জলে নাকাল রাজধানীবাসী
সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তা। এতে করে যান চলাচলে সৃষ্টি হয়েছে ধীর গতি। বিপাকে পড়েছে অফিসগামী নাগরিক।
মঙ্গলবার (১ জুন) সকালে নগরীর ধানমন্ডি, আজিমপুর, মোহাম্মদপুর, কারওয়ান বাজার, বাড্ডা ও বারিধারার মতো বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার কারণে নাগরিকদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে দেখা গেছে।
রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন শাহরিমা লিজা।
তিনি ভোগান্তির বিষয়ে বলেন, মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বৃষ্টির মধ্যেই বের হই। বাসা থেকে বের হয়ে রিকশা না পেয়ে কিছু পথ হেঁটে বাসে উঠলাম। বাস নামিয়ে দিলো আড়ংয়ের সামনে। এরপর সাতাইশ নাম্বারের বিশাল জলরাশি পেরিয়ে রিকশা করে অফিসে পৌঁছেছি। তুমুল বৃষ্টির কারণে পুরো ভিজে গেছিলাম এখন আধ ভেজা হয়ে অফিস করছি।
ফার্মগেটে শোভন নামে এক পথচারী বলেন, প্রতিবছরই বৃষ্টি হলে রাজধানীতে এমন জলাবদ্ধতা হয়। সাধারণ মানুষ পড়ে ভোগান্তিতে। কিন্তু এই জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। যার মাশুল দিতে হয় আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের। যারা আজ কাজে বের হয়েছেন তাদের প্রত্যেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এদিকে ধানমন্ডির অপেক্ষাকৃত কিছু নিছু এলাকায় রাস্তার পানি বাসা বাড়িতেও প্রবেশ করেছে। নিচ তলার মানুষজন এতে পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। ধানমন্ডি স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার বাড়ির মালিক জামাল উদ্দীন বলেন, সকালের বৃষ্টিতে বাসার নিচ তলায় পানি ঢুকে গিয়েছিলো। সেগুলো এখনো নানাভাবে ছেকে বের করার চেষ্টা করছি। একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের এতটা ভোগান্তিতে পড়তে হয় যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।এসব দেখার কেউ নাই, না কী?
অপরদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার (১ জুন) ভোর ৬টার আগে ২৪ ঘণ্টার ঢাকায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহবৃষ্টি এবং সেইসঙ্গে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।