ভাষা সংগ্রামীদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্মানে সমাহিত করার দাবি



মোখলেছুর রহমান , ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা
প্রবীণ ভাষা সৈনিক খান জিয়াউল হক। ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রবীণ ভাষা সৈনিক খান জিয়াউল হক। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতি বছর ভাষা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন হলেও মফস্বলে বাস করা ভাষা সংগ্রামীরা বরাবরের মতোই অবহেলিত। স্থানীয় প্রশাসনও ভাষার মাসে খোঁজ নেয় না তাদের। ফলে যথাযথ সম্মান না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন মাগুরার প্রবীণ ভাষা সংগ্রামী খান জিয়াউল হক। এ সময় তিনি সব ভাষা সংগ্রামীদের রাষ্ট্রীয় সম্মানে সমাহিত করার দাবি জানান।

খান জিয়াউল বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই স্বাধীনতা যুদ্ধের বীজ রোপিত হয়েছিল। কিন্তু ভাষা সংগ্রামীদেরকে সেভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের উত্তাল দিনগুলোতে ভাষা সংগ্রামীদের বীরত্বপূর্ণ আন্দোলনের কারণেই একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। তবুও ভাষা সংগ্রামীরা আজ চরমভাবে অবহেলিত।’

 তিনি আরও বলেন, ‘মাগুরার ভাষা সংগ্রামীরাও বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় অবদান রেখেছিলের। কয়েকজন ভাষা সৈনিক ওই সময় পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেণ। কিন্তু তাদের অনেকেই কোনও স্বীকৃতি না পেয়ে অখ্যাত অবস্থায় মারা গেছেন। ১৯৪৮ সালে যখন উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা করা হয় তখন আমি যশোর এমএম কলেজে ছাত্র। এসময় এমএম কলেজর সাধারণ ছাত্ররা প্রতিবাদ মিছিল করে। ৫২ সালে যখন ভাষা আন্দোলন তীব্রতর হতে থাকে তখন আমি বিএ’র পরিক্ষার্থী। যশোরে তখন মিছিল মিটিংয়ে অগ্রভাগে থেকে কাজ করেছি।’

এই ভাষা সৈনিক বলেন, ‘যেহেতু আমি মুসলিম ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম তাই আমাকে তৎকালীন মুসলিম লীগ নেতারা সরাসরি আমাকে ভাষা আন্দোলনের বিষয়ে জানাতেন। যদিও একসময় আমি মুসলিম ছাত্রলীগ ত্যাগ করি। এরপর আমাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে পুলিশ। এক পর্যায়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি আমি বন্ধুদের পরামর্শে মাগুরায় আমার বাড়ি চলে আসতে বাধ্য হই। মাগুরায় ফিরে আমি ভাষা আন্দোলন সংগঠিত করার কাজ শুরু করেছিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদিও প্রাথমিকভাবে তৎকালীন প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকাতে ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের উত্তাল তরঙ্গ সারাদেশের মতো মাগুরাতেও ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় ছাত্রনেতারা ভাষা আন্দোলনের শুরুতেই তৎকালীন ইসলামিক কলেজ যা বর্তমানে মাগুরা সরকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ হিসেবে পরিচিত সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে নিয়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতে আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনে অংশ নিয়ে তৎকালীন সময়ে স্কুল বয়সেই অনেকে জেল-জুলুম, নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। এরপর তারা মাগুরার মহকুমার প্রত্যন্ত অঞ্চলে আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়ার জন্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেন। আমিসহ ছাত্রনেতা নাসিরুল ইসলাম আবু মিয়া, আমিনুল ইসলাম চান্দু মিয়া, জলিল খান এবং আজিম দেওয়ান প্রধানত মহকুমা সদরে ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিই।’

আন্দোলনের চরম মুহূর্ত সম্পর্কে তিনি বলেন, ’২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ঘটনা জানতে পেরে আমরা পরদিনই মাগুরার সংগঠক নাসিরুল ইসলাম আবু মিয়ার সাথে দেখা করি। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি মিছিল ও সমাবেশ করা হবে। ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালেই সবাই শহরের সেগুনবাগিচায় একত্রিত হই। সেখানে আবু মিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে আমরা মিছিল নিয়ে এগিয়ে চৌরঙ্গী মোড়ে আসতেই পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। অন্যরা নিরাপদ স্থানে সরে গেলেও আমি, জলিল খান এবং চান্দু মিয়া পুলিশের হাতে গ্রেফতার হই। আমাদেরকে পার্শ্ববর্তী জিআরও অফিসে বসিয়ে রাখা হয়। পরে ছাত্রদের বিক্ষোভের চাপে পুলিশ আমাদের ছেড়ে দেয়।’

এছাড়াও সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ইকবাল হলের ছাত্রনেতা মীর্জা শওকত মাগুরায় এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে ভাষা আন্দোলনে সম্পৃক্ত করার জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভা সমাবেশ করতে থাকেন। এছাড়াও ৫৪’ সালে মাগুরার শ্রীপুর থানার রাইচরণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র একে হামিদুজ্জামান এহিয়া শ্রীপুর থানার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ভাষা আন্দেলনের পক্ষে সংঘটিত করতে থাকেন। ওই সময় হামিদুজ্জামান এহিয়াকে বেলুচ আর্মড ফোর্স গ্রেফতার করে। তার উপর অমানুসিক পুলিশি নির্যাতন চালানো হয় বলে ভাষা সৈনিক খান জিয়াউল হক জানান।

এই ভাষা সৈনিক বলেন, ‘জীবনে যা পেয়েছি তা অনেক। তবে একটাই আক্ষেপ, আজও পর্যন্ত ভাষা সংগ্রামীদের কোনও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের মতো কেন ভাষাসংগ্রামীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় না। নতুন প্রজন্মকে ভাষা সৈনিকদের অবদান সম্পর্কে জ্ঞাত করা অত্যন্ত জরুরি ছিল। কারণ এতে করে জাতীয় যে কোনো সংকটে নতুন প্রজন্মও যে কোনও ত্যাগ স্বীকারে উদ্বুদ্ধ হতো।

   

কুকুরের কামড়ে যুবক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে কুকুরের পাল ইজাজুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবককে কামড়ে হত্যা করেছে।

রোববার (১৯ মে) ভোররাতে পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারানিপাড়া নদীর পাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ইজাজুল ইসলাম উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের মৃত সমির উদ্দিনের ছেলে।

নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত ইজাজুল ইসলামের মা বাবা কেউ নেই। সে বিয়ে করেনি। তিনি পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারানিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে এসিআই কোম্পানীর মালামাল এক দোকান থেকে কিনে অন্য দোকানে বিক্রি করতেন। তিনি নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন।

ঘটনার দিন ভোররাতে ভাড়া বাসা থেকে নামাজ পড়ার মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কুকুরের পাল তাকে একা পেয়ে কামড়ে পেটের নাড়িভুড়ি বের করে ফেলে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশ কামড়ে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। এসময় একজন নারী টের পেয়ে লাঠি নিয়ে তাড়া করলে কুকুরের পাল চলে যায়। পরে ওই নারী আশপাশের লোকজনকে ডাকাডাকি করে নিয়ে আসার আগেই ইজাজুল মারা যায়।

নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

জনপ্রিয়তা বাড়ছে গোয়ালন্দ ইউএনও’র গণশুনানি



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজের জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীর সাথে দ্বন্দ্ব রয়েছে হাজেরা বেগমের। অনেক দিন ধরে স্থানীয়ভাবে সমাধান করার চেষ্টা চালালেও কোনো ফল আসেনি। গ্রামের মাতব্বর থেকে শুরু করে স্থানীয় সুধীজনরা সমাধান করতে পারেনি হাজেরা বেগমের সমস্যার। তিনি লোক মারফত জানতে পারেন প্রতি সপ্তাহের একদিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরাসরি সবার সমস্যার কথা শোনেন ও সমাধান করে দেন।

বিষয়টি জানার পরই তিনি দ্বারস্থ হন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গণশুনানিতে। গণশুনানিতে উপস্থিত হয়ে হাজেরা বেগমের সমস্যার কথা নিজে শোনেন ইউএনও। এরপরই তিনি সমাধানের পথ খুলে দেন। হাজেরা বেগমের সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

শুধু হাজেরা বেগমই নয়। হাজেরা বেগমের মতো রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার শত শত মানুষের সমস্যা, অভিযোগ ও আপত্তি গণশুনানিতে শুনে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। তার এই গণশুনানি দিনদিন স্থানীয় নাগরিকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

জানা যায়, প্রতি সপ্তাহের যে কোনো একদিন সেবাপ্রত্যাশী স্থানীয় নাগরিকদের সমস্যা, অভিযোগ ও আপত্তি শুনতে গণশুনানি কার্যক্রম পরিচালনা করতে ইউএনওদের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সপ্তাহের প্রতি বুধবার তিনি তার নিজ অফিস কক্ষে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই গণশুনানি পরিচালনা করে থাকেন।

গণশুনানি পরিচালনার সময় বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের সহায়তায় দ্রুত সেবাপ্রত্যাশী মানুষদের বেশির ভাগের সমস্যার সমাধান তাৎক্ষণিক করে থাকেন। কিছু সমস্যার সমাধান ডকুমেন্ট নির্ভর হওয়ায় সেগুলো সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের দ্রুত সমাধানের নির্দেশনা প্রদান করে থাকেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক সেবাপ্রত্যাশী নাগরিকদের বিভিন্ন সমস্যা, অভিযোগ ও আপত্তি নিয়ে সাপ্তাহিক গণশুনানি শুরু করেছি। প্রতি বুধবার এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেবা প্রত্যাশীদের সমস্যার কথা শুনে তাৎক্ষণিক বেশিরভাগ সমস্যা সমাধান করা হয়। অন্যান্য সমস্যাগুলো দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে থাকেন। গণশুনানির এই কার্যক্রম চলতেই থাকবে।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ২০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ছয়টা থেকে রোববার (১৯ মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৭৩ পিস ইয়াবা, ২ গ্রাম হেরোইন ও ১২ কেজি ৩০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৪টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

ঢাকাসহ ১০ অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১০টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার (১৯ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, কুমিল্লা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাবাসে বলা হয়েছে, দেশের নয়টি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ আগামী ২৪ ঘণ্টায় প্রশমিত হবে। একইসঙ্গে দেশের আটটি বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এছাড়া আগামী ৫ দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

;