বিএসআরএম’র কারখানা এখন কেন বন্ধ চান ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ?



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
২০১৮ সালে বিএসআরএম স্টিল মিলের তৃতীয় বিলেট কারখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন

২০১৮ সালে বিএসআরএম স্টিল মিলের তৃতীয় বিলেট কারখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন

  • Font increase
  • Font Decrease

মীরসরাইয়ে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে সুপেয় পানি সংকট। কিছু স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) গভীর নলকূপ বসিয়ে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে এলাকার মানুষ পানি পাচ্ছে না। তাই কোম্পানিটির কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা। যদিও বিএসআরএম তাদের উপর ঢালাওভাবে দোষারোপ করার বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেছে।

এদিকে, বিএসআরএম’র উপর দোষারোপের বিষয়ে উসকানি দিয়ে এলাকাবাসীর দাবিতে সমর্থন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মীরসরাইয়ের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। গত রোববার (৩০ মে) দুপুরে জোরারগঞ্জে বিএসআরএম কারখানার সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি।

সমাবেশে বলেন, ‘এক-দুই বছরের মধ্যে এই কারখানা বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরীতে স্থানান্তর করতে হবে। না হয় জনগণ ফ্যাক্টরি গুঁড়িয়ে দেবে।’

২০১৮ সালে বিএসআরএম স্টিল মিলের তৃতীয় বিলেট কারখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন

কিন্তু, ২০১৮ সালে বিএসআরএম’র কারখানার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নিয়ে এখন সেই কারখানাই বন্ধ করতে বলছেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তার এমন দ্বিমুখী আচরণের কারণে মোশাররফ হোসেনের ‘নীতি-নৈতিকতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

জানা যায়, মীরসরাইয়ের সোনাপাহাড় এলাকায় ২০১৮ সালে বিএসআরএম স্টিল মিলের তৃতীয় বিলেট কারখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তৎকালীন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বিএসআরএম’র সবচেয়ে বড় কারখানাটির উদ্বোধন করেন।

ওই সময়ে কোন ধরনের আপত্তি করেননি তিনি। বরং বিএসআরএম’র কার্যক্রমের ব্যাপক প্রশংসাও করেছিলেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে স্টিলের ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে। স্টিল ছাড়া এখন উন্নয়ন কার্যক্রমের কথা ভাবাই যায় না। এজন্য স্টিল হতে হবে বিশ্বমানের।

সম্প্রতি বিএসআরএম কারখানা বন্ধের দাবিতে আয়োজিত ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন

চট্টগ্রামের মীরসরাই একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এখানে দেশের বৃহৎ বৃহৎ শিল্পগ্রুপের নানা ধরনের শিল্প কারখানা রয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা প্রচুর পরিমানে বিনিয়োগ করে থাকেন এসব শিল্পী প্রতিষ্ঠানে। এমন অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ব্যবসায়ী বিরোধী মনোভাব বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করবে। সেই সঙ্গে বিদেশে বাংলাদেশের বাণিজ্যনীতিও প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে জানান অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।

পানি সংকটের জন্য বিএসআরএমকে দুষলেও প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা বলছেন ভিন্ন কথা।

তারা জানান, পানির স্তর নেমে যাওয়া শুধু মীরসরাইয়ের সমস্যা নয়, এটি সারাদেশের সমস্যা। পানির স্তর স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি নিচে নেমে গেছে, এটি প্রাকৃতিক কারণেও হয়ে থাকতে পারে। গরম বেশি হওয়ায় এটি হচ্ছে। বর্ষা আসলে পানির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

মীরসরাইয়ের পানি সংকটের বিষয়ে বিএসআরএম’র জানায়, বিএসআরএম পানির কোনো সংকট সৃষ্টি করছে না। কেউ যদি এই অভিযোগ দেন তাহলে তারা বিএসআরএম-এর ভালো দেখতে পারেন না। তাছাড়া আরও অনেকেই ডিপ টিউবওয়েল ব্যবহার করে, শুধু বিএসআরএমের নাম কেন আসছে? এর কোনো যৌক্তিকতা থাকতে পারে না।

২০১৮ সালে বিএসআরএম স্টিল মিলের তৃতীয় বিলেট কারখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন

এছাড়া বিএসএআরএম কর্তৃপক্ষ মীরসরাইয়ে পানি সংকটের বিষয়ে সোমবার (৩১ সে) আনুষ্ঠানিভাবে তাদের বক্তব্য জানিয়েছে। বিএসআরএম’র বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো।

বিএসআরএম জানিয়েছে, মীরসরাইয়ে পানির সংকট শীর্ষক সংবাদ তাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিএসআরএম কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হচ্ছে, ১) শিল্প কারখানার জন্য পানি একটি অপরিহার্য উপাদান। মীরসরাইয়ে বিএসআরএমের একাধিক শিল্প কারখানা স্থাপিত হয়েছে এবং সেগুলোর পানির উৎস হিসেবে কয়েকটি ডিপ টিউবওয়েল রয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, সিটি কর্পোরেশনের বাইরে ডিপ টিউবওয়েলের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনাপত্তি পত্রের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও শুধুমাত্র আইনের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল হয়েই আমরা এ ব্যাপারে অনাপত্তিপত্র গ্রহণ করি। ২) আমাদের কারখানাগুলোতে পানি রিসাইক্লিং পদ্ধতি বিরাজমান এবং পানির ব্যবহারেও আমরা অত্যন্ত মিতব্যয়ী। কারখানাগুলোর জন্য ছাড়পত্র গ্রহণের সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন অপরিহার্য ফর্ম পূরণের সময়ে আমরা পানির উৎস হিসেবে ডিপ টিউবওয়েলের উল্লেখ করেছিলাম। উপরন্তু বৃষ্টির পানি বা প্রাকৃতিক ভাবে পানি সংগ্রহের জন্য তিন একর জমির উপর আমাদের পানির রিজার্ভার রয়েছে। উক্ত রিজার্ভারের পানিও রিসাইক্লিং পদ্ধতিতে কারখানায় ব্যবহার হয়।

৩) ডিপ টিউবওয়েল ছাড়াও পানির সম্ভাব্য বিকল্প উৎস হিসেবে ফেনী নদী থেকে পানি আনার ব্যাপারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। পাইপ সংযোজনের ব্যাপারে রেলওয়ে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেলেই দ্রুততম সময়ে কাজ শুরু হবে। বর্তমানে আমরা ফেনী নদী থেকে ওয়াটার বাউজারের মাধ্যমে কলকারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়ার জন্য পানি সংগ্রহ করছি। ৪) অগভীর নলকূপের পানির প্রাপ্যতার কোনো সংকট হয়ে থাকলে তা সাম্প্রতিক খরা, অনাবৃষ্টি ও একই পানির স্তরের কাছাকাছি অসংখ্য অগভীর নলকূপ স্থাপনের কারণেও হতে পারে। সুতরাং ঢালাওভাবে বিএসআরএমের উপর দোষারোপ করা এই সমস্যার সমাধান হতে পারে না। ৫) বিএসআরএম ছাড়াও মীরসরাই-সীতাকুণ্ড এলাকায় অসংখ্য শিল্প-কলকারখানা রয়েছে যেগুলো শুধুমাত্র ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীল। ৬) মীরসরাই উপজেলার আর্থ-সামাজিক ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য বিএসআরএম ভূমিকা রেখে চলেছে। ৭) উপরন্তু বিএসআরএম গ্রুপ অব কোম্পানিজ দেশের স্টিল সেক্টরে সর্বোচ্চ পরিমাণ রাজস্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান যার উপর ভিত্তি করে প্রশাসনিক ও রাজস্ব ব্যয় পরিচালিত হয়। গত অর্থবছরে (বর্ষ ২০১৯-২০) আমরা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে প্রায় ২১০০ কোটির অধিক টাকা জমা দিয়েছি। শুধুমাত্র বিদ্যুৎ বিল বাবদ আমরা প্রতিমাসে গড়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেশি পরিশোধ করে আসছি। বিগত ৬৯ বছরের আমাদের এ বিরামহীন সততার পদচারণা প্রশংসার দাবি রাখে।

বিএসআরএম কর্তৃপক্ষ, নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন প্রক্রিয়া চলমান রাখার নিমিত্তে বরাবরের মতো স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম ও অত্র এলাকার জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করছে।

 

   

ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ২ দিন পর ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁও শহরের মাদ্রাসা পাড়া থেকে নিখোঁজের দুইদিন পর বাড়ির পাশের গলি থেকে নিবির (১২) নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে বাড়ির পাশের গলিতে ছেলের অর্ধগলিত মরদেহটি দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ওঠেন নিবিরের মা। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

নিবির ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মাদ্রাসা পাড়া এলাকার বাসিন্দা ও ওমান প্রবাসী আব্দুস সালাম বাবলুর ছেলে। সে সালান্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- একই এলাকার শিপন আলীর ছেলে আলিফ ও ফজর আলীর ছেলে লিখন।

পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বাড়ি থেকে খেলতে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি নিবির। এ নিয়ে সদর থানায় জিডি, মাইকিং ও ইন্টারনেটে ব্যাপক প্রচার করা হলেও সন্ধান মেলেনি তার।

বৃহস্পতিবার দিনগত মধ্য রাতে (শনিবার, ২০ এপ্রিল) বাড়ির জানালায় বিকট শব্দ করে দুর্বৃত্তরা। ভয়ে কেউ বাড়ি থেকে বাইরে আসেননি। তবে সকালে বাড়ির পাশের গলিতে নিবিরের নিথর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে চেঁচিয়ে ওঠেন নিবিরের মা। এরপর পরিবারের সবাই সেখানে হাজির হয়। পরে থানায় জানানো হয়।

এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর তদন্তসাপেক্ষে বিস্তারিত জানানো যাবে।

;

হাতিরঝিল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাড্ডা থানার হাতিরঝিল অংশের পুলিশ প্লাজার পেছনের ব্রিজের নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহতের নাম- মো. রবিন (২৯)। পিতা আব্দুল সাত্তার। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায়।

এর আগে, শনিবার সকাল বেলা ব্রিজ ধরে যাওয়ার পথে মরদেহ ভাসতে দেখে পথচারীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে হাতিরঝিল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ঘটনাস্থল বাড্ডা থানাধীন হওয়ায় পরে বাড্ডা থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াসিন গাজী।

তিনি বলেন, হাতিরঝিল থানা পুলিশের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি পুলিশ প্লাজার পেছনে ব্রিজের নিচে একটি মরদেহ ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। পরে বাড্ডা থানার একটি টিম গিয়ে উদ্ধার করে মরদেহটি।

ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে তার নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য পুলিশ কাজ করছে। তবে তার শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।

;

সুন্দরবনে মধু সংগ্রহে গিয়ে বাঘের আক্রমণে নিহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়ে মনিরুজ্জামান বাচ্চু (৪৫) নামে এক মৌয়াল নিহত হয়েছেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের নটাবেকী এলাকায় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি।

তিনি গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত কাশেম গাজীর ছেলে।

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা নুর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান, গত ২ এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে বাচ্চু গাজী সহকর্মী মৌয়ালদের সাথে সুন্দরবনের গহীনে মধু আহরণ করতে যান। সকালে বাঘের আক্রমণে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরই  মধ্যে বনবিভাগের একটি দল তার মরদেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তারা ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।



;

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার সদর উপজেলার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক সাইদুল ইসলাম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক প্রধান আসামি মো. মামুন (২৯) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-২)।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)  রাতে রাজধানীর দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

শিহাব করিম বলেন, ওয়ারেন্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল ভুক্তভোগী সাইদুল ইসলাম সন্ধ্যার দিকে শহরের দত্তবাড়ি থেকে যাত্রী নিয়ে জয়পুরপাড়ায় যান। ভিকটিম রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ফোন করে পরিবারের সদস্যদের বলেন, তিনি যাত্রী নিয়ে জয়পুরপাড়ায় আছেন। এরপর থেকে সাইদুলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে সাইদুল বাড়ি ফিরেননি। পরদিন সকালে শহরের ধরমপুর গড়েরহাট এলাকায় ঈদগাহ মাঠের পাশে একটি বাগানে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়ারা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ভুক্তভোগী সাইদুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি ৫ বছর জেল হাজতে কারাবাসের পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিন নিয়ে নিয়মিত আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়। 

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। বগুড়ার বিজ্ঞ ১ম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত বিচারকার্য শেষে মো. মামুন এর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড সাজা প্রদানপূর্বক গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে আসামিকে গ্রেফতার সংক্রান্তে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এর অধিযাচন পত্রের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-২ আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে শুক্রবার রাজধানী ঢাকার ডিএমপি দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে আসামি মো. মামুনকে গ্রেফতার করে। 

তিনি বলেন, জানা যায় আসামি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের নাম-পরিচয় গোপন করে আত্মগোপনে থাকত। গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;