‘নানার ইচ্ছা ছিল গ্রেনেড হামলার বিচার দেখার’



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গ্রেনেড হামলায় নিহত রেজিয়া বেগমের ছেলে। ছবি: বার্তা২৪.কম

গ্রেনেড হামলায় নিহত রেজিয়া বেগমের ছেলে। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘মায়ের হত্যাকারীদের বিচার দেখতে পেয়ে খুব খুশি হয়েছি। কিন্তু নানার খুব ইচ্ছা ছিল আমার মায়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি দেখবে। আজ নানা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন। হয়তো আমাদেরকে জড়িয়ে ধরে ২১ আগস্টের ঘটনার দিনের মতো কান্না করতেন।’

অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের দিন সংঘটিত গ্রেনেড হামলায় নিহত রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার গঙ্গানারায়ণ গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী রেজিয়া বেগমের ছেলে নুরুন্নবী মিয়া।

বুধবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

নুরুন্নবী বলেন, ‘দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে আমরা আজকের দিনটার অপেক্ষায় ছিলাম। আমার মায়ের মৃত্যুতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা কোনোদিনও পূরণ হবার নয়। যারা আমার মাকে হত্যা করেছে, তাদের সাজা দেখতে পেয়ে আমরা আনন্দিত। আমরা দুইভাইসহ পুরো পরিবার আজ অনেক খুশি।’

মনে অনেক দুঃখ জমে আছে, কেউ কথা রাখেননি এমন অভিযোগ তুলে নুরুন্নবী বলেন, ‘আমার মায়ের মৃত্যুর পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রথম দুই বছর ২১ আগস্ট মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে। কিন্তু পরে আর কেউ আমাদের খোঁজ নেননি। শুধু তাই নয়, স্থানীয় ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ থেকেও কোনো প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করা হয়নি।’

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ঘটনাস্থলেই মারা যান রেজিয়া বেগম। মেয়েকে হারিয়ে পাগল বাবা আফাজ উদ্দিন দুই বছর আগে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। বর্তমানে রেজিয়ার ছেলে নুরুন্নবী মিয়া ও হারুন মিয়া চাষাবাদ করে সংসার চালাচ্ছেন।

নুরুন্নবীর দেয়া তথ্য মতে, রেজিয়া বেগম ঢাকার হাজারীবাগ এলাকায় বসবাস করতেন। আগারগাঁওয়ের ভারতীয় দূতাবাসে তিনি চুক্তিভিত্তিক কাজ করতেন। ঢাকা মহানগর হাজারীবাগ আওয়ামী লীগের নেত্রী আয়শা মোকারমের হাত ধরে রেজিয়া রাজনীতিতে নাম লেখান। দীর্ঘ একযুগেরও বেশি সময় ঢাকায় আওয়ামী লীগের মিছিল, মিটিং ও সমাবেশে সব সময় সামনে ছিলেন রেজিয়া। সেই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী জনসভায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে জনসভা চলাকালীন হঠাৎ ভয়াবহ গ্রেনেড বিস্ফোরণে রেজিয়াসহ অনন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরের দিন ২২ আগস্ট নিহত রেজিয়ার পরিবার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঢাকায় গিয়ে লাশ শনাক্ত করে এবং তাকে ঢাকা আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এদিকে হতদরিদ্র রেজিয়ার পরিবারকে ঘটনার পরেই ১ লাখ টাকা এবং ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ লাখ টাকা প্রদান করেন। সেই টাকা দিয়ে জমি ক্রয় ও বন্ধক নিয়ে চাষাবাদ করে সংসার চালাচ্ছেন তারা।

   

কাপ্তাই হ্রদ শুকিয়ে লঞ্চ চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে ৩ লাখ মানুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ হ্রদ হিসেবে পরিচিত রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে ৬ উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের যাত্রীবাহী লঞ্চ যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

এতে করে এ উপজেলাগুলোর প্রায় তিন লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ব্যাঘাত ঘটছে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষিজ পণ্য পরিবহন। এছাড়া ৪২টি লঞ্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫ শতাধিক শ্রমিকের জীবিকায় ধস নেমেছে।

প্রতিবছরই শুষ্ক মৌসুম এলেই হ্রদের এসব চর খননের কথা বলা হলেও আদতে বিষয়টি এখনো পড়ে রয়েছে মন্ত্রণালয়ের ফাইলে।

অনাবৃষ্টি, খরা, তলদেশ ভরাটসহ পানির স্তর অস্বাভাবিক হারে হ্রাস পেয়ে কাপ্তাই হ্রদ এখন প্রায় জীর্ণশীর্ণ জলাশয়ে রূপ নিয়েছে। নৌযান চলাচলের পথে ডুবোচর জেগে ওঠায় অসংখ্য ইউনিয়নে সব ধরনের নৌযান চলাচল ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।

চর জেগে ওঠায় লংগদু, উপজেলা সদর বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়িতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে নৌপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

রাঙামাটি থেকে উপজেলাগুলোতে চলাচল করা লঞ্চগুলোর শ্রমিকেরা বর্তমানে বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন জানিয়ে রাঙামাটি নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দে জানান, হ্রদে পানি শুকিয়ে বিভিন্ন স্থানে জেগে ওঠা চরের কারণে অন্তত ৪২টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে করে প্রায় ৫শ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।

এদিকে, রাঙামাটিতে আসা-যাওয়া করা যাত্রীরা জানান, হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় উপজেলাগুলোর সঙ্গে লঞ্চ যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। এতে ১শ ৫০ টাকার ভাড়া ৭শ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। স্পিডবোটে করে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। এতে করে সাধারণ কৃষক ও খেটে-খাওয়া মানুষজনের অবর্ণনীয় কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।

কাপ্তাই হ্রদ শুকিয়ে যাওয়ায় রাঙামাটির সঙ্গে ৬ উপজেলায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ, ছবি- বার্তা২৪.কম 

এছাড়া এলাকার মানুষ যেমন করে খাদ্য-সামগ্রী নিতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন, তেমনিভাবে সেসব উপজেলা থেকে আনারস, কাঁঠাল, আমের মতো মৌসুমী ফল বাজারে আনতে নানা দুর্ভোগে পড়তে হতে হচ্ছে চাষীদের। কোনো কোনো ক্ষেত্রে খরচ তুলতে না পাড়ায় মৌসুমী ফল বাজারেই আনেন না চাষীরা। ওই সব উপজেলার মানুষজন দ্রুত খনন করে কাপ্তাই হ্রদের গভীরতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

এই সংকট সমাধানে কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিংয়ের দাবি জানিয়ে নৌযান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাত্রী পরিবহন) রাঙামাটি জোনের সভাপতি মঈনউদ্দীন সেলিম বলেন, প্রতি বছরই শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে গিয়ে এই দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। তিন মাসেরও বেশি সময় হ্রদে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। এর ফলে, একদিকে যেমন মালিক-শ্রমিকদের ক্ষতি হয়, অন্যদিকে যাত্রীরাও কষ্ট পান। সে কারণে আমরা অনেকদিন ধরেই কাপ্তাই হ্রদ খননের দাবি জানিয়ে আসছি।

হ্রদের নির্দিষ্ট কিছু অংশ ড্রেজিং করলে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক হবে। তখন নৌ চলাচলও স্বাভাবিক হবে। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির কারণে আমাদের দাবিটা কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে।

কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিংয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে ডিপিপি পাঠানোর কথা জানিয়ে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, কাপ্তাই হ্রদ খননের জন্য ৯শ ৭৭ কোটি টাকার একটি ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাইয়ের পর্যায়ে আছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।

;

চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য সহকারী পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে যুবক আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ধরা পড়েছে জয় বিশ্বাস নামের এক যুবক।

শনিবার (১৮ মে) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে তাকে আটক করা হয়।

জয় বিশ্বাস বাঁশখালীর নাপোড়া বাজার এলাকার কাঞ্চন বিশ্বাসের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য সহকারী সুজন বড়ুয়া জানান, স্বাস্থ্য সহকারী পদের নিয়োগ পরীক্ষা দিতে আসা এক পরীক্ষার্থীকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার নথিপত্র দেখে পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

তাপসকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান খোকন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে কাদা ছোড়াছুড়ি করতে না চাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন ডিএসসিসি'র সাবেক মেয়র এবং ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাঈদ খোকন।

এক্ষেত্রে একে অপরকে দোষারোপ না করে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান হানিফ-পুত্র খোকন।  

শনিবার (১৮ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত ‘এগিয়ে ছিল দক্ষিণ ঢাকা, স্মৃতির পাতায় ফিরে দেখা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। 

;

রাঙামাটিতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ'র ২ কর্মী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাঙামাটির লংগদু’য় প্রতিপক্ষের ব্রাশ ফায়ারে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর দুই সক্রিয় কর্মী নিহত হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকালে লংগদু’র বড় হাড়িকাবার ভালেদি হাট এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। নিহতরা হলেন- তিলক চাকমা (৪৫) ও ধন্যমনি চাকমা (৩৫)। রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহম্মেদ জানিয়েছেন, নিহতের বিয়ষটি অবহিত হওয়ার পর মরদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম রওয়ানা দিয়েছে।

এদিকে, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৮টার সময় লংগদুর বড়হাড়িকাবার ভালেদি ঘাট এর পার্শ্ববর্তী স্থানে সন্তু গ্রুপের ৭ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল এসে সেখানে সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এ হামলায় ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যা ধন চাকমা ওরফে তিলক (৪৫) ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা (৩৫) নিহত হন।

নিহত ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমার পিতার নাম সময় মনি চাকমা, গ্রাম- কুকিছড়া, কাট্টলী, লংগদু, রাঙামাটি এবং সমর্থক ধন্য মনি চাকমার পিতার নাম লেংগ্যা চাকমা, গ্রাম- ধুধুকছড়া, বড় হাড়িকাবা, লংগদু, রাঙামাটি।

ইউপিডিএফ এর পক্ষ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বে ছিলো পোয়া চাকমা ওরফে আপন (৩২), পিতা লক্ষ্মী মনি চাকমা। তার বাড়ি বড় হাড়িকাবার পাশে কুট্টছড়ি গ্রামে। পোয়া চাকমা সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস এর সক্রিয় সন্ত্রাসী।

বিবৃতিতে সচল চাকমা অবিলম্বে লংগদুতে ইউপিডিএফ কর্মী, সমর্থককে হত্যাকারী খুনি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং খুনী সন্ত্রাসীদের মদদদাতা সন্তু লারমাকে গ্রেফতারপূর্বক আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।

;