধরে রাখতে পারলে দুই সপ্তাহ পরে কিন্তু মহামারি আমাদের দেশ থেকে বিদায় নেবে, বৈজ্ঞানিকভাবে তাই হওয়া সম্ভব।

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যদের সমালোচনা করে হাবিবে মিল্লাত বলেন, নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন, সুযোগ পেলেই বিভিন্ন নির্বাচন নিয়ে আপনাদের কথা বলতে হয়। নির্বাচন করেন না কিন্তু সংসদে ঠিকই এসে বসেন। নির্বাচন করেন না সংসদে নির্বাচনের বিরুদ্ধে কথা বলেন। এতোই যদি নির্বাচন খারাপ হয়ে থাকে এতই যদি নির্বাচন পছন্দ না হয় এমপি হিসেবে কেন সুযোগ ‍সুবিধাগুলো আপনারা নিচ্ছেন? সেটা বলবেন না। কেন ১০ কাঠা জমির জন্য আবেদন করেছিলেন? পত্রিকায় প্রকাশ হবার পর সেটা প্রত্যাহার করেছেন। কোথা থেকে টাকা আসে আমরা জানি না। আমরা বুঝতে পারি না। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চান? জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ না ভোটের নির্বাচন? ১১০ ভাগ হ্যাঁ ভোট না ভোট একটিও পড়েনি। ওই নির্বাচন আপনারা চান তো ওই নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণ হতে দেবে না। হতে পারে না এই বাংলাদেশে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। ওই দুই চারজন কুচক্রির জন্য এই অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে রাখা যাবে না। বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে। আপনারা গুম খুন হত্যার কথা বলেন জিয়াউর রহমান কত হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে খুন করেছে হত্যা করেছে? আমাদের দেশের প্রেমিক সেনাবহিনীর কত অফিসারকে কোর্ট মার্শাল দিয়ে রাতের অন্ধকারে। অপারেশন ক্লিন হার্ট করে কত মানুষকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করেছেন নির্যাতন করেছেন স্মরণ নেই? জনগণের কাছে ক্ষমা চান, মাফ চান। নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করা যে কোন দলের গণতান্ত্রিক অধিকার, কিন্তু প্রতিহত করার অধিকার কারো নেই। নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য শত শত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছেন।

হাবিবে মিল্লাত বলেন, খুনি তারেক জিয়া কিভাবে দেশের বাইরে রাজকীয়ভাবে থাকে? যে জুয়া খেলে দিন কাটায় বলে তার ট্যাক্সের ফাইলে দিয়েছে।

তিনি বলেন, সড়ক আন্দোলন কিংবা হেফাজতের আন্দোনের ওপর ভর করে তারা ভাবছিল ক্ষমতায় যাবে। তাদের তো বেশি কাজ কর্ম নাই তারা দিবাস্বপ্ন দেখে, দিবা স্বপ্ন কখনো সঠিক হয় না। সারাদিন টিভি টক শো আর সাংবাদিক সম্মেলন করে বাংলাদেশের মানুষের মন ভোলানো যাবে না।

তিনি বলেন, ইচ্ছে করলেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে কোথাও থেকে এত সহজে সরানো যাবে না। আপনাদের ছোট খাটো দুই একটা হুমকি ওসব সময় দিয়ে থাকেন। আমরা দেখেছি সেই বাঘের গর্জন এখন বিড়ালের মিউ মিউ তে রূপান্তর হয়েছে। আপনার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আপনারা দুর্নীতির কথা বলেন। আপনাদের উচিত, আপনারা যদি সত্যিকার অর্থে মন থেকে বলে থাকেন তাহলে আপনার নেত্রীকে বহিষ্কার করা। আদালতে প্রমাণিত হয়েছে এতিমের টাকা চুরি করার জন্য ১০ বছরের জেল হয়েছে। মুচলেকা দিয়ে বাড়িতে বসে আছেন। কোন কাজ কর্ম করতে পারেন না। আরেক নেতা তারেক জিয়া তার জন্য আপনারা দলীয় গঠণতন্ত্র পরিবর্তন করেছেন ৭ ধারা উঠিয়ে দিয়েছেন।

নিজ দলের কিছু ত্রুটি তুলে ধরে বলেন, আসলে আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আছে, অনেকের মধ্যেই কিছুটা দ্বন্দ্ব সংঘাত শুরু হয়েছে। আশা করব দলীয় ফোরামে আলোচনা করে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।

   

কেসিএমসিএইচ'র সঙ্গে বেক্সিমকো এলপিজির অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কর্মীদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি করেছে বেক্সিমকো এলপিজি।

এই চুক্তির অধীনে, খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বেক্সিমকো এলপিজির সব কর্মীর জন্য বিশেষ ছাড়ে তাদের অন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে। এছাড়া অফিসের পরিচয় পত্র দেখিয়ে কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরাও বিশেষ ছাড়ে চিকিৎসা সেবার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালটির পরিচালক ডা. মোস্তফা কামাল ও ডা. এম এ আলী। আর বেক্সিমকো এলপিজির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বেক্সিমকো এলপিজির মংলা প্ল্যান্টের প্ল্যান্ট ম্যনেজার আবু তাহের মোহাম্মদ ফারুক, সিসিও এম মুনতাসির আলম এবং অ্যাডমিন জিএম আসাদ-উজ-জামান।

;

ভাইয়ের কাঁধে চড়ে বলীখেলা দেখল ছোট্ট দুর্জয়!



সীরাত মঞ্জুর, স্টাফ করেপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চতুর্দিকে হাজার হাজার মানুষ। চলছে ঢোলের মাতম। মাঝখানে উঁচু মঞ্চের দিকে সবার চোখ। বিপরীতে দর্শক সারিতে দেখা মিললো ভিন্ন কিছুর! ছোট্ট এক শিশুকে নিজের কাঁধে চড়িয়ে বলীখেলা দেখাচ্ছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব নারায়ন। মূলত ছোট্ট মামাতো ভাই দুর্জয়ের ইচ্ছে পূরণ করতে তাকে কাঁধে করে বলীখেলা দেখাতে নিয়ে আসেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক জব্বরের বলীখেলার ১১৫তম আসরে।

দুর্জয়ের বয়স ৭ বছর। এবার প্রথম নয়, আগেও সে বেশ কয়েকবার এই নারায়নের কাঁধে চড়েই বলীখেলা দেখতে আসে। দুর্জয় বার্তা২৪.কমকে বলে, ‘আমি বলীখেলা দেখতে এসেছি। ভাইয়ার কাঁধে চড়ে দেখেছি। গতবারও ভাইয়া আমাকে নিয়ে এসেছেন। খুব ভাল লাগছে।’

নগরীর হাজারী গলি থেকে দুর্জয় দত্তকে নিয়ে এসেছেন ফুতাতো ভাই নারায়ণ। তিনি বলেন, ‘ও ছোট হওয়ায় একলা দেখতে আসতে পারে না। তাই, আমি ছোট ভাইকে আনন্দ দিতে এবং তার ইচ্ছে পূরণ করতে এবারও নিজের কাঁধে চড়িয়ে বলীখেলা দেখাতে নিয়ে এসেছি। আমি প্রতিবছর দুর্জয়কে নিয়ে আসি। অন্যান্য বার মঞ্চ এলাকায় ঢুকতে কষ্ট হত। পুলিশকে বলে এবার কোনো রকম অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করেছি। পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করেছেন। তবে, এবার মঞ্চ আরেকটু উঁচু হলে দূর থেকে দেখতে সুবিধা হত।’

এবারের বলীখেলার ফাইনালে ১১ মিনিট শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের পর স্বেচ্ছায় হার মানেন রাশেদ। বিজয়ী ঘোষণা করা হয় বাঘা শরীফকে। তাঁদের দুজনই কুমিল্লার। আর সীতাকুণ্ডের রাসেলকে হারেয়ে এবারও তৃতীয় হন খাগড়াছড়ির সৃজন বলী।

এদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরীর লালদীঘি বলীখেলা প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নবীন-প্রবীন মিলে প্রায় ৮৪ জন বলী অংশ নেন। এর আগে বেলুন উড়িয়ে বলীখেলার ১১৫ তম আসর উদ্বোধন করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। উদ্বোধক চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি বলীখেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এনএইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর।

মূলত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে দেশের যুবকদের সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশীর হাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন বলীখেলা। এরপর, ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতি ১২ বৈশাখ চট্টগ্রাম শহরের লালদীঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে জব্বারের বলীখেলা। যদিও করোনা মহামারীর কারণে ২০২০-২০২১ সালে বলীখেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। পরের বছর ২০২২ সাল থেকে আবার নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে জব্বারের বলীখেলা। এ বছর জব্বারের বলীখেলার ১১৫তম আসর বসেছে।

;

সাজেকে সড়কে নিহত ৬ জনের বাড়ি ময়মনসিংহে, এলাকায় শোকের মাতম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটির সাজেকের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯ জনের মধ্যে ৬ জনের বাড়িই ময়মনসিংহে। এদের মাঝে ৫ জন ঈশ্বরগঞ্জের ও একজন গৌরীপুর উপজেলার। নিহতরা হওয়া সবাই নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন বলে জানা গেছে।

এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাজেকের নব্বই ডিগ্রি এলাকায় সাজেক-উদয়পুর সীমান্ত সড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ঘটনার সময় শ্রমিকবাহী মিনি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের ১০০ ফুট খাদে পড়ে ৯ জন নিহত হন। আহত হন আরো ৮ জন। এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের খবর পরিবারে এসে পৌঁছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

নিহতরা হলেন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের রিয়াছত আলী ভূইয়ার ছেলে এরশাদুল (৪২), তারুন্দিয়া ইউনিয়নের গিরিধরপুর গ্রামের শহীদুল্লাহ'র ছেলে শাহ আলম (২৮), একই ইউনিয়নের শ্রীফুরজিথর গ্রামের মো. চাঁন মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (২১), মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে নয়ন মিয়া (২০), মো. নজরুল ইসলামের ছেলে মোহন মিয়া (১৭)। গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে তপু হাসান (১৭)।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মরদেহ বাড়িতে না পৌঁছালেও পরিবারে শোকের মাতম চলছে। শুধু তা-ই নয়, এমন মর্মান্তিক খবরে এলাকাতেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিহতের খবর শুনে গত রাত থেকেই আশেপাশের লোকজনসহ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছে মানুষজন।

তারুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রানা বলেন, সাজেকের দুর্ঘটনায় নিহত ৯ জনের মধ্যে ৪ জনের বাড়ি আমার ইউনিয়নে। এই ঘটনায় আমি নিজেও খুবই মর্মাহত।

বড়হিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজিজুল হক ভুইয়া মিলন বলেন, আমার ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের রিয়াছত আলী ভূইয়ার ছেলে এরশাদুল সাজেক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। শুনেছি মরদেহ নিয়ে বাড়ির দিকে ফিরছে।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, নিহতদের দাফন-কাফনের জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে থেকে প্রতি পরিবারে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড় পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক নিহতদের পরিবারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে'।

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় বলেন, ওই সড়ক দুর্ঘটনায় মইলাকান্দা ইউনিয়নের একজন মারা গেছেন। আরেকজন আহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন।

;

বন বিভাগের গেটের দেওয়ালে চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় বন বিভাগের গেটের দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে জুরাইন আহমেদ (৪) নামে শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলা বন বিভাগের গেটের দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে এ ঘটনা ঘটে।

জুরাইন আহমেদ খোকসা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মাঠপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী উজ্জলের ছেলে।

নিহত শিশুর চাচা আজিজুল ইসলাম জানান, শিশুরা খেলছিলো আবার কেউ ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলো। এসময় অসাবধানতাবশত গেটের গেটের দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে নিহত হয়।

বন কর্মকর্তার অফিসটি সব সময় অরক্ষিত থাকে। কর্মকর্তাদের খামখেয়ালিপনায় জুবায়েরের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তাঁর।

উপজেলা বন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, এক বছর আগে কুষ্টিয়ার এক ঠিকাদার গেট নির্মাণ করেছে।

খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরুফা সুলতানা বলেন, এটি একটি দুর্ঘটনা। গেট নির্মাণে ত্রুটি থাকতে পারে। ঠিকাদার গেটের পিলার এমনভাবে তৈরি করেছেন, মনে হচ্ছে পিলার দুটি মাটির ওপরে বসিয়ে রাখা হয়েছে। নাড়া দিলেই নড়ছে। বন কর্মকর্তার গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;