নরসিংদীর বৃহত্তর রায়পুরায় উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝলসে গেছে দুই কিশোরের শরীর। পরে আশঙ্কজনক অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের আশারামপুর বাজারের সমতা সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলার ছাদে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো- আশারামপুর বাজার এলাকার রিকশা চালক তাহের মিয়ার ছেলে নাঈম মিয়া (১৬) ও সৌদি প্রবাসি কাইয়ূম শিকদারের ছেলে আরিফুল শিকদার (১৭)।
প্রত্যক্ষদর্শী সুফিয়া বেগম জানান, তিনি ছাদে ধান শুকানো কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ওই সময় ছাদের এক কোণে আরিফুল ও নাঈম নামে দুই কিশোর দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ একটি বিকট শব্দ হয়। পাশে ফিরে তিনি দেখতে পান ছাদে পাশাপাশি পড়ে রয়েছে তারা।
পরে এগিয়ে গিয়ে ওই দুই কিশোরের জামা ও শরীর পুড়ে যাওয়া দেখতে পান তিনি। আশারামপুর বাজারের সমতা সুপার মার্কেটের ছাদ থেকে পাঁচ মিটার দূরে রয়েছে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইন। তবে কিভাবে ওই লাইন থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে তার ধারণা দিতে পারেননি ওই নারী।
স্থানীয় যুবক মনির হোসেন বলেন, শব্দ শুনে মার্কেটের তৃতীয় তলার ছাদে গিয়ে দেখতে পান আহত নাঈমের শরীরের অর্ধেক অংশ ছাদের ওপর ও বাকি অংশ বাহিরে থাকা অবস্থায় পড়ে আছে। তার পুরো শরীর পুড়ে গেছে। আহত আরিফুলের পুড়ে গেছে বাঁ পাশের হাত ও হাঁটু থেকে পা পর্যন্ত। পরে তাদের উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আহত আরিফুল শিকদারের মা আঁখি নূর জানান, তার ছেলে স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আরিফুলের হাত ও পা থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঝলসে গেছে।
আহত নাঈমের বাবা রিকশা চালক তাহের মিয়া বলেন, তার ছেলে সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে। নাঈমের পুরো শরীর পুড়ে গেছে। ছেলের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান তিনি।
আহত নাঈম বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে আহত নাঈমের স্বজনরা জানান, নাঈমের শরীরিক অবস্থা আশঙ্কাজন।
পলাশতলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, আহত নাঈম শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও পাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত আরিফুল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে চিকিসাধীন বলে জানান তিনি।