কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন মেয়র
ভোটের আগে প্রচার-প্রচারণা করে নির্বাচনী মাঠ সরগরম করে রাখে প্রার্থীরা। জয় নিশ্চিত করতে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে চষে বেড়ান পাড়া-মহল্লার অলিগলি। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রার্থনা করেন কাঙ্ক্ষিত ভোট। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সৈয়দ রফিকুল ইসলাম। নানা প্রতিবন্ধকতায় ভোটের আগে তিনি ভোটারদের কাছে গিয়ে চাইতে পারেননি ভোট। তাই নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ছুটে চলেছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন।
গত ৩০ জানুয়ারি গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম হবিকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মত মেয়র নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ রফিকুল ইসলাম। এরপর থেকেই প্রতিদিন পৌরসভার বিভিন্ন মহল্লায় গিয়ে ভোটারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন মেয়র। ভোটারাও তাকে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ছে।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে গত বছরের ১৭ অক্টোবর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্রকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই হত্যার জেরে পুড়ানো হয় মেয়র রফিকুলের বাড়িঘর। পরে হত্যা মামলায় রফিকুলকে আসামি করা হলে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে।
এদিকে হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হন রফিকুল । পরে জামিনে মুক্ত হয়ে দলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় অনেকটাই কোণঠাসা ছিলেন রফিকুল। অভিযোগ রযেছে তার প্রচারণায় বাধা, কর্মীদের হুমকি, মারধর ও বাড়িঘরে হামলা করার। কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে দেখা করে আসছেন নবনির্বাচিত এই মেয়র।
সৈয়দ রফিকুল ইসলামের ছেলে রাফসান জানি অভি বলেন, এই নির্বাচনে শুধু প্রার্থীদের ভোটের লড়াই হয়নি। এই নির্বাচনটা ছিল সত্য ও মিথ্যার লড়াই। জনগণের নিরব ভোটে এই লড়াইয়ে সত্যের জয় হয়েছে। জনগণ আমাদের সাথে ছিল বলেই এই সত্যের লড়াইয়ে বাবা জয়ী হয়েছেন।
সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে শুভ্র হত্যা মামলায় মিথ্যা আসামি করা হয়েছে আমাকে। আমার প্রচারণায় বাধা, গাড়ি ভাঙচুর, কর্মী-সমর্থকদের মারধর ও বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। আমিও নিজেও ঘর থেকে বের হয়ে ভোটারদের কাছে যেতে পারিনি। কিন্তু জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছে। তাই ভোটের পর তাদের কাছে গিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।