দক্ষিণাঞ্চলে কোরবানিযোগ্য পশুর সংকট



জহির রায়হান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল তথা গোটা দক্ষিণাঞ্চলবাসীর চাহিদা অনুযায়ী কোরবানিযোগ্য পশুর সংকট দেখা দিয়েছে এবারও।

বিভাগের ছয় জেলায় এ বছর কোরবানির জন্য প্রায় সোয়া ৫ লাখ গবাদি পশুর চাহিদা নির্ধারণ করেছে বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ অধিদফতর। কিন্তু বরিশাল বিভাগে এ বছরের চাহিদার প্রায় ৪ ভাগের ১ ভাগ গবাদিপশু মজুত আছে স্থানীয় খামারিদের হাতে। বাকি গবাদি পশুর সংকট থাকলেও পারিবারিকভাবে লালন-পালন করা ও বাহিরের জেলাগুলোতে আসা গবাদিপশু দিয়ে বরাবরের মতো এবারও কোরবানির কাঙ্ক্ষিত চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে বার্তা২৪.কম-কে জানিয়েছেন বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ অধিদফতর।

বরিশাল বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের ছয় জেলায় এবার কোরবানির জন্যা ৫ লাখ ২৫ হাজার গবাদিপশুর চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে বিভাগের ছয় জেলায় ২০ হাজার ৩৮৭ জন খামারির কাছে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু আছে ১ লাখ ৩৮ হাজার। এ হিসাবে অনুযায়ী বরিশাল বিভাগে চাহিদার প্রায় ৪ ভাগের ১ ভাগ গবাদিপশু মজুত আছে স্থানীয় খামারিদের হাতে।

আরও জানা গেছে, গত বছর এই বিভাগের ছয় জেলায় চামড়া সংগ্রহের ভিত্তিতে ৪ লাখ ৯৮ হাজার ১৭১টি গবাদিপশু কোরবানি দেওয়া হয়েছিল। বিগত বছরের চেয়ে এ বছর কিছু সংখ্যক গবাদিপশু বৃদ্ধি ধরে কোরবানির জন্য এ চাহিদা নির্ধারণ করেছে প্রাণীসম্পদ অধিদফতর।

বরিশাল সিটির সোনা মিয়ার পুল এলাকার গরু ব্যবসায়ী আরিফ হাওলাদার বার্তা২৪.কম-কে জানান, সব সময়ই বরিশাল বিভাগে গবাদিপশুর সংকট থাকে। তাই বাধ্য হয়ে বাইরের জেলা থেকে গরু কিনে কোরবানির সময় বিক্রি করি। এবার করোনার ঝুঁকি নিয়ে কুষ্টিয়া ও যশোর থেকে ৩৫টি গরু কিনে বরিশালে আনছি।

গতবছরের তুলনায় এবার গরু দাম কয়েকগুণ বেশি। তাই এবার গতবারের তুলনায় চারভাগের একভাগ গরু আনছি। এখন বরিশালের হাটে বিক্রি করতে পারলেই হয়।

বরিশাল সিটির হরিণাফুলিয়া এলাকার আল বারকাহ অ্যাগ্রোর খামারির মালিক জামাল হোসেন জানান, করোনার কারণে গত বছর খামারে থাকা কোরবানির গরু বিক্রি করতে পারেনি।

এবার তাঁর খামারে শতাধিক গরু আছে। এবারও করোনার কারণে ক্রেতাদের সাড়া কম। গরু পালতে যে খরচ হইছে সে তুলনায় ক্রেতারা গরুর দাম কম বলে। সামনের কদিনে গরু বিক্রি না করতে পারলে ঋণের টাকা পরিশোধ করার উপায় থাকবে না।

বরিশাল বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক দীপক রঞ্জন রায় বার্তা২৪.কম-কে জানান, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার স্থানীয় খামারিদের কাছে কোরবানিযোগ্য যে পশু আছে তা বিভাগের নির্ধারিত চাহিদার প্রায় ৪ ভাগের ১ ভাগ ।

তবে করোনা পরিস্থিতিতে নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর মধ্যে আর্থিক সংকট দেখা দেওয়ায় কোরবানির চাহিদা কিছুটা কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী গবাদি পশুর জোগান কম থাকলেও অন্যান্য বছরের মতো এবারও বাহিরের জেলা থেকে গবাদি পশু আসায় বিভাগে গবাদিপশুর কোনো সংকট হবে না বলে তিনি জানান।

কেননা, লকডাউনের মধ্যেও কৃষিপণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা না থাকায় বিভিন্নভাবে অনেক গরু ব্যবসায়ীরা বিশেষ করে যশোর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গবাদি পশু কিনে দক্ষিণাঞ্চলে নিয়ে এসেছে।

তিনি আরও জানান, করোনা ঝুঁকি মাথায় রেখে কোরবানিযোগ্য পশু কেনাবেচার জন্য অনলাইনে ‘ডিজিটাল হাট’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম খুলেছে প্রাণীসম্পদ অধিদফতর।

এখানে কোনও ধরনের হয়রানি ছাড়া গবাদিপশু কেনাবেচা করতে পারবে সকলে। ইতিমধ্যে বরিশালে বিভাগেও অনলাইনে গবাদিপশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে।

আর স্থানীয় প্রশাসন নির্ধারিত কোরবানির গরুর হাটগুলোতে করোনার বিস্তার রোধে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। হাটে মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

পাশাপাশি শিশু ও বয়স্কদের হাটে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞ সহ হাটগুলোর প্রবেশদ্বারে সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা এবং একদিকে হাটের ভিতরে প্রবেশ করবে আরেক দিক থেকে বের হওয়ার ব্যবস্থা করতে বাজার কমিটি ও ইজারাদারদের কঠোরভাবে বলা হয়েছে।

এছাড়াও হাটগুলোতে অসুস্থ গবাদিপশু নির্ণয় করার জন্য মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান এই পরিচালক।

   

অর্থ সাশ্রয় করে কাজের মান অক্ষুণ্ন রাখতে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে নির্দেশনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ সাশ্রয় করে কাজের গুণগত মান অক্ষুণ্ন রাখতে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি'র ২য় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শরীফ আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এম. আবদুল লতিফ, মো. শিবলী সাদিক, মো. মজিবর রহমান(মজনু), আবদুল হাফিজ মল্লিক এবং পারভীন জামান অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকের শুরুতে প্রথম বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিত করা হয় এবং প্রথম বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় গণপূর্ত অধিদপ্তর ও সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের কার্যাবলি সম্পর্কে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং কমিটির সদস্য আবদুল হাফিজ মল্লিককে আহ্বায়ক করে এম. আবদুল লতিফ ও মো. শিবলী সাদিককে সদস্য করে ১নং সাব-কমিটি গঠন করা হয়।

বৈঠকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং ময়মনসিংহ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চলমান প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়ে সার্বিক পর্যালোচনা করা হয়।

বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রকৌশলী, রাজউকের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অন্যান্য অধিদপ্তর, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

বৃক্ষরোপণে ন্যাশনাল গাইডলাইন্স প্রণয়নের নির্দেশ পরিবেশমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা শহরসহ সারাদেশে বনায়নের জন্য ন্যাশনাল গাইডলাইন্স প্রণয়নের জন্য প্রধান বন সংরক্ষককে নির্দেশনা প্রদান করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। যেসকল বৃক্ষ তাপমাত্রা কমাতে পারে বা পরিবেশের জন্য অপেক্ষাকৃত ভালো তা নির্ণয় করে গাইডলাইন্সে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরে তাপমাত্রা কমাতে বৃক্ষরোপণের জন্য জায়গা খুঁজে বের করে অধিক হারে বৃক্ষরোপণ করতে হবে এবং জলাশয় রক্ষা করতে হবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-'২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের মার্চ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্লাইমেট ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে প্রকল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা অনুসরণ করা হবে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী আশি নম্বর না পেলে কোনো প্রকল্প বিবেচনা করা হবে না।

তিনি বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় এলাকা, উদ্বাস্তু এবং অভিযোজন মূলক কর্মকাণ্ডে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ প্রদান করা হবে। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করা হবে। এ যাবত তিন হাজার আটশত সতের কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৬২টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে যার মধ্যে ২৯৮টি চলমান রয়েছে।

সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন এবং বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ প্রকল্প পরিচালকগণ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। পরিবেশমন্ত্রী প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন যথাসময়ে এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন।

;

যশোরে তাপমাত্রার পারদ ৪৩.৮ ডিগ্রিতে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই জেলায় আজ মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিন (৩০ এপ্রিল) যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দফতর এ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত এটিই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে, অতি তীব্র তাপপ্রবাহে জেলার সাধারণ মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছেন। ঘরে বাইরে কোথাও শান্তি মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। তারা তীব্র রোদ ও গরমে কাজ করতে পারছেন না। এছাড়া প্রচণ্ড গরমে-ঘামে জনজীবনে কষ্ট-দুর্ভোগ ও অসুস্থতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আজ যশোরে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

তিনি জানান, আজ চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ঢাকার তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

বৃষ্টির বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী ২ থেকে ৭ মে পর্যন্ত সময়ে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলেই যে তাপমাত্রা অনেক কমে যাবে, বিষয়টি তা নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

;

সাতক্ষীরায় ২১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় তাপমাত্রার পারদ প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। এবার ২১ বছরের রেকর্ড ছাপিয়ে জেলায় ৪২ দশমিক ০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ২টায় সাতক্ষীরা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, দীর্ঘ ২১ বছরের মধ্যে আজ সাতক্ষীরায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২ দশমিক ০২ ডিগ্রি।

এদিকে অসহনীয় গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন শ্রমজীবী মানুষ। তীব্রগরমে তারা কোনো কাজ করতে পারছেন না। গরমে পিপাসা নিবারণে মানুষের ভিড় বাড়ছে শরবত, ডাব ও আখের রসের দোকানগুলোতে। দুপুরের আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে শহরের রাস্তাঘাট।

গাছের ছায়ায় বসে থাকা ভ্যানচালক ইয়াছিন আলী বলেন, প্রচন্ড গরমে মানুষজন বাইরে বের হচ্ছে না। যার কারণে আয় রোজগার নেই বললেই চলে। এই গরমে চালিয়ে মনে হচ্ছে জীবন বের হয়ে যাচ্ছে।

পৌর দিঘীতে গোসল করতে আসা সবুজ শেখ বলেন, প্রচন্ড গরমে ঘরে থাকা যাচ্ছে না। ফ্যানের বাতাসও গরম, তাই পুকুরে আসছি গোসল করতে। দিঘীর পানি অনেকটা ঠান্ডা।

;