গোমতীর পর চরও গিলে খাচ্ছে মাটিখেকোরা



আবদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুমিল্লার সদরের গোমতী নদীর সামারচর এলাকায় কৃষি জমির মাটি লোপাট হয়ে গেছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

কুমিল্লার সদরের গোমতী নদীর সামারচর এলাকায় কৃষি জমির মাটি লোপাট হয়ে গেছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েক বছর আগেও গোমতী নদীর এই চরজুড়ে বিভিন্ন সবজির চাষ হতো। পুরো চরজুড়ে থাকতো সবুজের হাসি। কিন্তু এখন পুরো চরটি ক্ষতবিক্ষত ভেকু ও কোদালের আঘাতে। ওরা আগে পুরো নদীটাই খেয়েছে। এরপরও ওদের পেট ভরেনি। এখন তাই গিলে খাচ্ছে গোমতীর চর। কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লা সদর উপজেলার গোমতী নদীর সামারচর এলাকায় জনি মিয়া।

সরেজমিনে নদী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লাগামহীনভাবে লোপাট হচ্ছে গোমতী নদীর বালু আর নদীর চরের কৃষি জমির মাটি। পুরো এলাকাটি দেখলে মনে হবে, যেনো বালু উত্তোলন আর মাটি কাটার প্রতিযোগীতা চলছে। প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই প্রভাবশালীরা নদীর বালু আর চরের মাটি গিলে খাচ্ছেন। বালু-মাটি খেকোদের আগে ‘খাদ্য’ ছিলো শুধুই নদীর বালু। কিন্তু নদী থেকে পর্যাপ্ত বালু উত্তোলন করতে না পারায় নিজেদের ব্যবসার জন্য নদীর চর ও নদী সংলগ্ন কৃষি জমিতে ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলছে তারা। আবার কোথাও কোথাও ভেকু ও কোদাল দিয়ে লোপাট হচ্ছে চরের কৃষি জমির মাটি। এতে গোমতী নদীর চর এলাকায় প্রতিদিনই কমছে কৃষি জমির পরিমাণ। অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে গোমতী নদীর দুই পাশের প্রতিরক্ষা বাঁধও দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়েছে। বর্ষার সময় নদীতে জোয়ার আসলেই বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা করছে স্থানীয়রা।

কুমিল্লার সদরের গোমতী নদীর সামারচর এলাকায় কৃষি জমির মাটি লোপাট হয়ে গেছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

এদিকে, বালু ও মাটি খেকোরা প্রশাসনকেও পাত্তা দিচ্ছে না। প্রায় দুই মাস ধরে নদীর বিভিন্ন অংশে জেলা প্রশাসনের কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলেও একদিনের জন্য থামেনি অবৈধ বালু উত্তোলন বা চরের মাটি কাটা। সর্বশেষ নদী ও নদীর চর রায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে অভিযানে নামে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যরাও। কিন্তু এরপরও থামছে না চরের মাটি কাটা। আর কৃষকরা এসবের প্রতিবাদ করলেই বালু-মাটি খেকোরা তাদের উপর শুরু করে নির্যাতন। এজন্য এখন ভয়ে কোনো মানুষই মুখ খুলতে চায় না।

জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গোমতী নদীর সদর উপজেলার অংশে সরকারিভাবে বৈধ ৬টি বালুমহাল রয়েছে। এর ৫টি এবার ইজারা পেয়েছেন মাহাবুবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। আরেকটি পেয়েছেন আরফানুল হক রিফাত। তবে এ উপজেলার পুরো নদী এলাকায় গেলে দেখা যায়, অন্তত ৪০টি স্থান থেকে অবাধে চলছে বালু ও চরের মাটি কাটার প্রতিযোগীতা।

কুমিল্লার সদরের গোমতী নদীর সামারচর এলাকায় কৃষি জমির মাটি লোপাট হয়ে গেছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

সদর উপজেলা অংশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, অর্ধশতাধিক ড্রেজার ও ট্রলার দিয়ে চলছে বালু উত্তোলন। এসব বালু উত্তোলনের পর স্তুপ করে রাখা হয়। পরে এগুলো ট্রাকযোগ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু মাত্র সদর উপজেলার অংশেই নয়। জেলার বুড়িচং, দেবিদ্বারসহ যেসব উপজেলার উপর দিয়ে গোমতী নদী বয়ে গেছে, সেখানেই চলছে একই কাজ। এতে করে দিন দিন যেনো অভিভাবকহীন হয়ে পড়ছে গোমতী। আর বালু-মাটি খেকোরা হয়ে পড়ছে অপ্রতিরোধ্য এবং নিয়ন্ত্রণহীন।

কুমিল্লার সদর উপজেলার গোমতী নদীর সংরাইশ, টিক্কারচর, অরণ্যপুর, ঝাকুনিপাড়া, শালধর পাঁচথুবী, জালুয়াপাড়া, বানাশুয়া, গোলাবাড়িসহ বিভিন্ন এলকা ঘুরে দেখা যায়, নদী আর চরে যেনো বালু-মাটি উত্তোলনের প্রতিযোগীতা চলছে। যে যার মতো করে নদীর বালু ও চরের মাটি লোপাট করছেন। এসব এলাকায় নদীর চর ও কৃষি জমির বেশিরভাগই বালু খেকোদের দখলে।অরণ্যপুর এলাকার কৃষক মনিরুল হক, সংরাইশ এলাকার আবদুল মজিদসহ বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, কৃষি জমিগুলো এখন শুধু নামেই আছে, বাস্তবে নেই। বালু আর মাটি খেকোরা সব শেষ করে দিয়েছে। তারা বলে এগুলো নাকি সরকার থেকে ইজারা নিয়েছে। এখন মানুষ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না। কারণ কথা বললেই শুরু হবে নির্যাতন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), কুমিল্লার নির্বাহী প্রকোশলী মো.আবদুল লতিফ বলেন, গোমতী নদীর বিভিন্ন অংশের বালুমহাল জেলা প্রশাসন ইজারা দিয়ে থাকে। এখন কোন শর্তে এসব ইজারা দেওয়া হয়েছে, সেটা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবেন।

কুমিল্লার সদরের গোমতী নদীর সামারচর এলাকায় কৃষি জমির মাটি লোপাট হয়ে গেছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

তবে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.আবু সাঈদ বলেন, জেলা প্রশাসন মাত্র ৬টি স্থানে সরকারিভাবে বালুমহাল ইজারা দিয়েছে, কোনো মাটিমহাল ইজারা দেয়নি। আর বৈধ বালুমহালের ইজারাদাররা শুধুমাত্র নদীর প্রভাবমান মধ্যখান থেকে বালু উত্তোলন করতে পারবেন। চরের মাটিতো দূরের কথা, নদীর পাড় সংলগ্ন স্থান থেকেও বালু তোলা অবৈধ।

তিনি আরও বলেন, এখন বিভিন্ন স্থানে নদীর সঙ্গে চরের জমিগুলোও শেষ করে ফেলতে চাইছে বালু-মাটি খেকোরা। তবে এসব বালু আর মাটিদস্যুরা যতোই প্রভাবশালী হোক না কেনো, আমরা তাদের ছাড় দেবো না। আমরা নদী ও চরের কৃষি জমি রক্ষায় গত কয়েক মাস ধরে একের পর এক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা অভিযানকালে যেখানে অবৈধভাবে মাটি-বালু উত্তোলন দেখছি, সেখানেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। মাটি-বালুদস্যুদের বিরুদ্ধে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

   

আসন্ন বাজেটে তামাক পণ্যের দাম বৃদ্ধির দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ (৩৫.৩ শতাংশ) মানুষ তামাক সেবন করেন। পাশাপাশি প্রায় ১৫ লাখ মানুষ তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এবং এসব রোগের চিকিৎসায় সরকারের ব্যয় এ সংক্রান্ত খাত থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব আয়ের তুলনায় অনেক বেশি।

তাই, আসন্ন ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে সব ধরনের তামাক পণ্যের ওপর কার্যকর করারোপের মাধ্যমে দাম বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে ‘ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ’ ও ‘প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশন’।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আসন্ন ২০২৪-'২৫ অর্থবছরের বাজেটে তামাক কর বৃদ্ধির দাবি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ও প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশন-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৩০ হাজার ৫শ ৬০ কোটি টাকা। অথচ একই সময়ে তামাকখাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের (২২ হাজার ৮শ ১০ কোটি টাকা) চেয়ে অনেক বেশি।

তামাক পণ্যের দাম বাড়লে যে এর ব্যবহার কমে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এটি প্রমাণিত। এমতাবস্থায় সিগারেটের নিম্নস্তরের প্রতি ১০ শলাকা প্যাকেটের দাম ৬০ টাকা; মধ্যমস্তরের প্রতি ১০ শলাকা প্যাকেটের দাম ৮০ টাকা; উচ্চস্তরের সিগারেটের প্রতি ১০ শলাকা প্যাকেটের দাম ১শ ৩০ টাকা ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের প্রতি ১০ শলাকা প্যাকেটের দাম ১শ ৭০ টাকা ধার্যের দাবি জানানো হয়।

সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, আসন্ন বাজেটে তাদের প্রস্তাবিত তামাক কর বাস্তবায়ন করা হলে দেশে সিগারেটের ব্যবহার ১৫.১ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ১৩.৮০ শতাংশ হবে। একই সঙ্গে ৫ লাখ ৪০ হাজার ৬শ ৫৬ তরুণ জনগোষ্ঠীর অকালমৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে; যা আগের বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি।

সংবাদ সম্মেলনের প্রধান অতিথি সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, তামাকের ক্ষয়ক্ষতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে তামাকের ব্যবহার নির্মূল করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বির্নিমাণে সংসদ সদস্যরা কাজ করছেন।

তিনি আরো বলেন, কার্যকর কর কাঠামো না থাকায় আমাদের দেশে তামাকের মতো ক্ষতিকর পণ্যটির দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় সস্তা। ফলে, সহজেই সাধারণ মানুষ তামাক সেবন করছেন এবং বিভিন্ন মারণব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই, সিগারেটের মতো তামাকপণ্যের জটিল করপদ্ধতি (স্তরভিত্তিক) বাতিল করে সুনির্দিষ্ট করপদ্ধতি কার্যকর করতে হবে; যাতে সবধরনের তামাকপণ্যের দাম বৃদ্ধি পায় এবং সাধারণ জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নেওয়া যায়।

সভাপতির বক্তব্যে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেন, দেশে ১৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সী নাগরিকদের মধ্যে ১৮ শতাংশ ধূমপান করেন। আবার কর্মক্ষেত্রসহ বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পরোক্ষ ধূপমানের শিকার হন।

বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে তামাকের ক্ষতিকর দিক থেকে রক্ষায় সব ধরনের তামাক পণ্যের দাম বৃদ্ধি করতে হবে। কারণ, তামাক ব্যবহার কমাতে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত একটি পন্থা, কার্যকর কর আরোপ। আমাদের এই প্রস্তাব গ্রহণ করে কার্যকর কর আরোপ করা হলে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে ১০ হাজার কোটি টাকা; যা বিগত বছরের থেকে ২৮ শতাংশ বেশি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ বাঙ্গিসহ বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

;

সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ স্বজনদের হস্তান্তর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙ্গামাটির সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কে দুর্ঘটনায় নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন।

নিহতরা হলেন, গাজীপুরের টঙ্গীর সাগর, একই জেলার কাপাসিয়া উপজেলার অলিউল্লাহ, কিশোরগঞ্জের বাবু, মোহন, জসিম উদ্দিন, এরশাদ, তপু হোসেন, ইয়াছিন ও নয়ন।

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার জানান, নিহতদের স্বজন কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং মরদেহ পরিবহনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে স্থানীয় প্রশাসন থেকে দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে এবং আহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে রাঙ্গামাটির সাজেক-উদয়পুর সীমান্ত সড়কের কাজ শেষে ফেরার পথে নব্বই ডিগ্রি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকআপ খাদে পড়ে যায়। এতে পিকআপে থাকা ৯ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের হাতিয়ার দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষতা উন্নয়ন ও সবাের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে হাতিয়ার বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এ লক্ষ্যে বিস্তৃত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত ‘গ্লোবাল স্কিলস ফোরাম’ এর আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সব উন্নয়ন নীতির মূলে রয়েছে সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত কাজের সুযোগ সৃষ্টির প্রয়াস। সরকার সাধারণ শিক্ষার গুণগত উৎকর্ষের পাশাপাশি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে সাধারণ শিক্ষার পাঠ্যক্রমে জীবন ও জীবিকা সংক্রান্ত পাঠ এবং প্রয়োজনীয় জীবন অভিজ্ঞতার পাঠ সন্নিবেশিত হয়েছে। তাছাড়া কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও মান উন্নয়নে সরকার বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।

শিক্ষামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিক বিনিয়োগের ফলে স্বাক্ষরতার হার ৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে জানান। সাধারণ শিক্ষার ন্যায় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায়ও মেয়েদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে তিনি জানান। বর্তমানে স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মেয়েদের হার ছেলেদের অংশগ্রহণের হারকে ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্ত্রী জানান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবো সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপসমূহের ফলে দক্ষতা উন্নয়নে গুণগত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বলে জানান। মহাপরিচালক হোংবো নারী শিক্ষার প্রসার ও মান বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন সরকার বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ ও দেশজ বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানমুখী বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতের উন্নয়নে কাজ করছে তেমনি মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন ও নতুন নতুন দক্ষতা তৈরিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ লক্ষ্যে সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে অর্থনৈতিক সেক্টরগুলোর চাহিদা অনুযায়ী ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।

গ্লোবাল স্কিলস ফোরামের অংশ হিসেবে আয়োজিত এ প্যানেল আলোচনায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশের দক্ষতা উন্নয়ন ব্যবস্থার পরিবর্তনে বাস্তবায়িত প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরা হয়। আলোচনায় বাংলাদেশ এমপ্লয়ারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সাকি রিজওয়ানা, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ছাড়াও জেনেভায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা এ প্রকল্পের সাফল্যের ক্ষেত্রে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানান এবং এ প্রকল্প অন্যান্য দেশের দক্ষতা উন্নয়ন প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন।

;

মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতার মৃত্যুদণ্ড



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতার মৃত্যুদণ্ড

মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতার মৃত্যুদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় পিতাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৪ এর বিচারক শাহরিয়ার কবির এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রায় ঘোষণার আগে আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর আসামিকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী বাবার সঙ্গে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায় বসবাস করত। কিশোরীর মা বিদেশে থাকতেন।

২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাসায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার বাবা। এই ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পরবর্তীতে আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর আসামি মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।

রায় ঘোষণার আগে মামলায় ছয় জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত।

;