আইনজীবী পাত্রীকে বিয়ে করলেন রেলমন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের বিরামপুরের মেয়ে আইনজীবী শাম্মী আকতার মনিকে (৪২) বিয়ে করলেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন (৬৫)। গত শনিবার রাজধানীর উত্তরায় ঘরোয়া পরিবেশে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে।

মনির বড় ভাই মো. মিলন হোসেন গণমাধ্যমকে বিয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

বিজ্ঞাপন

বোনের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে মিলন বলেন, শাম্মী আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করছেন। আইনি বিষয়ে পরামর্শ নিতে ২০ দিন আগে রেলমন্ত্রীর কাছে যায় শাম্মী। পরে আমার বোনকে মন্ত্রীর পছন্দ হয়। পারিবারিকভাবে ৫ জুন উত্তরায় আমার বোনের বাসায় তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে বরপক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুরের বিচারপতি ইজারুল হক ও তার স্ত্রী। কনে পক্ষে আমি ও আমার ভাই উপস্থিত ছিলাম। আনুষ্ঠানিকভাবে ছোট পরিসরে যতটুকু করা দরকার; সেভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়েছে।

শাম্মী আকতার বর্তমানে উত্তরাতে থাকেন জানিয়ে মিলন বলেন, আমার বোন উত্তরায় থাকে। ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যাডমিনে চাকরি করতো। এরইমধ্যে ল' পাস করে হাইকোর্টে এক সিনিয়রের সঙ্গে প্র্যাকটিস করছে। শাম্মী বর্তমানে উত্তরার বাসায় আছে। ডিসেম্বরে স্বামী রেলমন্ত্রী সুজনের বাড়িতে যাবেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, আমার বোনের এর আগে কুষ্টিয়ায় বিয়ে হয়েছিল। পারিবারিক সমস্যার কারণে ২০১১ সালে ডিভোর্স হয়ে যায়। ওই ঘরে একটি মেয়ে রয়েছে। এরপর থেকে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় থাকে আমার বোন। ঈদ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিরামপুরের বাড়িতে বেড়াতে আসতো। মাঝে মধ্যে আমরাও যাই।

এদিকে শাম্মী আকতার রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের পূর্ব পরিচিত। বিয়েতে মন্ত্রীর পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিল না, অনেকটা পরিবারকে না জানিয়ে শুধুমাত্র বন্ধুদের নিয়ে বিয়ে সেরেছেন মন্ত্রী।

মন্ত্রীর স্ত্রী নিলুফার জাহান ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন মারা যান। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। তিন সন্তানেরই বিয়ে হয়েছে।

৬৫ বছর বয়সী নূরুল ইসলাম ১৯৫৬ সালের ৫ জানুয়ারি পঞ্চগড়ে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) আসন থেকে নবম, দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয়বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর রেলমন্ত্রী হিসেবে সরকারের মন্ত্রিসভায় যুক্ত হন।