প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাদরাসাছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুরের বদরগঞ্জে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারমিনা আক্তার ওরফে ফুলতি (১৪) নামের এক মাদরাসাছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।গুরুতর আহত ওই ছাত্রী বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

বুধবার (২৮ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের সাজানোগ্রাম এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

বিজ্ঞাপন

তারমিনা আক্তার ওই এলাকার তোয়াব আলীর মেয়ে ও স্থানীয় লোহানীপাড়া দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

হাসপাতাল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তারমিনা আক্তারের বড় বোন তাহমিনার বিয়ে হয় মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়বালা এলাকায়। আত্মীয়তার সম্পর্কে ওই এলাকার মোনায়েম হোসেনের বখাটে ছেলে শাখাওয়াত হোসেন প্রেমের প্রস্তাব দেয় তারমিনাকে। এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে শাখাওয়াত হোসেন তারমিনাকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিল। এরইমধ্যে বুধবার তারমিনা আক্তারের অন্যত্র বিয়ের দিন ঠিক করা হয়। এ ঘটনা জানতে পেয়ে শাখাওয়াত হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তারমিনার ওপর। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল যোগে ভোরের দিকে নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে তারমিনার বাড়িতে আসে শাখাওয়াত হোসেন। বাড়ির সবাই যখন ঘুমিয়ে ছিল তখন ঘুমন্ত তারমিনাকে ডেকে সবার অজান্তে দরজার কাছে ছুরি দিয়ে দুই পা, মুখ, কপাল ও পাজরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। তারমিনা চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় শাখাওয়াত হোসেনকে ধাওয়া দিলে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে তারমিনাকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স (ইনচার্জ) রেবেকা সুলতানা বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে আজ সকাল ৮টার দিকে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে মারাত্মক জখম রয়েছে।

লোহানীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাকিব হাসান ডলু শাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটির পরিবারকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, ভোর বেলায় ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দিতে থানায় আসেনি। ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনি সহায়তা দিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।