লকডাউনেও নো মাস্ক, চলছে জমজমাট হাট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদেএ ছুটির পর সরকার ঘোষিত ‘কঠোরতর’ লকডাউনেও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপুর হাটে কোনও রকম স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে পশুর হাটসহ নিয়মিত সাপ্তাহিক হাট বসেছে। হাটে নিয়ন্ত্রণহীন জনসমাগম হলেও ব্রহ্মপুত্র-দুধকুমার নদের মোহনা অববাহিকার এ হাটে ক্রেতা বিক্রেতা এমনকি হাট ইজারাদারের প্রতিনিধিদেরও মাস্ক পরিধান করতে দেখা যায়নি। চরাঞ্চল থেকে আগত পণ্য বিক্রেতারা লকডাউন পুনর্বহালের খবর 'শোনা হয়নি’ দাবি করে হাটে উপস্থিত হয়েছেন। অপরদিকে হাট কমিটি বলছে, হাটের কার্যক্রম বন্ধ রাখার ব্যাপারে তারা প্রশাসন থেকে কোনও ‘নির্দেশনা পাননি’।

তবে, ‘নির্দেশনা পাইনি’ বলে হাট কমিটির দায় এড়ানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার (২৪ জুলাই) যাত্রাপুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ হাটে ব্যাপক জনসমাগম ঘটেছে। হাটের মূল সড়কের দুই পাশে ভ্রাম্যমান পণ্য বিক্রেতাসহ হাটের স্থায়ী দোকানদাররাও নির্বিঘ্নে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে কোনও পর্যায়ের মানুষের মধ্যে মাস্ক পরিধান কিংবা সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনও লেশ পাওয়া যায়নি। পশুর হাটেও একই চিত্র দেখা গেছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের জটলা করে ক্রয় বিক্রয়ে অংশ নিতে দেখা গেলেও মাস্ক পরিধানের বিষয়টি ছিল বরাবরের মতো উপেক্ষিত। স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের দায়িত্ব যে ইজারাদারদের সেই ইজারাদারদের প্রতিনিধিরাও ছিলেন মাস্ক ছাড়া। যে দুই একজনের সাথে মাস্ক ছিল, সেটাও মুখে নয়, থুতনিতে। মহামারি নিয়ে এমন উদাসীনতা কী ভয়াবহতা নিয়ে আসতে পারে সে ব্যাপারে হাট অয়োজকসহ ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই বেশ নির্ভার!

হাটে গরু বিক্রি করতে আসা মঞ্জু মিয়া জানান, ‘সংসার চালাতে টাকার প্রয়োজন তাই হাটে গরু বেঁচতে আসছি। লকডাউনেও তো চলতে হবে।’

মাস্ক পরিধান করেন নাই কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ভুলে ছেড়ে আসছি।’

এমন অজুহাত প্রায় সকল বিক্রেতার। কেউ বলছেন, ‘গরম লাগে তাই খুলে রাখছি’ আবার কেউ বলেন, ‘এখানে কেউ মাস্ক পড়ে না, সবাই পড়লে আমিও পড়তাম।’

ক্রেতা-বিক্রেতাদের এমন অজুহাতের ব্যতিক্রম নন হাট ইজারাদাররাও। মাস্ক ছাড়াই হাটে উপস্থিত হাট ইজারাদারের প্রতিনিধি সানাউল বলেন, ‘মাস্ক আছে, ওজু করার সময় খুলছি আর পরার মনে নাই।’

হাট অয়োজনে প্রশাসনের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি পালনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের অফিসে (ইজাদারের অফিসে) কথা বলুন।’

লকডাউনে হাট অয়োজনে প্রশাসন থেকে কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে যাত্রাপুর হাট কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এমন কোনও নির্দেশনা পাইনি। চেয়ারম্যানও এ ব্যাপারে আমাকে কিছু জানাননি, কোনও বৈঠকও করেননি।’

হাটে স্বাস্থ্য বিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি স্বীকার করে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এখানে মানুষদের সামাল দেওয়া একটু চাপের। আমরা আগামী হাটবার থেকে মাইকিং করে মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি পালনে উৎসাহিত করবো। তারা যেন তাড়াতাড়ি হাটে এসে তাড়াতাড়ি চলে যায়, নৌকা থেকে নেমেই যেন মাস্ক পরিধান করে এ ব্যাপারে আমরা প্রচারণা চালাবো।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিলুফা ইয়াছমিন জানান, ‘নির্দেশনা পাইনি এটা বলে হাট কমিটি দায় এড়াতে পারে না। পরবর্তী হাটে যাতে এমনটা না হয় সে ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নেবো।’

   

জোয়ারের সময় স্থলভাগে উঠবে রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের কেন্দ্র যখন উপকূলে উঠে আসবে তখন জোয়ারের সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় উঁচু জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

এতে করে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রিমালের আঘাতে এরইমধ্যে সাতক্ষীরা, ভোলা, চরফ্যাশন, কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিতে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

তিনি বলেন, রিমালের কেন্দ্র আর দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে স্থলভাগে উঠে আসবে। এ সময় জোয়ারের সম্ভাবনা আছে। তখন উঁচু জলোচ্ছ্বাসে উপকূল প্লাবিত হয়ে ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার শঙ্কা আছে। এ ছাড়া বর্তমানে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ঘূর্ণিঝড়টি আগাচ্ছে। জোয়ার থাকলে বাতাসের গতিবেগও বাড়তে পারে। এতে উপকূলবাসী আতঙ্কে আছে।

ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র স্থলভাগে উঠে আসার ৫ ঘণ্টার মধ্যে পুরো ঝড় স্থলভাগে উঠে আসবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করছে। কেন্দ্র উঠে আসার পরবর্তী ৩ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে রিমাল বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে। এ সময়টা খুবই শঙ্কার। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় প্রবল বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। এতে ভূমিধস ও জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ, দুর্ভোগ ও ভোগান্তির সৃষ্টি হতে পারে।

এসব থেকে ক্ষতি কমাতে বিভিন্ন বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

এ সময় সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলের প্রায় ৯ হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ পৌঁছে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সব আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার, পানি ও চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কাজ চলছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী মহিববুর বলেন, ‘আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করেছি। এছাড়া রেডক্রিসেন্ট ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সংগঠনগুলোও তৎপর আছে। সমন্বিতভাবে দুর্যোগ মোকাবিলায় ক্ষয়ক্ষতি কম হবে।’

;

আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ কম মোংলার মানুষের

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ কম মোংলার মানুষের

আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ কম মোংলার মানুষের

  • Font increase
  • Font Decrease

মহাবিপদের বার্তা নিয়ে প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হলেও বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছে না।

মোংলা উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, প্রায় ৩০ হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান গিয়েছে কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে সর্বোচ্চ ৫ হাজার মানুষ দেখা গেছে।

রোববার (২৬ মে) রাতে বার্তা ২৪.কমের বাগেরহাট প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম দুলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মোংলা অঞ্চলে সারাদিন বৃষ্টি ও বাতাস কম থাকলেও রাত ১০টার পর প্রচণ্ড বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। রাত ১০টা থেকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোংলাতে আঘাত হানতে শুরু করেছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, প্রায় ৩০ হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে কিন্তু সরেজমিনে বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে ঘুরে সর্বোচ্চ ৫ হাজার মানুষ দেখা যায়। সেখানে তাদের জন্য শুকনো খাবার এবং খিচুড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আইলা ও সিডরের মতো ঘূর্ণিঝড় রিমাল তেমন শক্তিশালী নয়। আবহাওয়া অধিদফতর থেকে ৭ কিংবা ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হলেও মানুষের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি।

এর হিসেবে তিনি বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ সবসময় ঝড়-তুফানের সাথে যুদ্ধ করে বেচে থাকে। অপরদিকে বিপদ সংকেত অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব না পড়ার কারণে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

বিমানের নতুন এমডি জাহিদুল ইসলাম



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা।

রোববার (২৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বিমান এয়ারলাইনসের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও শফিউল আজিমকে গত ২১ মে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

;

কক্সবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ হাজার মানুষ

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম কক্সবাজার
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালে নিম্নাঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।

রবিবার (২৯ মে) রাতে আশ্রিতদের মাঝে খাবার বিতরণের সময় জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘১০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রিতদের মাঝে খাবার ও বিশুদ্ধ পানীয় বিতরণ করছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। এ ছাড়াও লাইটিংয়ের ব্যবস্থা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে আশ্রয়ন কেন্দ্রগুলোতে।’

কক্সবাজার পৌরপ্রিপ্যারেটরি উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল সমিতি পাড়া, নাজিরারটেক, বাসিন্না পাড়া এবং মোস্তাক পাড়ার প্রায় ১৫০০ মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, তাদের হাতে ৪৮৬ মেট্রিক টন জিআর চাল, নগদ ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিলে ১৮ লাখ ২৩ হাজার টাকা, ২৯ বান্ডিল ঢেউটিন সঙ্গে গৃহ নির্মান মনজুরি অর্থ ৬৯ হাজার টাকা মজুদ রয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি কক্সবাজার জেলায়। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ হলে ক্ষতিগ্রস্তদের এসব সহায়তা প্রদান করা হবে।

এ ছাড়াও কক্সবাজার পৌরসভার উদ্যোগে ৬০০০ মানুষের জন্য খাবার রান্না করা হচ্ছে বলে জানান পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম তারিকুল আলম।

ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূলে অতিক্রম শুরু করেছে। এতে রাতে জোয়ারের পানিতে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

;