ফেব্রুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনা ৪০৬টি, নিহত ৫১৭

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চার্ট

চার্ট

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে ৪০৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫১৭ জন নিহত এবং ৬৫৯ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে ৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ছয় জন নিহত, ৫৫ জন আহত হন। ১৩টি রেল দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং চার জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (০৩ মার্চ) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, নিহতের মধ্যে ৯৭ শতাংশ নারী ও ৬৮ শতাংশ শিশু।

বিজ্ঞাপন

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজপোর্টাল এবং ইলেক্টনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

১৫৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৭১ জন, যা মোট নিহতের ৩৩.০৭ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৮.৪২ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১২৭ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২৪.৫৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৬ জন, অর্থাৎ ১৪.৭০ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৩৮টি (৩৪%) জাতীয় মহাসড়কে, ১২২টি (৩০.০৪%) আঞ্চলিক সড়কে, ৯৫টি (২৩.৩৯%) গ্রামীণ সড়কে, ৪৪টি (১০.৮৩%) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৭টি (১.৭২%) সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনাসমূহের ৭৯টি (১৯.৪৫%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪২টি (৩৪.৯৭%) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১২৩টি (৩০.২৯%) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৪৯টি (১২.০৬%) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা ও ১৩টি (৩.২০%) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

সংগঠনটির পর্যবেক্ষণ বলছে, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বেপরোয়াভাবে বাড়ছে। গত জানুয়ারি মাসে ৪২৭টি দুর্ঘটনায় ৪৮৪ জন নিহত হয়েছিল। গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছিল ১৫.৬১ জন। ফেব্রুয়ারিতে প্রতিদিন নিহত হয়েছে গড়ে ১৮.৪৬ জন। এই হিসেবে ফেব্রুয়ারিতে প্রাণহানি বৃদ্ধির হার ১৮.২৬ শতাংশ।

তাছাড়া, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রায় সবার বয়স ১৩ থেকে ৪০ বয়সের মধ্যে। ৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬ জন যুবক নিহত হয়েছে, ২ জন গুরুতর আহত। অর্থাৎ প্রতিটি মোটরসাইকেলে ৩ জন করে আরোহী ছিল। সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে অজ্ঞতা, অবহেলা এবং ট্রাফিক আইনের প্রয়োগহীনতা এর প্রধান কারণ। দেশের কলুষিত রাজনীতি বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালনায় উৎসাহিত করছে। মোটরসাইকেল ক্রয় ও চালনার ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ এবং নিয়মিত মনিটরিং নিশ্চিত করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। এই আতঙ্কজনক প্রেক্ষাপটে সরকার মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফিস কমানো এবং সিসি বা অশ্বশক্তি সীমা উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বৃদ্ধি করবে। বিষয়টি সরকারের ভেবে দেখা উচিত।