মহাসড়কে গণপরিবহনের বিকল্প ট্রাক ও পিকআপ



মহিউদ্দিন আহমেদ
মহাসড়কে গণপরিবহনের বিকল্প ট্রাক ও পিকআপ

মহাসড়কে গণপরিবহনের বিকল্প ট্রাক ও পিকআপ

  • Font increase
  • Font Decrease

নানা বিধি নিষেধ থাকলেও ঈদের আগের দিন পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা ছেড়েছে বহু সংখ্যক মানুষ। আর এখন ঈদ গত হওয়ায় সেই সব মানুষ আবার ফিরতে শুরু করেছে ঢাকাতে। যদিও গণপরিবহন এখনো চলছে না কিন্তু তাতে মোটেও কমছে না ঢাকামুখী মানুষের ঢল।

সোমবার (১৭ মে) কুমিল্লা থেকে রাজধানীর সায়েদাবাদ পর্যন্ত সরেজমিন প্রত্যক্ষ করে দেখা যায় ভোর থেকেই ঢাকামুখী মানুষের ভিড় বাড়ছে। সড়কে অল্প কিছু ছোট বাস চললেও সেগুলো যাত্রীর সংখ্যার তুলনায় খুবই অপ্রতুল।

মহাসড়কে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সিএনজি চলছে এলাকা ভিত্তিক ভাবে। সিএনজিগুলো একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত যাত্রী বহন করছে। তবে গণপরিবহনের জায়গা নিয়েছে মূলত ট্রাক ও পিকআপ। মালামাল পরিবহনের এই যান এখন ঢাকামুখী মানুষের একমাত্র ভরসা। কোন কোন ট্রাক পিকআপ কুমিল্লা থেকে যাত্রী নিয়ে কাঁচপুর কিংবা সাইনবোর্ড এসে থামছে। পথে পুলিশি বাঁধা পেলে কখনো তারও আগে যাত্রী নামিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। তবে এর মধ্যে কেউ কেউ সুযোগ পেলে সায়েদাবাদ, গুলিস্তানাও চলে আসছে।

যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা একটি পিকআপ এ আগে থেকে চড়ে বসা একজন যাত্রী মো. মিলনের সাথে কথা হয় বার্তা২৪.কম এর। কেন এভাবে যাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যাওয়া তো লাগবোই। তাই যেমনে পারতাছি যাইতাছি। এই গাড়ি কাঁচপুর পর্যন্ত যাইবো। তারপর ক্যামনে যামু সেইডা আরেক ঝামেলা।'

এদিকে পরিবার নিয়ে দাউদকান্দি ব্রীজের পাশেই গাড়ির অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছেন মোকাব্বর আলী। তিনি কিছুটা উদ্বিগ্ন। ঘণ্টা খানেক হলো দাড়িয়ে আছেন কিন্তু এখনও যাওয়ার জন্য কোন গাড়ি পাননি। পাবেন কিনা সেটাও বুঝতে পারছেন না। কিন্তু আজকে তাকে যেতেই হবে, কারণ কাল থেকে অফিস করতে হবে। শেষ ভরসা হিসেবে তিনি এখন অপেক্ষায় আছেন কোন ট্রাক বা পিকআপ এ পরিবার নিয়ে উঠার সুযোগের।

ভোর থেকেই মহাসড়ক জুড়ে ব্যাপক পরিমাণ প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে ঢাকা ফিরছেন। কেউবা প্রাইভেট কার ভাড়া করেছেন। আবার অনেকে মাইক্রোবাসের মত যানে কয়েকজন মিলে শেয়ারে ঢাকার পথ ধরেছেন। তবে এসব যানে সাধারণ সময়ের তুলনায় বর্তমানে দেড় থেকে দুই গুন পর্যন্ত বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। অনেকে আবার মোটরসাইকেলের মত দুই চাকার যানে পাড়ি দিচ্ছেন দীর্ঘ পথ। স্বপরিবারেও অনেকে ঢাকার পথে রওনা দিয়েছেন মোটরসাইকেলে করে।

কাঁচপুর ব্রীজের কিছুটা আগে পিকআপ থেকে যাত্রী নামাচ্ছিলেন ড্রাইভার শরীফ। তিনি কুমিল্লার চান্দিনা থেকে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন কিন্তু এখান পর্যন্ত আসতে তার গাড়িতে উঠে বসেছে ২৭জন যাত্রী। আরও মানুষ উঠতে চেয়েছে কিন্তু গাড়িতে দাড়ানোর তিল ধারণের জায়গাটুকু না থাকায় আর কাউকে উঠানো সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে ভাড়া উঠানোর কাজ করেছে যাত্রীদের মধ্য থেকেই একজন। যাত্রীদের সবাই খুশি এতটুকু পর্যন্ত আসতে পেরে।

পথে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে শরীফ বার্তা২৪.কম কে বলেন, ‘সমস্যা তো কিছু অইবোই। কিন্তু আইতে তো ওইবো। এক মাস বওয়া আছিলাম। আইজকা প্রতথম কিছু ইনকাম হইলো। আর মাইনষের কত উপকার অইলো বলেন।‘

যে করোনার জন্য এতকিছু, এত পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার, সেই স্বাস্থ্যবিধি মহাসড়কে কিছুটা উপেক্ষিত বলেই দেখা গেছে সরেজমিনে। মানুষজন অনেকটা বাধ্য হয়েই ট্রাক ও পিকআপে গায়ে গাঁ ঘেঁষে দীর্ঘ সময় যাত্রা করছে। তবে মুখে মাস্ক দেখা গেছে বেশির ভাগ যাত্রীর। অনেকের মাস্ক দেখা গেছে তাদের হাতে,পকেটে কিংবা থুতনির নীচে।

   

লঞ্চের ধাক্কায় পন্টুন থেকে পড়ে নিখোঁজ নারী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলায় লঞ্চের ধাক্কায় পন্টুন থেকে মেঘনায় পড়ে সালেহা বেগম (৫৫) নামে এক গৃহবধূ নিখোঁজ হয়েছেন। সালেহা বেগম উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের আব্দুল করিম সিকদারের স্ত্রী।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হিজলা পুরাতন লঞ্চঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন,বরিশাল হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর আলম তিনি জানান, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ভাসানচর স্টেশন থেকে ঢাকাগামী রাজহংস-১০ লঞ্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হিজলা পুরাতন লঞ্চঘাটে ভেড়ানো হয়। যাত্রী সালেহা বেগম পন্টুনের কিনারে দাঁড়ানো ছিলেন। লঞ্চটির ধাক্কায় ঝাঁকুনিতে পন্টুন থেকে নদীতে ছিটকে পড়েন তিনি।

তাঁকে রক্ষায় আরেকজন নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লেও স্রোতের টানে তাঁকে ধরে রাখতে পারেননি। নিখোঁজের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বরিশাল নগর থেকে রওনা হয়েছে। তারা পৌঁছে সন্ধানের কাজ শুরু হবে।

;

সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।

তিনি ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে শনিবার (২৭ এপ্রিল) আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।

আগামীকাল ২৮ এপ্রিল ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’। প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী বলে তিনি মনে করেন।

শেখ হাসিনা জানান, রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য ও দায়িত্ব হল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, সমতা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা। জাতীয় মুক্তির ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রধান লক্ষ্য ছিলো এমন এক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং সুবিচার নিশ্চিত হবে।

সেই লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের সংবিধানে তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, আইনের আশ্রয়-লাভের অধিকার, গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ, বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ, সম্পত্তির অধিকারসহ ১৮টি মৌলিক অধিকার সন্নিবেশিত করেন। কিন্তু জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ড, সামরিক শাসন এবং স্বৈরাচারী, গণবিরোধী ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির ক্ষমতা দখল জনগণের সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নকে বারবার দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে সকল দুঃশাসন ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশকে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে। ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব এবং এ সময়ে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত করব।’

শেখ হাসিনা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে সরকারি কার্যক্রম ও সেবাসমূহ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী। টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় ন্যায়বিচারে অভিগম্যতা নিশ্চিত করার জন্য ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ সারা বাংলাদেশের আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান করছে। সরকারি আইনগত সহায়তাকে আরো টেকসই, উদ্ভাবনী, জনবান্ধব এবং পক্ষদের আইনগত বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ আইনগত পরামর্শ সেবা দিয়ে মামলাজট নিরসনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ‘আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য, শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নে সকলের জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করার জন্য আইন ও বিচার বিভাগ ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ এবং সর্বোপরি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। সকলের সমন্বিত উদ্যোগেই অচিরেই সুশাসন নিশ্চিত করে আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করতে সক্ষম হব।’

শেখ হাসিনা ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’র সার্বিক সাফল্য এবং এ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেন।

;

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকল্পে দেশীয় ও বৈশ্বিক শ্রমমান অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি অনুশীলনকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলাও অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্য অর্জনে তিনি সরকার, মালিক ও শ্রমিকসহ সকল উন্নয়ন অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে প্রদত্ত শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক বাণীতে আহ্বান জানান।

আগামীকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’। দেশব্যাপী পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবছরও ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষ্যে বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘সুস্থ শ্রমিক, শোভন কর্মপরিবেশ: গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধি শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু মেহনতি, শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা’র (আইএলও) সদস্যপদ লাভ করে। একই বছর তিনি (বঙ্গবন্ধু) শ্রমনীতি ঘোষণা করেন এবং আইএলও’র ৫টি মৌলিক কনভেনশনসহ মোট ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করেন।

রাষ্ট্রপতি জানান, কলকারখানার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত নিরাপত্তা ও আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের পাশাপাশি সকল শিল্প মালিকের নৈতিক দায়িত্ব। সরকার দেশের সকল খাতের শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানাবিধ কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬’ এবং ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ সকল কল্যাণমুখী কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন ও শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য শোভন ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের বিকল্প নেই। বিগত এক দশকে দেশে শিল্পকারখানার সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির সাথে অভিযোজন করার লক্ষ্যে সরকার-মালিক-শ্রমিকের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের উদ্যোগ নিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে গৃহীত সকল সর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

;

মেধাবী শিশুদেরকে পুরষ্কৃত করেছে বিডি চাইল্ড ট্যালেন্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক সংগঠন বিডি চাইল্ড ট্যালেন্ট ৭৬ জন প্রতিভাবান শিশুশিল্পীকে পুরষ্কার প্রদান করেছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কচি কাচার আসরে বিডি চাইন্ড ট্যালেন্ট বেস্ট চাইল্ড অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এই পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

বিডি চাইল্ড ট্যালেন্টের সাধারণ সম্পাদক বিপ্রজিৎ চন্দ জানান, সারা বাংলাদেশ থেকে ১৫০জন প্রতিভাবান শিশুকে নির্বাচিত করা হয়েছে। সেখান থেকে জনপ্রিয় ও প্রতিভাবান ১০ জন শিশুকে সেরা শিশুশিল্পী, ১৫ জন শিশুকে বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়াও বিডি চাইল্ড ট্যালেন্ট আয়োজিত প্রতিযোগিতায় পুরস্কারপ্রাপ্ত ৭৬ জন প্রতিভাবান শিশুকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাসুদ রানা জানান, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মেধাবী ও অবহেলিত শিশুদের প্রতিভা সবার মাঝে তুলে ধরা'র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ২০১৯ সালের ১লা সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে বিডি চাইল্ড ট্যালেন্ট। এর পাশাপাশি দরিদ্র ও মেধাবী শিশুদেরকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। সামাজিক সচেতনতামূলক তথ্যচিত্র ও নাটক নির্মাণও করা হচ্ছে নিয়মিত।

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে টিবি হাসপাতালের উপ পরিচালক আয়েশা আক্তার বলেন, শিশুদের মেধা বিকাশে অভিভাবকদের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। মেধাভিত্তিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে সরকারকে আরো উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিডি চাইল্ড ট্যালেন্টের সাথে যুক্ত ২০০ এর অধিক শিশু এবং তাদের অভিভাবক সরাসরি অংশগ্রহণ করবেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরীসহ আরো অনেকে।

;