‘অতীতের মতো ঢাকাবাসীকে গলা পানিতে নাজেহাল হতে হয়নি’

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

জলাবদ্ধতার সম্পূর্ণ সমাধান এখন পর্যন্ত দেওয়া সম্ভব না হলেও অতীতের মতো ঢাকাবাসীকে কোথাও কোমর পানি বা গলা পানিতে নাজেহাল হতে হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেছেন, সাধারণত কোনো স্থানে তিন ঘণ্টার অধিক পানি জমে থাকাকে জলাবদ্ধতা হিসেবে চিত্রিত করা হয়। আজকের বৃষ্টিতে আমরা ৩ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় শতভাগ পানি নিষ্কাশন করতে সক্ষম হয়েছি যদিওবা আমাদের লক্ষ্য হলো ১ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন করা।

বিজ্ঞাপন

বৃষ্টিপাতের কারণে মঙ্গলবার (০১ জুন) সকালে রাজধানীর কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। নগরের এই জলাবদ্ধতা সম্পর্কে এসব কথা বলেন মেয়র।

মেয়র শেখ তাপস বলেন, আপনারা অবগত আছেন যে, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ওয়াসার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর ২ জানুয়ারি হতে জিরানি, মান্ডা, শ্যামপুর, কালুনগর খালসহ এর শাখা-প্রশাখা এবং পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে আমরা বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছি। ইতিমধ্যে এসব খাল ও বক্স কালভার্ট হতে ১ লাখ ৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টনের অধিক বর্জ্য ও ৬ লাখ ৭৯ হাজার মেট্রিক টন পলি অপসারণ করেছি। এছাড়াও ওয়াসার কাছ থেকে বুঝে পাওয়া অচল দুটি পাম্প স্টেশনের তিনটি পাম্প মেশিন সচল করতে সক্ষম হয়েছি এবং বাকি ৩টি সচল করতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও ওয়াসার কাছ থেকে পাওয়া বদ্ধ নর্দমা ও আমাদের উন্মুক্ত নর্দমাগুলো পরিষ্কারের কাজ চলমান রয়েছে এবং এই জুনের মধ্যেই তা শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আজ সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত এই ৩ ঘণ্টায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, বেশ কয়েকটি জায়গায় জলজট হলেও বিগত সময়ের জলজটের পরিমাণ ও স্থান সংখ্যার তুলনায় তা অনেকাংশেই কম। বিগত ৫ মাসে আমাদের গৃহীত কার্যক্রম এবং আজ সকাল থেকে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঠ পর্যায়ে তৎপরতার কারণে বৃষ্টির পানি দ্রুততার সাথে নেমে যায়। সেজন্য আমি আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানাই।

মেয়র আরও বলেন, আমি আগেও বলেছি, আমাদের কার্যক্রমের পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইস গেটগুলো দ্রুত আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হোক। তা এখনো হয়নি। এছাড়া ডিএনডি বাঁধ, হাতির ঝিল প্রকল্প, মেট্রোরেলের কার্যক্রমের ফলে জলাবদ্ধতার সম্পূর্ণ সমাধান এখন পর্যন্ত দেওয়া সম্ভব না হলেও অতীতের মতো ঢাকাবাসীকে কোথাও কোমর পানি বা গলা পানিতে নাজেহাল হতে হয়নি।

জলাবদ্ধতা নিরসনে নিজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, আজকের বৃষ্টিতে যেসব জায়গায় জলজট সৃষ্টি হয়েছে আমরা সেসব স্থানকে আমাদের পরবর্তী কার্যক্রমে প্রাধিকার দেবো এবং আগামী ২ বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতাকে একটি সহনীয় মাত্রায় আনতে সক্ষম হবো বলে আমি বিশ্বাস করি। আমাদের প্রত্যাশা হলো, দীর্ঘমেয়াদে ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেওয়া।