দক্ষিণাঞ্চলে ৩-৬ ফুট পানি বাড়ার সম্ভাবনা
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে বরিশাল তথা গোটা দক্ষিণাঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুট বেশি উচ্চতায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় নদীবন্দরে ২ নম্বর সর্তক সংকেত থাকলেও পায়রা সমূদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ সময় এই অঞ্চলে ঝড়ো বাতাস, বজ্রসহ ভারী ও অতিভারী বৃষ্টির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসের সর্বশেষ ১৭ নম্বর বুলেটিনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও বৌদ্ধপূর্ণিমার প্রভাবে বরিশালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৭৮ শতাংশ।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. মাহফুজুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস অতিক্রমকালে পূর্ণিমা থাকায় উপকূলীয় অঞ্চলে জোয়ারের পানি বেড়ে আশেপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
অনেক এলাকাতেই নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ কয়েক ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সর্তকসংকেতের সময় এই সব এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুট বেশি উচ্চতায় জোয়ারে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় ইয়াস অতিক্রমের সময় ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল ও ভোলা জেলা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী ও অতি ভারী বর্ষণসহ ঝড়ো বাতাস হতে পারে বলে আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে বলেও জানান এই পর্যবেক্ষক।