গাংনীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গাংনীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি

গাংনীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে আসছে ১০/১২ জন রোগী। তবে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। হাসপাতালে আজ মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ভর্তি আছে ১৬ জন।

তবে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে এখানকার চিকিৎসকদের। অপরদিকে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন রোগীর স্বজনরা।

বিজ্ঞাপন

গাংনী হাসপাতাল ঘুরে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার বেতবাড়ীয়া গ্রামের এরশাদ আলীর নয় মাস বয়সী শিশু আরিয়ান এ হাসপাতালের মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে সোমবার থেকে। আকস্মিকভাবে ডায়রিয়া হলে তা কোনভাবেই নিরাময় হচ্ছিল না বিধায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান আরিয়ানের মা রিতা খাতুন।

একই ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে হিন্দা গ্রামের লিপন হোসেনের ১৩ মাস বয়সী কন্যা মেহজাবিন। মেহজাবিনের মা মালা পারভীন জানান, গেল চারদিন ধরে হাসপাতালে তার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ধীরে ধীরে তার কন্যা শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠছে। ডায়রিয়া হলে ১০/১৫ দিনের আগে শিশুরা সুস্থ হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

গাংনী হাসপাতালের ওয়ার্ড ইনচার্জ শাহীনা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি হাসপাতালের ডায়রিয়ার রোগীর তথ্য দেন। তার তথ্যমতে, গেল এক মাসে গাংনী হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত নারী, শিশু ও পুরুষ মিলে ১৬৩ জন রোগীকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ভর্তি আছে ১০ জন। এখানে শিশুদের জন্য আলাদা কোন ওয়ার্ড নেই। মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে শিশুদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

গাংনী হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডায়রিয়া রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড থাকলে রোগ নিরাময় ও নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। বিশেষ করে শিশুদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড খুবই জরুরি। তাছাড়া শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় হাসপাতালে কর্মরত মেডিকেল অফিসাররাই শিশুদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।

শিশু রোগীর কয়েকজন স্বজন জানান, আর্থিক অনটনের কারণে অন্য কোন হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করানো সবার পক্ষে সম্ভব না। তাই বাধ্য হয়ে গাংনী হাসপাতালেই শিশুদের চিকিৎসা করাচ্ছেন তারা।

ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির বিষয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম রিয়াজুল আলম বলেন, ঠাণ্ডা ও শীতে রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এ সময়ে শিশু ও বয়স্কদের দিকে বিশেষ নজর রাখতে অভিভাবকদের পরামর্শ দেন তিনি।