অধ্যাপক ডা.সাহিদা আখতার: একজন মানবিক চিকিৎসকের চিরবিদায়



ড. মতিউর রহমান ও শিশির রেজা
অধ্যাপক ডা.সাহিদা আখতার: একজন মানবিক চিকিৎসকের চিরবিদায়

অধ্যাপক ডা.সাহিদা আখতার: একজন মানবিক চিকিৎসকের চিরবিদায়

  • Font increase
  • Font Decrease

অধ্যাপক ডা. সাহিদা আখতার বাংলাদেশের চিকিৎসাজগতে বিশেষ করে শিশুচিকিৎসার ক্ষেত্রে একজন মানবিক চিকিৎসক হিসেবে অতি পরিচিত মুখ। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তার সব রোগী ও ছাত্রছাত্রীদের মাঝেও ডা.সাহিদা আখতার উৎকর্ষ মানবিক গুণাবলির জন্য সমাদৃত ছিলেন। দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত ১ মে ২০২১ সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ফুলার রোডের বাসায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।

তিনি ১৯৬১ সালে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবারের সবাই তাকে আন্জু বলে ডাকতেন। অধ্যাপক ডা.সাহিদা আখতার ছাত্রজীবনে মেধাবী ছিলেন। শিক্ষা জীবনের প্রতিটি পরীক্ষাতেই তিনি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। এই মানবিক ব্যক্তিত্ব স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে এম.বি.বি.এস ডিগ্রী অর্জন করেন। সাহিদা আখতার এই কলেজের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরবর্তীকালে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস ও সার্জনস থেকে সফলতার সাথে এফ.সি.পি.এস ডিগ্রী লাভ করেন। পরে পেশাগত অনেক উচ্চতর প্রশিক্ষণও গ্রহণ করেন।

তিনি ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক এবং বারডেম জেনারেল হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একজন প্রথিতযশা শিশু বিশেষজ্ঞ হিসেবে সেখানে কর্মরত থেকে অবসরে যান। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কাজ করেছেন তিনি। সেসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল (এসিসট্যান্ট সাজর্ন, ইন সার্ভিস ট্রেইনি), ঢাকা শিশু হাসপাতাল, আই.পি.জি.এম.আর (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়), ডা.কাশেমস ক্লিনিক ও হাসপাতাল, কুষ্টিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (লেডি ডাক্তার), ইত্যাদি।

সাহিদা আখতার ছিলেন বাংলাদেশের একজন অসামান্য বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন শিশু বিশেষজ্ঞ, যিনি বিগত প্রায় তিন দশক যাবত নবজাতক শিশুদের জন্য অক্লান্তভাবে সেবা দিয়ে গেছেন। তিনি ছিলেন এদেশে নিউবর্ন স্ক্রীনিং টেস্ট-এর একজন অন্যতম পথিকৃৎ। নিউবর্ন স্ক্রীনিং হলো জেনোমিক মেডিসিনের একটি অংশ যার মাধ্যমে শিশুর জন্মের পরপরেই নির্দিষ্ট কিছু বংশগত রোগের বিশেষ করে যেগুলোর চিকিৎসা আগে আগে শুরু করলে সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব সেসব রোগের জন্য পরীক্ষা করে দেখা হয়। নিউবর্ন স্ক্রিনিং টেস্টের মধ্যে রয়েছে: টিএসএইচ, ১৭ ওএইচ-পি, জি৬-পিডি, টোটাল গ্যালাকটোজ, পিকেইউ, এমএসইউডি, আইআরটি স্ক্রিনিং, বিটিডি স্ক্রিনিং, ইত্যাদি।

শিশুদের শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ, হাঁপানি, বুকের দুধ খাওয়নোর অনুশীলণ, নবজাতকের প্রয়াজনীয় যত্ন, জন্মের সময় নবজীবন সঞ্চার, উন্নত কার্ডিয়াক লাইফ সাপোর্ট, এইচবিবি (শিশুদের শ্বাস নিতে সহায়তা করা), ইসিডি (প্রাথমিক শৈশব বিকাশ), পিএনডিএ (পেরিনিটাল ডেথ অডিট) সম্পর্কিত নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রভৃতি একজন চিকিৎসক হিসেবে তার দক্ষতা বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি এগুলো তার গবেষণার ক্ষেত্রও সমৃদ্ধ করে।

শিশু-বিশেষজ্ঞ ডা. সাহিদা আখতারের চিকিৎসা-বিজ্ঞানে দক্ষতার কারণে তো বটেই, তাকে সবাই মনে রাখবেন একজন “মানবিক-চিকিৎসক” হিসেবে। গত প্রায় তিন দশক ধরে তিনি নিরলস কাজ করে গেছেন নবজাতক-শিশুদের রোগাক্রান্ত মুখে হাসি ফোটাতে। নিয়মিত চিকিৎসা-সেবার পাশাপাশি, নিবিড় বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং স্বাস্থ্য-সেবা বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে ছিলেন সদা সক্রিয়।

শিশুদের ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মাতৃদুগ্ধ পানে মায়েদের উদ্বুদ্ধকরণ সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে ডা. সাহিদা আখতারের রয়েছে বিশেষ অবদান। শিশু-স্বাস্থ্যের নানান বিষয় ছাড়াও একিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন, এন্ডোক্রাইনোলজি এবং জিনোমিক্স-ও ছিল তাঁর আগ্রহের জায়গা।

গতানুগতিক চিকিৎসা সেবা ধারার বাইরে তিনি ছিলেন একজন অনুসন্ধানী-চিকিৎসক। শিশুদেরকে শুধু রোগী হিসেবেই দেখতেন না; দেখতেন একজন মানুষ হিসেবে। সে যে ধর্মেরই হোক, যে জাতেরই হোক, যে পেশারই হোক কিংবা ধনী অথবা গরিব। তার কাছে সবাই ছিল সমান। তিনি একই রোগীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় দিতেন, বুঝার চেষ্টা করতেন তাদের সমস্যা। যতক্ষণ পর্যন্ত শিশুটি ভালো না হতো ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি শিশুটির জন্য তাঁর সর্বশক্তি, শ্রম, মেধা, এমনকি অর্থ দিয়ে তদের পাশে দাঁড়াতেন।

চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি সাহিদা আখতার ছিলেন একজন খ্যাতিমান গবেষক। চিকিৎসা বিষয়ক গবেষণা ব্যতীতও তিনি ছিলেন একজন সচেতন সমাজ গবেষক। ডা. সাহিদা আখতার দেশে এবং দেশের বাইরে যেমন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, উরুগুইয়ে, তাইওয়ান, শ্রীলংকা, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্নদেশে চিকিৎসাশাস্ত্র বিষয়ক বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন এবং মৌলিক গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেছেন।

তিনি ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক। তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের মাধ্যমে এদেশের গরিব-দুঃখী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন-এর নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরাম-এর নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-এর আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ পেরিনেটাল সোসাইটি-এর নিবার্হী পরিষদের নির্বাচিত সদস্য, বাংলাদেশ এ্যাজমা অ্যাসোসিয়েশন-এর আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জনস-এর জীবন সদস্য, ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন-এর জীবন সদস্য, ইয়ং ডায়াবেটিক ওয়েলফেয়ার সোসাইটি-এর জীবন সদস্য। এসব সংগঠনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এদেশের শিশু চিকিৎসাশাস্ত্রকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

ব্যক্তি জীবনে তিনি স্বামী হিসেবে পেয়েছিলেন এদেশের বরেণ্য গবেষক ও অর্থনীতিশাস্ত্রের অধ্যাপক, শোভন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা আবুল বারকাতকে। মৃত্যুর কদিন আগে আবুল বারকাতের সম্প্রতি প্রকাশিত “নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সুযোগ‒ ২০১২ সালে গবেষণায় প্রমাণিত‒ ২০২১ সালে দৃশ্যমান বাস্তবতা” বইটি সাহিদা আখতারকে উৎসর্গ করেছেন। উৎসর্গে অধ্যাপক বারকাত লিখেছেন,“আমার জ্ঞানানুসন্ধান কাজে অনুপ্রেরণার উৎস আমার সহধর্মিণী অধ্যাপক ডা. সাহিদা আখতারকে”।

তাদের তিন সুযোগ্য কন্যা--অরণি বারকাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট’স ডক্টরাল স্কলার এ্যাওয়ার্ড নিয়ে পিএইচডি গবেষণারত, আনোখি বারকাত- ভারতের চেন্নাইয়ে প্রখ্যাত সুরকার এ আর রহমান প্রতিষ্ঠিত কে এম মিউজিক কনজারভেটরিতে অর্নাসে অধ্যয়নরত এবং অবন্তি বারকাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী।

প্রিয় মানুষের চলে যাওয়া সবসময়ই কষ্টের। এই প্রিয় মানুষটির অকাল মৃত্যুতে অনেকেই নীরবে-নিভৃতে অশ্রুসজল নয়নে সময় পার করছেন। করোনা মহামারিকালেও শতশত মানুষ তার জানাযায় অংশগ্রহণ করেছেন। অধ্যাপক ডা. সাহিদা আখতারের অকাল মৃত্যুতে তার নিকট চিকিৎসাধীন অগণিত রোগী, ছাত্রছাত্রী, শুভ্যানুধায়ি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গভীর শোক প্রকাশ, তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

ডা. সাহিদা আখতারের অকাল মৃত্যুতে বাংলাদেশ হারিয়েছে একজন মানবিক চিৎিসককে। তার সদা-হাস্যোজ্জ্বল মুখ, মানবিকতা, জীবনের সবক্ষেত্রে মূল্যবোধের চর্চা, অনবদ্য অতিথিপরায়ণতা এবং অক্লান্ত মানবিক-চিকিৎসাসেবার জন্য মানুষ তাঁকে স্মরণ করবে পরম শ্রদ্ধায়। আমরা এই দরদী চিকিৎসকের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।

   

তীব্র গরমের সঙ্গে আছে অস্বস্তিভাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষ। এমন অবস্থায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তবে অপরিবর্তিত থাকবে রাতের তাপমাত্রা।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

বজলুর রহমান জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

;

ডিএমপির ১০ থানায় কিশোর গ্যাং বেশি: ডিএমপি কমিশনার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, ঢাকার ৫০টি থানা এলাকার মধ্যে ১০টি থানা এলাকায় এসব কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ লক্ষ্য করা যায়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি'র আয়োজনে 'কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে 'ছায়া সংসদ' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

তিনি বলেন, আজকের কিশোর আগামীদিনের যুবক। তারাই আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি 'কিশোর গ্যাং'।

আজকের কিশোর, তরুণরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এজন্য তাদেরকে নিয়ে 'কিশোর গ্যাং' শব্দ বলতে চাই না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও পুলিশ সদস্যরা কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। পরিবার থেকে মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষক।

মোবাইলের দুটি দিক উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, একটি নেতিবাচক অন্যটি ইতিবাচক। একটি মোবাইল একটি লাইব্রেরি, একটি জ্ঞান ভাণ্ডার। মোবাইলের পজিটিভ দিক শিক্ষার্থীরা যেন ব্যবহার করে সেই শিক্ষাটা অভিভাবকদের দিতে হবে।

খেলাধুলার জায়গার কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা কম। মাঠ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো খেলাধুলার মাঠের বিষয়ে কাজ করতে পারে।

কিশোর গ্যাংয়ের গড ফাদারদের তালিকা করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা যারা রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের অদ্ভুত অদ্ভুত নাম রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। যারা মদদদাতা বা গড ফাদার তারা ওইভাবে গড ফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছে বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

টিকটকে অশ্লীল কন্টেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই নেতিবাচক। ইতিমধ্যে এমন টিকটকারদের আমাদের সাইবার টিম আইনের আওতায় এনেছে। পুলিশের সাইবার টিম বিটিআরসির কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা দেওয়া হয় নিয়মিত।

কিশোর অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতি আছে কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কিশোর সংশোধানারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ পুলিশের কাজ নয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনসাধারণের কাজ। জনগণ সোচ্ছার হলে কিশোর গ্যাং কালচার কমে যাবে।

কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত কাউন্সিলদের নাম পত্রিকায় এসেছে। এ বিষয়ে কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, কাউন্সিলদের কিছু অনুসারী রয়েছে যাদের ১৮ বছরের উপরে বয়স। এলাকায় রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে কেউ কেউ কিশোরদের ব্যবহার করছে। সরাসরি কোনো কাউন্সিল কিশোরদের নিয়ে অপরাধ করার জন্য গ্যাং তৈরি করেছে এমন তথ্য আমরা পাইনি ।

কাউন্সিলদের সহযোগী রয়েছেন এমন কেউ কেউ আছেন তারা কিশোরদের নিয়ে চলাচল করেন। এসব কিশোরদের বেশিরভাগই ছিন্নমূল, যারা রাস্তায় কাজ করেন। বেশিরভাগ কিশোরদের বাবা নেই। মা থাকলেও দেখা যায় অন্যের বাসায় কাজ করেন। এসব বিষয়েও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আইনের আওতায় পড়লে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক উপনেতা-পাতিনেতাদের বিভিন্ন সময় থানায় ডেকে শাসানোও হচ্ছে।

সমাজে ভদ্রলোকের সংখ্যা অনেক বেশি জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, তারা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেন অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। ভদ্রলোক মনে করেন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে বিপদে পড়বেন এজন্য সেই ভয়ে তিনি থানায় যান না। এটি সমাজের সবচেয়ে দুর্বলতা এবং নেতিবাচক দিক। যারা সমাজের ভালো মানুষ, শান্তিপ্রিয় মানুষ, তারা যদি ঐক্যবদ্ধ হন তবে অনেক কঠিন কাজই সহজ হয়ে যায়। আমি সেটির আহ্বান জানাই। সমাজে ভালো মানুষ যারা তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িতরা বেশিরভাগই নষ্ট রাজনীতির শিকার। অভিযোগ রয়েছে কিছু কিছু রাজনৈতিক নেতা ও 'বড় ভাই'রা শিশু-কিশোরদের তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করছে। অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। রাজনৈতিক ও ব্যক্তিস্বার্থে অর্থের বিনিময়ে অপরাধ করাচ্ছে। জমিজমা, ঘরবাড়ি দখল করাচ্ছে। আবার পুলিশ আটক করলে তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনছে, প্রয়োজনে জামিনের ব্যবস্থাও করছে। ফলে এসব শিশু কিশোররা কিশোর গ্যাং কালচারে সম্পৃক্ত হয়ে বড় ভাইদের পক্ষে ভাড়ায় খাটছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সর্বস্তরে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ভয়েস রেইস করতে হবে। কিশোর গ্যাংয়ের নেপথ্যের মদদদাতাদের তালিকা করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক জি এম তসলিম, সাংবাদিক জিয়া খান, সাংবাদিক অনিমেষ কর ও সাংবাদিক কাওসার সোহেলী।

;

সরকারি খরচে আইনি সেবা পেয়েছেন ১০ লক্ষাধিক মানুষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০০৯ সাল থেকে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে ১০ লক্ষাধিক মানুষ বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পেয়েছেন। এর মধ্যে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ৬৪৫ কারাবন্দিকে ৬৪টি জেলা কমিটির মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ১৮৭ কোটি ৪৪ লাখ ৬১ হাজার ৬৮৭ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিয়েছে জাতীয় আইনগত সতায়তা সংস্থা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিগ্যাল এইডে আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে মোট ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৬ মামলায়। এর মধ্যে আইনি সহায়তার মাধ্যমে ১ লাখ ৯৪ হাজার ১২২টি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি সেবার মাধ্যমে লিগ্যাল এইডে মামলা নিস্পত্তি হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৯১৩টি। এডিআর এর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৫৮টি মামলায়। এ সময়ের মধ্যে আইনি পরামর্শ সেবা দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৫ হাজার ৯২টি মামলায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৪২৪ জন, দেশের ৬৪টি জেলার লিগ্যার এইড অফিসের মাধ্যমে ৮ লাখ ২ হাজার ৪০৭ জন, ঢাকা ও চট্রগ্রাম শ্রমিক আইনি সহায়তা সেলের মাধ্যমে ২৮ হাজার ৩৩০ জন এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্ধারিত হটলাইন কলসেন্টার ১৬৪৩০ নম্বরে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৯৭ জন বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পেয়েছেন। জাতীয় হেল্পলাইন সৃষ্টির আগে হটলাইনের মাধ্যমে ১৭ হাজার ৩২৮ জনকে সরকারি খরচে আইনি সেবা প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ পালিত হবে। দিবসটি সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করতে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এবং জাতীয় আইনগত সহায়তার সংস্থার যৌথ উদ্যোগে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

সরকার ২০১৩ সালের ২৮ এপ্রিলকে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ ঘোষণা করেন। সকল মানুষের বিচার অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের আইনগত সহায়তা কার্যক্রম প্রচারের মাধ্যমে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এই দিবসটি প্রতিবছর পালন করা হয়। এবার ১২তম বার এ দিবসটি পালিত হচ্ছে।

;

গাছ লাগিয়ে গিনেস বুকে রেকর্ড করতে চায় ছাত্রলীগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ছাত্রলীগের লক্ষ্য এক ঘণ্টার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃক্ষরোপণের রেকর্ড করা। জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনে শামিল হয়ে আমরা গিনেস বুকস অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিতে চাই। 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভোরে সড়কপথে ফেনী হয়ে খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে যাওয়ার পথে ফেনী পৌরসভা চত্বরে জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত পথসভায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পথসভায় অংশ নিয়ে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, দেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামে, মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগ ভূমিকা রেখে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এবার জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভূমিকা রাখতে চায়। এ বৃক্ষরোপণ অভিযানেও ছাত্রলীগ চ্যাম্পিয়ন হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলিষ্ঠ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতি করেন ঠিক একইরকম স্পিডকে ধারণ করে রাজনীতি করব। এটাই আমাদের মৌলিক চাওয়া। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যদি সেই কাজগুলো করতে পারি তাহলে আগামী দিনে আমাদের লক্ষ্যগুলো সহজে অতিক্রম করতে পারব।

ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের যেকোনো প্রয়োজনে সবসময় সোচ্চার থাকবে উল্লেখ করে সাদ্দাম হোসেন বলেন, যারাই এ বাংলাদেশের মানুষের ভোট এবং ভাতের অধিকার নিয়ে নতুন করে ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করবে, আগুন সন্ত্রাস কায়েম, রাজাকারদের রাজনীতি বাংলার মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে এবং দেশের জনগণকে অপমান করে বিদেশিদের ধরে বাংলার ক্ষমতার মসনদে বসার স্বপ্ন দেখবে, তাদের স্বপ্নকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দুঃস্বপ্নে পরিণত করবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে, শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন বিনির্মাণ করার প্রয়োজনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সবসময় সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে।

ফেনী জেলা ছাত্রলীগের প্রশংসা করে সাদ্দাম বলেন, ছাত্রলীগের রাজনীতিতে অনেক ভুলভ্রান্তি, গ্রুপিংসহ নানা ধরনের নেতিবাচক বাস্তবতা রয়েছে। যেগুলোর কারণে আমাদের সংগঠনের যে শক্তি, ঐক্য ও দৃঢ়তা রয়েছে সেই ধাপগুলো অনেক সময় অতিক্রম করতে পারি না। এই নানামুখী নানা নেতিবাচকতার ভিড়ে আপনাদের এমন ঐক্য, দৃঢ়তা ও শৃঙ্খলা সত্যিই ইতিবাচকতার আলো দিয়ে সবাইকে পথ দেখাতে পারে। এ ইউনিট যেভাবে সংগঠনকে সু-সংগঠিত করতে কাজ করছে সেটি সত্যিই মনোমুগ্ধকর। আমরা এটিই চাই।

সাদ্দাম আরও বলেন বলেন, ফেনীর যে ঐতিহ্য রয়েছে এটি সত্যিই আমাদের জন্য আশা জাগানিয়া। আপনাদের পরতে পরতে বীরের ইতিহাস। ফেনীর ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই, সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও বিজয়ের ইতিহাস লেখা রয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই এ ফেনীর গৌরবগাঁথা মাটি থেকে জন্ম নিয়ে আমাদের রাজনীতি, কথা সাহিত্য, পর্বতজয় ও অলিম্পিয়াডে নেতৃত্বে দিবে। আলোকিত মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান হিসেবে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, ফেনী জেলা ছাত্রলীগ হবে ফেনীর সকল আলোকিত তরুণদের সেই প্রতিষ্ঠান। এতো অজস্র নেতাকর্মীর সঙ্গে ভোর দেখতে পারা আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তগুলোর একটি।

এসময় আধুনিক, যুগোপযোগী, স্মার্ট ও শিক্ষার্থীবান্ধব ছাত্ররাজনীতি বিনির্মাণে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের চ্যাম্পিয়ন থেকে ছাত্রসমাজকে পথ দেখাতে সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।

পথসভায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, এতো ভোরে জেলা পর্যায়ে এমন বড় জমায়েত করে ফেনী জেলা ছাত্রলীগ একটি রেকর্ড করেছে। এটির মাধ্যমে ফেনী ছাত্রলীগকে একটি মডেল ইউনিট হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। এ ইউনিট অনেক সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত। আগামীতে একটি ছাত্র সমাবেশের মাধ্যমে আবার এ জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা হবে বলে আশাবাদী।

কেন্দ্রীয় নেতাদের এমন কাছ থেকে দেখতে পেয়ে এবং দিকনির্দেশনা পেয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, দেশের ছাত্র সমাজের দুই আইডল আমাদের মাঝে প্রথমবারের মতো এসেছেন এটি আমাদের জন্য সৌভাগ্য। ফেনী ছাত্রলীগ তাদের বরণ করে নিতে আয়োজনের কমতি রাখেনি। রাতভর অপেক্ষা করেছে, স্লোগান দিয়েছে। সারারাত উৎসবে কাটিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ তপুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুর করিম জাবেদের পরিচালনায় পথসভায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিটের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে পথসভাকে কেন্দ্র করে ফেনী পৌরসভা চত্বরে রাতভর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অপেক্ষায় থাকেন ফেনী জেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন সকল ইউনিটের নেতাকর্মীরা। রাতভর স্লোগানে স্লোগানে শহর মুখরিত করে রাখে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

;