চুনারুঘাটের মহুরী ছড়ায় বালু নিলামে অনিয়ম
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের মুহুরী ছড়ায় জব্ধকৃত ১ লাখ ঘনফুট বালু নিলামে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কয়েকবার নিলাম দিয়ে সর্বশেষ ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯ লাখ টাকায় ইজারা নেন জিতু মিয়া নামে এক ব্যাক্তি। ১০ দিনের মধ্যে ইজারাকৃত বালু অপসারণ করার সিদ্ধান্ত দেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) মিল্টন চন্দ্র পাল। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ইজারা পাওয়ার ৩০ দিনেও কার্য্যাদেশ নেননি জিতু মিয়া।
কার্য্যাদেশ না নিয়েই অবৈধভাবে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বালু নিয়ে যাওয়ার সময় (১৬ মার্চ) মঙ্গলবার এলাকাবাসী ১০/১২ টি বালুর ট্রাক্টর আটক করেন এবং স্থানীয় সংবাদকর্মীদের খবর দিলে তারা পুরো বিষয়টি অবলোকন করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুমায়ূন কবীর বলেন, ১৮ মার্চ থেকে ২৭ মার্চের মধ্যে বালি অপসারণ বা নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি অনবরত বালু নিয়ে যাচ্ছেন, লোকজন ট্রাক্টর আটকিয়ে আমাকে ফোন দিলে আমি বিষয়টি মিমাংসার কথা বলে উভয়কে সান্ত্বনা দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি।
বালুর ইজারাদার জিতু মিয়া বলেন, রাস্তা না থাকায় আমি বালি নিতে পারছি না। টাকা জমা দিয়েছি, কার্য্যাদেশ পেলে নিয়ে যাব।
এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, প্রশাসনের যোগসাজশ ছাড়া এভাবে ১০ দিন সময় ৩১ দিন বাড়ানো কি সম্ভব। ইজারাদার ও প্রশাসন মিলেই অনিয়ম করা হয়েছে। তারা বিষয়টি নিয়ে দুদকে অভিযোগের চেষ্টা করছেন।
সহকারী কমিশনার ভুমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মোবাইলে একাধিক বার ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেন নি। তবে জেলা প্রশাসক বরাবর বালু নেয়ার ভিডিওটি পেশ করেছেন অনেকেই।
স্থানীয় একজন সরকার দলীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েকজন সরকারি অফিসার ইজারাদার জিতু মিয়ার কাছ থেকে একটি সরকারি প্রকল্পে ১৮০ ট্রাক্ট্রর বালু নিয়েছেন, তাই ক্ষতিপূরণ হিসাবে তাকে এই বালু দিয়ে ইজারা দিয়েছেন।
সারা জেলায় সিলিকাবালু ইজারা যখন বন্ধ ঠিক তখন এই জব্ধকৃত এক লাখ ঘনফুট বালু নিয়ে বালুসমাতি বা মাতামাতি রহস্যাবৃত।