‘ভাষা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা মানতে চাইতেন না জ্ঞানীরা’



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অংশগ্রহণের বিষয়টি অনেক জ্ঞানী-গুণী বুদ্ধিজীবী মানতে রাজি হতেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আয়োজিত চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে। কিন্তু অনেক জ্ঞানী-গুণীরা বলার চেষ্টা করেছেন- ‘সে তো জেলে ছিল, সে আবার ভাষা আন্দোলন করবে কীভাবে?’ কিন্তু আমার প্রশ্ন—জেলে তিনি গিয়েছিলেন কেন? তাঁকে জেলে যেতে হয়েছিল ভাষা আন্দোলন শুরু করার কারণেই। সে কারণে তিনি বারবার গ্রেফতার হন। দীর্ঘ কারাবাস তাঁকে করতে হয়।’’

তিনি আরও বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতার অবদানের কথা আমি বারবার বক্তব্যে বলেছি। যখন সবাই অস্বীকার করতো, তখন আমি এটা বেশি করেই বলতাম। আজ মনে হচ্ছে- আমার আর বলার প্রয়োজন নেই। এখন সবই জানতে পারবেন। পাকিস্তানের গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে এ সম্পর্কে অনেক বেশি জানতে পারবেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। জাতির পিতা ভাষা আন্দোলন থেকেই বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে আমরা বিজয় অর্জন করি। স্বাধীন রাষ্ট্র পাই। স্বাধীন জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পাই। আমরা যে চেতনা নিয়ে কাজ করছিলাম, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেই চেতনা মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘রক্তের বিনিময়ে আমরা যে নিজের ভাষায় কথা বলার সুযোগ পেয়েছি, আজ তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছি। আজ কেবল বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশও এ দিবসটি পালন করছে। আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের অন্য ভাষা শিখতে হবে। কিন্তু সেই সঙ্গে মাতৃভাষাও শিখতে হবে।’

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য বর্ণনা করে সরকার প্রধান বলেন, ‘ভাষার অধিকার রক্ষা করা, ভাষাকে সম্মান দেওয়া এবং হারিয়ে যাওয়া ভাষাগুলোকে সংরক্ষণ করার জন্য এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট গড়ে তুলি। আমরা এই ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার কাজ শুরু করি। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর এর কাজ বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে আবারও ক্ষমতায় এসে শুরু করি। এর কাজ আমরা অব্যাহত রেখেছি। আমাদের লক্ষ্য হলো সারা বিশ্বের হারিয়ে যাওয়া এবং চলমান ভাষাগুলোর নমুনা এখানে সংরক্ষণ করা। গবেষণা করা, ভাষার ইতিহাস সংরক্ষণ করা। এ জন্য ভাষা জাদুঘর তৈরি করা হয়েছে। কোনও ভাষা যাতে হারিয়ে না যায়, তার জন্য এই ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি।’

পরে অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক প্রদান করা হয়। জাতীয় পর্যায়ে মাতৃভাষা পদক পেয়েছেন জাতীয় অধ্যাপক ভাষাবিজ্ঞানী ও নজরুল গবেষক রফিকুল ইসলাম ও বেসরকারি সংগঠন খাগড়াছড়ির জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ পদক পান উজবেকিস্তানের গবেষক ইসমাইলভ গুলম মিরজায়েভিচ। এছাড়া অনুষ্ঠানে নৃগোষ্ঠীর ভাষা নিয়ে কাজ করা বলিভিয়ার অনলাইনভিত্তিক উদ্যোগ অ্যাকটিভিজমো লেংকুয়াসকে বাংলাদেশ সরকারের সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি পদক তুলে দেন।

 

   

গরিব জীর্ণশীর্ণ বাসগুলো দেখলে লজ্জা লাগে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুমুখী উদ্যোগের ফসল এই মেট্রোরেল। বাংলাদেশকে স্মার্ট করতে হলে ঢাকাকে স্মার্ট করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ঢাকা মেট্রোরেল এর ব্রান্ডিং সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এখান থেকে বের হয়ে যখন রাস্তায় যাবো তখন গরিব গরিব চেহারার জীর্ণশীর্ণ বাসগুলো দেখা যাবে। এসব দেখলে আসলেই লজ্জা লাগে। আমাদের এতো সুন্দর মেট্রোরেলের যুগে এমন জরাজীর্ণ বাসগুলো কি মালিক সমিতির লোকেরা দেখেন না? তারা কি বিদেশ যান না?

;

বগুড়ায় স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় শ্বশুরবাড়িতে ফয়জুল্লাহ আকন্দ (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম (৫০) ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের (৪০) স্ত্রী আনু বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ মে) রাতে সোনাতলা উপজেলার শিহিপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে।

নিহত ফয়জুল্লাহ আকন্দ সোনাতলা উপজেলার মধ্য দিঘলকান্দি গ্রামের মৃত সমসের আকন্দের ছেলে। পেশায় তিনি ছিলেন কৃষক।

রোববার (১৯ মে) সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ফয়জুল্লাহ আকন্দের স্ত্রী আমেনা বেগম তার ছেলের বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে কয়েকদিন আগে বাবার বাড়ি শিহিপুর গ্রামে চলে যান।

শনিবার সন্ধ্যায় ফয়জুল্লাহ আকন্দ স্ত্রীকে বাড়িতে আনার জন্য শিহিপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি ফেরা নিয়ে ফয়জুল্লাহের সঙ্গে তার স্ত্রী আমেনা বেগম ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগমের ধস্তাধস্তি হয়। এতে ফয়জুল্লাহ মাটিতে পড়ে মারা যান।

এসময় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ না থাকায় ভয় পেয়ে যান আমেনা বেগম ও তার ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগম। তারা দু'জন পরামর্শ করে মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য ব্লেড দিয়ে ফয়জুল্লাহের গলা সামান্য কেটে দেন।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ফয়জুল্লাহের লাশ হেফাজতে নিয়ে আমেনা বেগম ও আনু বেগমকে আটক করে।

ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা দেখে মনে হয়েছে, আমেনা বেগম স্বামীর বাড়ি যেতে না চাইলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ফয়জুল্লাহের পরিবার জানিয়েছে, তিনি আগে থেকেই হৃদরোগী ছিলেন। মাটিতে পড়ে মারা যাওয়ার পর ব্লেড দিয়ে গলায় সামান্য কেটে দেওয়া হয়।

ওসি আরো বলেন, গলায় যে যতটুকু কাটা দাগ রয়েছে, তাতে গলা কাটার কারণে তার মৃত্যু হয়নি। তারপরেও গলায় কাটা দাগ থাকায় নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে হত্যা মামলা গ্রহণ করা হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

;

লাঠি হাতে মিরপুরে সড়ক অবরোধ করে অটোচালকদের বিক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে মিরপুরে লাঠিসোটা নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন চালকেরা।

রোববার (১৯ মে) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মিরপুর সাড়ে ১১ ও মিরপুর ১০ নম্বর সড়কে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে মিরপুর ১০, ১১ ও ১২ নম্বরগামী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

সরেজমিনে মিরপুর সাড়ে ১১-তে গিয়ে দেখা যায়, রিকশাচালকরা হাতে লাঠিসোটা নিয়ে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। তারা পূরবী এলাকা দিয়ে কোনো যানবাহন চলতে দিচ্ছেন না। কেউ যানবাহন নিয়ে যেতে চাইলে তাকে ধাওয়া দিচ্ছেন।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর-১১, মিরপুর-১, আগারগাঁও ও কালশী এলাকায় কয়েকশ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

বিক্ষোভকারীরা যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, রিকশাচালকদের বিক্ষোভের কারণে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

;

উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে মেট্রোরেলের ৫টি স্টেশন: এমএএন সিদ্দিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ৭.৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রুটে নতুন ৫টি স্টেশন হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ঢাকা মেট্রোরেলের ব্র্যান্ডিং সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে, রাজধানীর দ্রুতগামী গণপরিবহন হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬। বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ শেষে যাত্রীরা চলাচল করছেন এ রুটে।

এই রুটে বর্তমানে মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত কাজ সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

এমএএন সিদ্দিক বলেন, উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এই রুটের কাজ শেষ হলে মেট্রোরেল অতিরিক্ত ৫ লাখ যাত্রী বহন করতে পারবে। উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এ রুটের দৈর্ঘ্য হবে ৭.৫ কিলোমিটার। এ রুটে হবে নতুন ৫টি স্টেশন। এগুলো হলো- দিয়াবাড়ী বাজার, সোনারগাঁও জনপদ রোড পূর্ব, পশ্চিম, টঙ্গী বাজার ও টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন।

এসময় এমআরটি রুট অ্যালাইনমেন্ট বরাবর যানজট কমে গেছে দাবি করেন মেট্রোরেল এমডি।

;